বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখার উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালন

বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য্যের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে টোকিওর কিতা-কু ওজিহোকতোপিয়া হলে গত রোববার বিকেলে পালিত হলো জাতীয় শোক দিবস।

অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় সংসদের সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরি ও কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান।

জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখার সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ। প্রধান অতিথি ছিলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরি, বিশেষ অতিথি ছিলেন খলিলুর রহমান ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

১৫ অগাষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ও ২১ অগাষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে উপস্থিত সকলে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।

তাদের সকলের রুহের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

আলচনা পর্ব শুরু করা হয় আ.লীগ জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আসলাম হীরার সূচনা বক্তব্য দিয়ে। তিনি সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন।
অনুষ্ঠানে জাপান আ.লীগের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও বেশ কিছু প্রবাসী ও মিডিয়ার প্রায় সকলেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা পর্বে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাষ্ট স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অশ্রুভেজা, কলঙ্কময় ঘটনার কথা, পৈশাচিক নৃশংস হত্যাকান্ডের কথা সহ এই যুগ শ্রেষ্ঠ নেতার প্রতি অবিচল শ্রদ্ধার কথা জানিয়ে বক্তব্য দেন- রাসেল মাঝি, নাজমুল হোসেন রতন, আব্দুর রাজ্জাক, রফিকুল ইসলাম মনির, সোহেল রানা, আব্দুল কুদ্দুস, মাসুদ আলম, রায়হান কবির ভুঁইয়া, মোতালেব শাহ আইয়ুব, স্বচিপ সদস্য আব্দুল্লাহ মাসুদ টুটুল, জাহিদ হোসেন, মাসুদুর রহমান মাসুদ, হারুনর রশিদ, মোল্লা আলমগীর, সনত বড়ুয়া প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন জাপানি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী প্রকাশের তৎপরতা ব্যক্ত করেন এবং প্রধান অতিথিকে তিনি সেই বইয়ের একটি কপি উপহার দেন।

বিশেষ অতিথি খলিলুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অতীত-বর্তমান এবং বর্তমান সরকারের চমৎকার শাসনামলের বর্ণনা তুলে ধরেন। ২১শে অগাষ্ট গ্রেনেড হামলায় প্রধানমন্ত্রীর বেঁচে যাওয়া এবং নেত্রীর পাশে তার উপস্থিতি ও মৃত্যুর মুখোমুখি দলীয় কর্মীরা কীভাবে মানব ঢাল বানিয়ে নেত্রীকে রক্ষা করেন তার বর্ণনা দেন। হল ভর্তি দর্শক সে বর্ণনায় শিহরিত হয়ে ওঠেন।

প্রধান অতিথি খালিদ মাহমুদ চৌধুরি দীর্ঘক্ষণ ধরে তার বক্তৃতায় “সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ” সম্পর্কে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন এবং সব শেষে জাপান প্রবাসীদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন -অতীত থেকে আজ অব্দি আপনারা বাংলাদেশের প্রতি আপনাদের ঋণ যে ভাবে শোধ দিয়ে চলেছেন তা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে নতুন পরিচয়ে পরিচিত করেছে এবং করবে।

আরিফহীরাকমিটিইজাপানআওয়ামীলীগেরমূলস্বীকৃতঃখালিদমাহমুদচৌধুরি

জাপান আওয়ামী লীগের দু’টি কমিটি এবং মাঝেমধ্যে তাদের কর্মতৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। “মূলধারা” ও “ভিন্ন ধারা” এ রকম ভাবে কমিটি দু’টিকে বিশেষায়িত করা হয়। মিডিয়ার পক্ষে কমিউনিটি নিউজের উপদেষ্টা সম্পাদক কাজী ইনসানুল হক বিষয়টি নিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরির কাছে প্রশ্ন রাখেন।

প্রথমে প্রশ্নটির জবাব দেন কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক খলিলুর রহমান। তিনি বলেন “একটি বৃহৎ দল হিসেবে দলের ভেতর মত পার্থক্য থাকতেই পারে -অযথা কলহ নয়, আমাদের দরজা সব সময়ে অবারিত। এটিই মূল কমিটি -এখানে এসে মিলে মিশে এক সাথে দলের কার্যক্রম চালানো নিজের ও দলের জন্যে মঙ্গলময়”।

খালিম মাহমুদ চৌধুরি আরো স্পষ্ট বক্তব্যে বলেন “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক যে কমিটিতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সেটিই যে মূল কমিটি, স্বীকৃত কমিটি সেটা সহজেই বোধগম্য হওয়া উচিত”।

সভার শেষে দলের সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবং দলের সকল কর্মীর সহযোগীতায় জাপানে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।