‘কমিউনিটি নিউজ’

জাপানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ৩৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

গত ৬ সেপ্টেম্বর রোববার টোকিওর হিগাশি জুজো কাইকানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাপান শাখার উদ্যোগে দলের ৩৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাপান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোফাজ্জাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও দফতর সম্পাদক ফয়সাল সালাউদ্দিন ও সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক নুর খান রনি, পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তবো রাখেন জাপানর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা, সহ সভাপতি আলমগীর হোসেন মিঠু, উপদেষ্টা কাজী এনামুল হক, এমদাদুল হক মনি, কাজী আসগর সানি, দেলোয়ার হোসেন, মাসুদ রানা, নজরুল ইসলাম রনি, দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, তৌহিদুল আলাম (রিপন), জুয়েল পাঠান, কাজী সাদেকুল হায়দার (বাবলু), মোজাহিদুল ইসলাম জুয়েল, কে এম সাফি রায়হান, রাজিব জামান, কাওসার খান, তাওহীদ হেলাল, হায়দার হোসেন, রবিউল আলাম সাব্বির, মোস্তাফিজুর রহমান জনি, জামান মাসুম, আপন মিয়া, এ টি এম জামাল প্রমুখ।

জাপানে ৯০ হাজার বন্যাদুর্গতকে সরানোর নির্দেশ

জাপানে ভারী বৃষ্টিতে নদীগুলোর পানি ফুঁসে উঠে বন্যা দেখা দিয়েছে। এর প্রভাবে ভূমিধসে একজন নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হাজারো মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। জাপানি টিভি চ্যানেল এনএইচকের খবরে বলা হয়, বন্যাদুর্গত ৯০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। জাপানের তোচিগি ও ইবারাকি এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে বলে বিশেষভাবে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দপ্তর। একই সঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসের ব্যাপারে গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়াবিদ তাকুয়া দেশিমারু বলেন, ‘এমন বৃষ্টি আগে দেখিনি। ভয়াবহ বিপদ আসন্ন।’ তোচিগির মধ্যাঞ্চলের অংশবিশেষ দুই ফুট পানিতে ডুবে গেছে। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় আজ তোচিগির কর্তৃপক্ষ হাজারো অধিবাসীকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার নদীতে মাত্রাতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে তোচিগিতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ভূমিধসে এক নারী নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিখোঁজ নারীকে খুঁজে পেতে অভিযান চলছে।

টোকিও ও আশেপাশের অঞ্চলে ভূমিকম্প

শনিবার ভোরে টোকিও ও তার আশেপাশের অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে। জাপানের আবহাওয়া বিভাগ বলেছে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিলো ৫.৩। শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪৯ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিলো টোকিও বে’র ৭০ কিলোমিটার গভীরে। ০ থেকে ৭ মাত্রার জাপানি ভূমিকম্প স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিলো ৫ মাইনাস। চফু শহরে এই মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। টোকিও, সাইতামা, চিবা ও কানাগাওয়া’তে জাপানি স্কেলে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্প থেকে কোনো সুনামির সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে।

‘স্পেশাল ইকনোমিক জোনে জাপানি ব্যবসায়ীদের জমি দেয়া হবে’

‘বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বাড়াতে চট্টগ্রামে স্পেশাল ইকনোমিক জোনে সে দেশের ব্যবসায়ীদের জমি বরাদ্দ দেয়া হবে’ বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বর্তমানে বাংলাদেশে জাপানের ২৩০টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। স্পেশাল ইকনোমিক জোনে জাপানকে জমি বরাদ্দ দেয়া হলে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ অনেক বৃদ্ধি পাবে। জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে খুবই আগ্রহি বলে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান। মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াটানাবের সাথে মতবিনিময় শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে জাপানে রপ্তানি দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতি বছর এ রপ্তানি বেড়েই চলছে।  আগামি তিন বছরে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ‘জাপান বাংলাদেশের বড় উন্নয়ণ অংশীদার’ উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাপান যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশ পুনঃগঠনে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে সহযোগিতার দিক থেকে একক দেশ হিসেবে জাপান সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগি। জাপানিদের কাছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, চিংড়ি মাছ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য বেশ প্রিয়। জাপান সরকার বাংলাদেশকে হ্যান্ড গ্লোভস ও অস্ত্র বাদে সকল রপ্তানি পণ্যের জন্য ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করছে। এ কারনে জাপানের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বেড়েই চলছে। জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াটানাবে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। স্পেশাল ইকনোমিক জোনে জাপান আরো বেশি বিনিয়োগ করবে। জাপানের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, চামড়ার চাহিদা অনেক। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, গত ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৪৩৪ দশমিক ১২ মিলিয়ন ডলার, একই সময়ে আমদানি ছিল ১৩০৮ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯১৫ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, পক্ষান্তরে জাপান থেকে আমদাননি হয়েছে ১৫১৪ মিলিয়ন ডলার।  

