‘স্পেশাল ইকনোমিক জোনে জাপানি ব্যবসায়ীদের জমি দেয়া হবে’

‘বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বাড়াতে চট্টগ্রামে স্পেশাল ইকনোমিক জোনে সে দেশের ব্যবসায়ীদের জমি বরাদ্দ দেয়া হবে’ বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বর্তমানে বাংলাদেশে জাপানের ২৩০টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। স্পেশাল ইকনোমিক জোনে জাপানকে জমি বরাদ্দ দেয়া হলে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ অনেক বৃদ্ধি পাবে। জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে খুবই আগ্রহি বলে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াটানাবের সাথে মতবিনিময় শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে জাপানে রপ্তানি দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতি বছর এ রপ্তানি বেড়েই চলছে।  আগামি তিন বছরে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
‘জাপান বাংলাদেশের বড় উন্নয়ণ অংশীদার’ উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাপান যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশ পুনঃগঠনে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে সহযোগিতার দিক থেকে একক দেশ হিসেবে জাপান সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগি। জাপানিদের কাছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, চিংড়ি মাছ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য বেশ প্রিয়। জাপান সরকার বাংলাদেশকে হ্যান্ড গ্লোভস ও অস্ত্র বাদে সকল রপ্তানি পণ্যের জন্য ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করছে। এ কারনে জাপানের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বেড়েই চলছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াটানাবে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। স্পেশাল ইকনোমিক জোনে জাপান আরো বেশি বিনিয়োগ করবে। জাপানের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, চামড়ার চাহিদা অনেক। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৪৩৪ দশমিক ১২ মিলিয়ন ডলার, একই সময়ে আমদানি ছিল ১৩০৮ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯১৫ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, পক্ষান্তরে জাপান থেকে আমদাননি হয়েছে ১৫১৪ মিলিয়ন ডলার।