বঙ্গবন্ধু পরিষদ জাপান’র উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উদযাপিত

গত ২৩ আগস্ট জাপানের চিবা প্রিফেকচারে ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালিত হল জাতীয় শোক দিবস। আয়োজন করেছিলো বঙ্গবন্ধু পরিষদ জাপান শাখা। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি শেখ এমদাদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, চিবা প্রিফেকচারের স্থানীয় পরিষদ সদস্য আবে সাতোশি, ওয়াতানাবে শিনোবু এবং বাংলাদেশে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত জনাব হোরিগুচি। আরো উপস্থিত ছিলেন জাপানের সংসদ সদস্য তানুমা তাকাশি।

কোরান তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করার পর জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এরপর আগত অতিথিবৃন্দ, প্রবাসী এবং জাপানিরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। দ্বিতীয় পর্বে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান। আলোচনা করেন তাজউদ্দিন মাহমুদ রবি, আসিফ, শহীদুল ইসলাম, মোঃ নাহিদ, শহিদুর রহমান হিরু প্রমূখ। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্মকান্ড এবং সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেন। বাংলার মানুষ তাঁর অপরিসীম অবদানের কথা কোনোদিন ভুলতে পারে না বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। উপস্থিত অতিথি মিসেস ওয়াতানাবে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুদীর্ঘ লড়াইয়ে বঙ্গবন্ধুর কী ভূমিকা ছিল, তিনি কীভাবে একটি পরাধীন জাতিকে স্বধীনতা এনে দিলেন। প্রধান অতিথি মাননীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বঙ্গবন্ধুকে যে সম্মান প্রদান করেছিল ১৯৭৩ সালে তা অবিস্মরণীয়। । তিনি আজকে শোকসভায় উপস্থিত থাকার জন্য জাপানের ডায়েট সদস্য তানুমা তাকাশি, স্থানীয় পরিষ্দের সদস্য আবে সাতোশি, ওয়াতানাবে শিনোবু এবং জনাব হরিগুচিকে ধন্যবাদ জানান। ধন্যবাদ জানান বঙ্গবন্ধু পরিষদ জাপান শাখার সদস্যদেরও অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য।

বিশেষ অতিথি তানুমা তাকাশি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। বিশেষ অতিথি হোরিগুচি বাংলাদেশ ও জাপানের এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যাতে আরও শক্তিশালী করা যায় তার জন্য জাপান কাজ করে যাবে বলে উল্লেখ করেন। স্থানীয় পরিষদ সদস্য আবে সাতোশি বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। জাপান শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চায়।

সভাপতির ভাষণে শেখ এমদাদ হোসেইন বলেন, আমরা জাপানে বঙ্গবন্ধুর আদশর্ প্রতিষঠা করতে চাই, তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন। অনুষ্ঠান শেষে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।