মৌসুমের ১৮নং তাইফুন বুধবার জাপানে আঘাত হানছে

মৌসুমের ১৮নং তাইফুন বুধবার ওগাসাওয়ারা দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে কিনকি অঞ্চল (ওসাকা-নাগোয়া-কিয়োতো) দিক থেকে জাপানের মূল ভূখন্ডে প্রবেশ করবে। ইতিমধ্যেই জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। রাজধানী টোকিও ও এর আশেপাশের অঞ্চল গুলোতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাইফুনের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়। বিকেলের দিকে বৃষ্টির তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। জাপানের আবহাওয়া বিভাগ বলেছে বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে পূর্ব জাপান এবং কিনকি অঞ্চলে বুধবার প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বর্ষণ থেকে আকস্মিক প্লাবন এবং ভূমিধসের সৃষ্টি হতে পারে। তারা জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তাইফুন কেন্দ্রে বাতাসের চাপ ৯৯০ হেক্টোপ্যাসকাল। তাইফুন কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় প্রায় ৮৩ কিলোমিটার, বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১২৬ কিলোমিটার। মঙ্গলবার তাইফুনের পরিধি থেকে আর্দ্র বাতাস হনশু দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলের দিকে প্রবাহিত হয়ে কিনকি অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মিয়ে প্রিফেকচারের আৎসাশিকা’তে ৩৪.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়, কুমানো শহরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিলো ৫২ মিলিমিটার। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে কিনকি অঞ্চলে ঘন্টায় ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তোকাই অঞ্চলে ৩৫০ মিলিমিটার, কিনকি ও কানতো অঞ্চলে ৩০০ মিলিমিটার, ইজু দ্বীপে ২০০ মিলিমিটার, হোকুরিকো অঞ্চলে ১৫০ মিলিমিটার, চুগোকু অঞ্চলে ১২০ মিলিমিটার, শিকোকু অঞ্চলে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তোকাই ও কিনকি অঞ্চল গুলোর উপকূলবর্তী অঞ্চলে সাগর উত্তাল থাকবে, কোনো কোনো স্থানে ৬ মিটার পর্যন্ত উঁচু জলচ্ছ্বাস আঘাত হানতে পারে।

ফুকুশিমার দেবদারূ গাছের গঠনে অস্বাভাবিকতাঃ তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব বলে সন্দেহ

