ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে জাপান প্রবাসীদের সম্বর্ধনা

মহান একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা, প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী বাংলাদেশ লোক সংগীত পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করলেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

গত ২৬ জুলাই ২০১৫ রোববার, টোকিওর আকাবানে বিভিন্ন হলে দলমত নির্বিশেষে সকল প্রবাসীরা সমবেত হয়ে এই শিল্পীকে সম্বর্ধনা দিলেন।

কাজী ইনসানুল হকের সভাপতিত্বে এই নাগরিক সম্বর্ধনায় শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উত্তরণ’র পক্ষে জাহিদ চৌধুরি, স্বরলিপি’র পক্ষে নাসিরুল হাকিম, বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরামের পক্ষে বাকের মাহমুদ, সার্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষে সুনীল দে মুঞ্জিগঞ্জ বিক্রমপুর সোসাইটির পক্ষে মোল্লা ওয়াহিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখার পক্ষে ছালেহ মোঃ আরিফ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাপান শাখার পক্ষে কাজী এনামুল হক, বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে ১ম সচিব বেবী রাণী কর্মকার, সার্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষে তনুশ্রী গোলদার। এ ছাড়াও, মুক্তিযোদ্ধা অজিত বড়ুয়া, কাজী মাহফুজুল হক লাল প্রমুখ এই বীর কন্ঠযোদ্ধার প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা জানান। মুকুল মুস্তাফিজ ও বাকের মাহমুদ তাকে উৎসর্গিত কবিতা পড়ে শোনান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন নারমিন হক এবং দ্বীপ্তি রাজবংশীর হাতে ফুলের তোড়া দেন মনি হাকিম।
মুন্সী খ আজাদ তার শুভেচ্ছা বক্তব্য সহ ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর পরিচিতি বাংলা ও জাপানি ভাষায় পড়ে শোনান। জাপান প্রবাসীদের পক্ষ থেকে শিল্পীকে ক্রেস্ট প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি কাজী ইনসানুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আসলাম হীরা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা। বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরামের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করেন জুয়েল আহসান কামরুল।

সম্বর্ধনা অংশ উপস্থাপনা করেন সুখেন ব্রম্ম। সম্বর্ধনা শেষে আবেগ ঘন বক্তব্যে ইন্দ্রমোহন রাজবংশী জাপান প্রবাসীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন- আপনারা সম্মিলিত ভাবে আমাকে যে সম্মান জানালেন -তা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া- আমি আজীবন তা পরম মমতায় ধারণ করবো। দোয়া করবেন আমি যে মরমী গান সংগ্রহের কাজ শুরু করেছি তা যেন শেষ করে যেতে পারি।

উত্তরণ কালচারাল গ্রুপ জাপান’র সহযোগিতায় শিল্পী দম্পতি গান, গানের সাথে সাথে নানান কথাবার্তা, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের নানান ঘটনা বর্ণনা করেন। দর্শকরা প্রাণ ভরে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। বাংলাদেশের পরম বন্ধু বেশ ক’জন জাপানি দর্শকও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কম্পিউটার গ্রাফিক্সে ছিলেন কমল বড়ুয়া। এ ছাড়াও অন্যান্যরা সহযোগিতা করেন।