আপিল বিভাগেও সালাউদ্দিন কাদেরের ফাঁসি বহাল

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার এই রায় ঘোষণা করে।

এই বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের ২৮ দিনের মাথায় আপিল করেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। চলতি বছর ১৬ জুন থেকে মোট ১৩ দিন দুই পক্ষের যুক্তি শোনে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ। শুনানি শেষে আদালত ২৯ জুলাই রায়ের দিন ধার্য করে।

 

এর আগে ট্রাইব্যুনালে সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে নয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যার ৩ নম্বর, সুলতানপুর বণিকপাড়ায় গণহত্যার ৫ নম্বর, উনসত্তরপাড়ায় গণহত্যার ৬, ও তত্কালীন আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মোজাফফর আহমেদকে অপহরণের পর হত্যার ৮ নম্বর অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেকটিতে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। এই চারটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

এছাড়াও পাঁচটি অভিযোগে তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ৭ নম্বর অভিযোগ সতীশ চন্দ্র পালিতকে হত্যার মামলায় তাকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। আপিল বিভাগ তাকে এ অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে। আর বাকি চারটি অভিযোগে দেয়া কারা দণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। গহিরা গ্রামে হিন্দু অধ্যুষিত পাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ২ নম্বর, জগত্মল্লপাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ৪ নম্বর এবং রাউজান পৌরসভা এলাকার সতীশ চন্দ্র পালিত হত্যার ৭ নম্বর অভিযোগের প্রত্যেকটিতে সালাহউদ্দিন কাদেরকে ২০ বছর করে ৬০ বছর এবং নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, সিরাজ ও ওয়াহেদ ওরফে ঝুনু পাগলাকে অপহরণ ও নির্যাতনের ১৭ এবং মো. সালেহউদ্দিনকে অপহরণ ও নির্যাতনের ১৮ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর করে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।