২০১১ সালে তোহোকু ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামি এবং ফুকুশিমা দাইইচি পারমাণবিক চুল্লীর দুর্ঘটনার পর জাপানের রেডিত্তল্যাজিস্টরা আশেপাশের এলাকা গুলোর সম্ভাব্য পরিবর্তনের উপর নজর রাখছেন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ রেডিওলজিক্যাল সায়েন্স প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ফুকুশিমার দেবদারূ গাছের অস্বাভাবিক গঠন প্রত্যক্ষ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বলা হয়েছে ফুকুশিমা তেজস্ক্রিয়তাকে। অগাষ্টের ২৮ তারিখ সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয় আক্রান্ত অঞ্চলের দেবদারূ গাছ গুলোর সাথে তেজস্ক্রিয়তা মুক্ত পরিবেশে বৃদ্ধি পাওয়া দেবদারূ গাছ গুলোর তুলনা করলে বিস্তর পার্থক্য দেখা যায়। আক্রান্ত অঞ্চলের গাছ গুলোর গঠন প্রণালী অদ্ভুত ধাঁচের, বিশেষ করে দ্বিশাখায় ভাগ হওয়ার বিষয়টি। প্রতিবছর একটি স্বাভাবিক দেবদারূ গাছ সরাসরি ঊর্ধ্বমুখে বৃদ্ধি পেতে থাকে, সাথে দু’পাশে দু’টি অনুভূমিক শাখা বিস্তার করে। বিজ্ঞানিরা দেখতে পেয়েছেন আক্রান্ত অঞ্চলের গাছ গুলো উপরের দিক থেকে দু’টি ভিন্ন দিকে শাখা বিস্তার করেছে এবং ঊর্ধ্বমুখী বৃদ্ধি ঘটছে না। ছবিতে বাম দিক থেকে দেখলে ১নং ছবিটি স্বাভাবিক বৃদ্ধির নিদর্শন। উল্লম্ব ভাবে মাঝখান থেকে একটি শাখা বেরিয়ে গেছে। ২নং ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে গাছের কান্ডটি পুরো দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং ৩নং ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে কেবলমাত্র আনুভূমিক বৃদ্ধি ঘটছে। সেখানে কোনো উল্লম্ব বৃদ্ধি ঘটছে না। লাল তীর চিহ্ন দিয়ে দ্বিশাখায় ভাগ হওয়া চিহ্নিত করা হয়েছে। ৩নং ছবিটিতে গাছের মধ্য, উল্লম্ব শাখাটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধি সম্পূর্ণ হারিয়ে গেছে। এ বছরের জানুয়ারিতে ফুকুশিমা’র ওকুমা (দুর্ঘটনাগ্রস্ত পারমাণবিক প্ল্যান্ট থেকে ৩.৫ কিলোমিটার দূরে), নামিয়ে’র দু’টি স্থানে (দুর্ঘটনাগ্রস্ত পারমাণবিক প্ল্যান্ট থেকে ৮.৫ ও ১৫ কিলোমিটার দূরে) তদন্ত পরিচালনা করা হয়। ওকুমা’তে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা ছিলো ৩৩.৯ মাইক্রোসিভার্ট এবং নামিয়ে’র দু’টি স্থানে ছিলো যথাক্রমে ১৯.৬ ও ৬.৮৫ মাইক্রোসিভার্ট। স্বাভাবিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত যে গাছ গুলোর সাথে তুলনা করা হয় সেগুলো হচ্ছে প্রতিবেশী ইবারাকি প্রিফেকচারে অবস্থিত যেখানে তেজক্রিয়তার মাত্রা ০.১৩ মাইক্রোসিভার্ট। প্রতি অঞ্চলের ১০০ থেকে ২০০টি গাছ পরীক্ষা করা হয়। ওকুমা’র ৯০ শতাংশ গাছে কোনো না কোনো অস্বাভাবিকতা রয়েছে। একটু দূরে যেখানে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা কিছুটা কম নামিয়ে’র দু’টি অঞ্চলে ৪০ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ গাছে অস্বাভাবিকতা চিহ্নিত করা হয়, অপর দিকে ইবারাকি প্রিফেকচারে মাত্র ১০ শতাংশ গাছে এ ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে। “অঙ্গ গঠন” পরিবর্তনের ঘটন সংখ্যা এবং ফুকুশিমা দাইইচি পারমাণবিক চুল্লীর নৈকট্য বা তেজস্ক্রিয়তার মাত্রার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ইঙ্গিত করছে যে তেজস্ক্রিয়তার সাথে গাছের গঠনের সম্পর্ক রয়েছে কিন্তু তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তবে, প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় এ ধরনের সুনির্দিষ্ট অংগ গঠন পরিবর্তনের ঘটনা অন্যান্য স্থানেও দেখা গেছে এবং অন্যান্য প্রভাবক ও কীটপতঙ্গতে ক্ষতিকে এর আওতার ভেতরও অন্তর্ভুক্ত করা চলে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পরিবর্তনকে পারমাণবিক দুর্ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পর্ক যুক্ত না করে বরং এই পরিবর্তন বেশি ঘটার ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয়তা অধিক ভূমিকা রেখে থাকে -গবেষকরা […]

কুরআন মজীদ ও সহীহ হাদীসের আলোকে হজ্ব ও উমরার গুরুত্ব ও ফযীলত : মাওলানা মুহাম্মদ আনসারুল্লাহ হাসান

