Archive for September 9th, 2015

‘স্পেশাল ইকনোমিক জোনে জাপানি ব্যবসায়ীদের জমি দেয়া হবে’

‘বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বাড়াতে চট্টগ্রামে স্পেশাল ইকনোমিক জোনে সে দেশের ব্যবসায়ীদের জমি বরাদ্দ দেয়া হবে’ বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বর্তমানে বাংলাদেশে জাপানের ২৩০টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। স্পেশাল ইকনোমিক জোনে জাপানকে জমি বরাদ্দ দেয়া হলে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ অনেক বৃদ্ধি পাবে। জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে খুবই আগ্রহি বলে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান। মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াটানাবের সাথে মতবিনিময় শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে জাপানে রপ্তানি দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতি বছর এ রপ্তানি বেড়েই চলছে।  আগামি তিন বছরে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ‘জাপান বাংলাদেশের বড় উন্নয়ণ অংশীদার’ উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাপান যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশ পুনঃগঠনে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে সহযোগিতার দিক থেকে একক দেশ হিসেবে জাপান সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগি। জাপানিদের কাছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, চিংড়ি মাছ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য বেশ প্রিয়। জাপান সরকার বাংলাদেশকে হ্যান্ড গ্লোভস ও অস্ত্র বাদে সকল রপ্তানি পণ্যের জন্য ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করছে। এ কারনে জাপানের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বেড়েই চলছে। জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াটানাবে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। স্পেশাল ইকনোমিক জোনে জাপান আরো বেশি বিনিয়োগ করবে। জাপানের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, চামড়ার চাহিদা অনেক। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, গত ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৪৩৪ দশমিক ১২ মিলিয়ন ডলার, একই সময়ে আমদানি ছিল ১৩০৮ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯১৫ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, পক্ষান্তরে জাপান থেকে আমদাননি হয়েছে ১৫১৪ মিলিয়ন ডলার।  

মৌসুমের ১৮নং তাইফুন বুধবার জাপানে আঘাত হানছে

মৌসুমের ১৮নং তাইফুন বুধবার ওগাসাওয়ারা দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে কিনকি অঞ্চল (ওসাকা-নাগোয়া-কিয়োতো) দিক থেকে জাপানের মূল ভূখন্ডে প্রবেশ করবে। ইতিমধ্যেই জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। রাজধানী টোকিও ও এর আশেপাশের অঞ্চল গুলোতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাইফুনের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়। বিকেলের দিকে বৃষ্টির তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। জাপানের আবহাওয়া বিভাগ বলেছে বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে পূর্ব জাপান এবং কিনকি অঞ্চলে বুধবার প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বর্ষণ থেকে আকস্মিক প্লাবন এবং ভূমিধসের সৃষ্টি হতে পারে। তারা জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তাইফুন কেন্দ্রে বাতাসের চাপ ৯৯০ হেক্টোপ্যাসকাল। তাইফুন কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় প্রায় ৮৩ কিলোমিটার, বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১২৬ কিলোমিটার। মঙ্গলবার তাইফুনের পরিধি থেকে আর্দ্র বাতাস হনশু দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলের দিকে প্রবাহিত হয়ে কিনকি অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মিয়ে প্রিফেকচারের আৎসাশিকা’তে ৩৪.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়, কুমানো শহরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিলো ৫২ মিলিমিটার। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে কিনকি অঞ্চলে ঘন্টায় ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তোকাই অঞ্চলে ৩৫০ মিলিমিটার, কিনকি ও কানতো অঞ্চলে ৩০০ মিলিমিটার, ইজু দ্বীপে ২০০ মিলিমিটার, হোকুরিকো অঞ্চলে ১৫০ মিলিমিটার, চুগোকু অঞ্চলে ১২০ মিলিমিটার, শিকোকু অঞ্চলে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তোকাই ও কিনকি অঞ্চল গুলোর উপকূলবর্তী অঞ্চলে সাগর উত্তাল থাকবে, কোনো কোনো স্থানে ৬ মিটার পর্যন্ত উঁচু জলচ্ছ্বাস আঘাত হানতে পারে।