মুমিন বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহ এই যে, তিনি তাকে এমন কিছু ইবাদত দান করেছেন, যা দ্বারা বান্দা তার রূহানী তারাক্কী, কলবের সুকুন ও প্রশান্তি এবং দুনিয়া-আখিরাতের খায়র ও বরকত লাভ করে থাকে। এসবেরই একটি হল হজ্ব। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে বাইতুল্লাহর হজ্ব করার নির্দেশ দিয়েছেন যেন এর মাধ্যমে তারা গুনাহ থেকে পাকসাফ হয় এবং জান্নাতে উচ্চ মর্তবা ও মাকাম লাভ করে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহর পথের মুজাহিদ এবং হজ্ব ও উমরাকারী হল আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর ডাকে সাড়া দেন আর আল্লাহও তাদের প্রার্থনা কবুল করেন।-সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ২৮৯৩ অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হজ্ব ও উমরাকারীরা হল আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর ডাকে সাড়া দেন আর আল্লাহও তাদের প্রার্থনা কবুল করেন।-মুসনাদে বাযযার/তারগীব হাদীস : ১৬৬১ নিম্নে হজ্ব ও উমরার কিছু ফযীলত উল্লেখ করা হল। যেন এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ লাভে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহী হতে পারি। হজ্বের ফযীলত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি হজ্ব করে এবং অশ্লীলতা ও কটুক্তি থেকে বিরত থাকে সে এমনভাবে প্রত্যাবর্তন করে যেমনটি তার মা তাকে প্রসব করেছিল। (সহীহ বুখারী,হাদীস : ১৫২১) অন্য এক বর্ণনায় তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হল, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন। জিজ্ঞাসা করা হল, এর পর কী? বললেন,আল্লাহর পথে জিহাদ করা। বলা হল, এরপর? তিনি বললেন, মাবরূর হজ্ব।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৫১৯ জাবির রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মাবরূর হজ্বের প্রতিদান কেবল জান্নাত। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা  করলেন, মাবরূর হজ্ব কী? ইরশাদ করলেন, খাবার খাওয়ানো ও সালামের প্রসার ঘটানো।-মুসনাদে আহমদ ৩/৩২৫ আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা তিন ব্যক্তির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন : ১. যে ব্যক্তি আল্লাহর কোনো মসজিদের উদ্দেশে বের হয় ২. যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ করতে বের হয় ৩. যে ব্যক্তি হজ্বের উদ্দেশে বের হয়।-হিলয়াতুল আওলিয়া ৯/২৬২ কষ্টসাধ্য অবস্থায় হজ্ব করার ফযীলত উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হজ্ব হল প্রত্যেক দুর্বলের জিহাদ।-সুনানে ইবনে মাজাহ,হাদীস : ২৯০২ মহিলাদের হজ্ব করার ফযীলত উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। তাহলে আমরা (নারীরা) কি জিহাদ করব না? নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না। তোমাদের জন্য উত্তম জিহাদ হল মাবরূর হজ্ব।-সহীহ বুখারী,হাদীস : ১৫০২ উমরার ফযীলত হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, এক উমরা অন্য উমরা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সকল কিছুর কাফফারা। আর মাবরূর হজ্বের একমাত্র প্রতিদান হল জান্নাত।-সহীহ বুখারী,হাদীস : ১৭২৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩৪৯ হজ্বে খরচ করার ফযীলত ইবনে আওন ইবরাহীম ও আসওয়াদের সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তাঁরা বলেছেন, হযরত […]

ম্যাকডোলান্ডের খাবার নিয়ে আবার বিপত্তি

ম্যাকডোনাল্ড জাপান জানিয়েছে তারা পানীয়র মধ্যে প্লাস্টিকের ভাঙা টুকরোর আঘাতে জনৈক ক্রেতা আহত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করছে। ধারাবাহিক ভাবে ম্যাকডোনাল্ড’র খাবারে বেশ কিছু অঘটনের সাথে এটি ছিলো সর্বশেষ যোগ হওয়া আরেকটি ঘটনা। কোম্পানি বলেছে তারা ওসাকা’র ওই শাখাটি এ সপ্তাহের জন্যে বন্ধ রাখছে এবং অন্য ৯৫টি রেস্টুরেন্ট যারা অনুরূপ গ্রীন টি ল্যাটে ফ্র্যাপে বিক্রি করে থাকেন তাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই পানীয় পান করেই অভিযোগকারী মহিলা মুখে আঘাত পান। পানীয়টির ভেতরে পরে কয়েক ডজন প্লাস্টিকের টুকরো পাওয়া যায়। কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেছেন পানীয়টি তৈরি করতে যে প্লাস্টিক ব্যবহার করা সেটিই এই ঘটনার উৎস হয়ে থাকতে পারে। “এই মুহূর্তে কোনো অনুমান করতে চাইছি না কিন্তু আমাদের ধারণা প্লাস্টিকের সরঞ্জাম কোনো ভাবে ফ্র্যাপে বানানোর ব্লেন্ডারের ভেতর পড়ে গিয়ে এই ঘটনা ঘ্টায়”। ম্যাকডোনাল্ড জাপান একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছে, এগুলোর ভেতর খাবারে মানুষের দাঁত পাওয়ার ঘ্টনাও রয়েছে। গত গ্রীষ্মে জনৈক চীনা সরবরাহকারীকে মেয়াদোত্তীর্ণ মাংস তাজা খাবারের সাথে মেলানোর ঘটনা ধরা পড়ে। ফলে বিক্রিতে ধস নামে এবং ম্যাকডোনাল্ড দ্রুত থাই পাইকারি বিক্রেতার দ্বারস্থ হয়। গত এপ্রিলে কোম্পানি জাপানের ৩ হাজার শাখার মধ্যে ২ হাজার শাখায় সংস্কারের কথা ঘোষণা করে এবং ১৩০টি শাখা বন্ধ করে দেয়, সাথে খরচ কমাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় তাদের বিক্রির উপর প্রভাব পড়ে। ফেব্রুয়ারিতে ২ হাজার ১৮০ কোটি ইয়েন বা ১৮ কোটি ২০ লক্ষ ডলার লোকসান হয়। গত ১১ বছরের মধ্যে এটি ছিলো তাদের প্রথম লোকসানের ঘ্টনা।

হজ্ব বিষয়ক ভুল-ভ্রান্তি: মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া

হজ্বই একমাত্র ইবাদত, যার নিয়ত করার সময়ই আল্লাহ তাআলার নিকট সহজতা ও কবুলের দুআ করা হয়। অন্যান্য ইবাদত থেকে হজ্বের আমলটি যে কঠিন তা এ থেকেই স্পষ্ট। হজ্বের সঠিক মাসআলার জ্ঞান যেমন জরুরি, তেমনি তা আদায়ের কৌশল এবং পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে করণীয় বিষয়গুলোর প্রতি পূর্ণ খেয়াল রাখাও জরুরি। হজ্বে যে সকল ভুল হতে দেখা যায় তা সাধারণত উদাসীনতার কারণেই হয়ে থাকে। তাই নিম্নে সচরাচর ঘটে থাকে এমন কিছু ভুল উল্লেখ করা হচ্ছে। যেন হাজ্বীগণ এ সকল ভুল-ভ্রান্তি- থেকে বেঁচে সুষ্ঠুরূপে হজ্ব আদায়ে সক্ষম হন। আল্লাহ তাআলা তাওফীক দান করুন। ইহরামের দুই রাকাত নামাযের জন্য ইহরাম বিলম্বিত করা ইহরাম বাঁধার আগে দুই রাকাত নামায পড়ার নিয়ম আছে। তাই অনেককে দেখা যায়, এই দুই রাকাত নামাযের সুযোগ না পাওয়ার কারণে ইহরাম বিলম্বিত করতে থাকে। এমনকি এ নামায পড়তে না পারার কারণে কেউ কেউ ইহরাম ছাড়াই মীকাতে র ভেতরে পর্যন- চলে যায় অথচ ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নয়। তারা যেহেতু ইহরামের আগে দুই রাকাত নামায আদায়কে জরুরি মনে করে তাই তারা এমনটি করে থাকে। অথচ ইহরামের আগে নামায পড়া সকল মাযহাবেই মুস্তাহাব; জরুরি কিছু নয়। পক্ষান-রে ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করা নাজায়েয। সুতরাং ইহরামের আগে নামাযের সুযোগ পেলে তো তা আদায় করা চাই, কিন্তু সুযোগ না পেলে সে কারণে ইহরাম বাঁধাকে বিলম্ব করবে না।-সহীহ মুসলিম ১/৩৭৬; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১২৯০০; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ৯৮; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৫/৮১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২৩; রদ্দুল মুহতার ২/৪৮১-৪৮২ ইহরাম বাঁধার নিয়ম সংক্রান্ত- ভ্রান্তি-সমূহ অনেকে মনে করে থাকে যে, ইহরামের কাপড় পরে নামায পড়ার পর নিয়ত করলেই ইহরাম সম্পন্ন হয়ে যায়। এ ধারণা ভুল। এগুলো দ্বারা ইহরাম সম্পন্ন হয় না। নিয়ত আরবীতে করা হোক বা বাংলাতে, সশব্দে করা হোক বা মনে মনে এর দ্বারা ইহরাম সম্পন্ন হয় না; বরং নিয়তের পর তালবিয়া পড়লে ইহরাম পূর্ণ হয়। অতএব বোঝা গেল, ইহরাম সম্পন্ন হয় দুই বস’র সমন্বয়ে : ১. হজ্ব বা উমরার নিয়ত করা ও ২. তালবিয়া পড়া।-জামে তিরমিযী ১/১০২; গুনইয়াতুন নাসিক পৃ. ৬৫; মানাকি মোল্লা আলী কারী পৃ. ৮৯ মক্কাগামীদের জন্য জিদ্দায় ইহরাম বাঁধা কেউ কেউ আগে থেকেই ইহরাম বাঁধা ঝামেলা মনে করে এবং ভাবে যে, ইহরাম বেঁধে নিলেই তো ইহরামের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়ে যাবে। বিমান যেহেতু জিদ্দায় অবতরণ করবে তাই জিদ্দায় ইহরাম বাঁধার ইচ্ছায় ইহরামকে বিলম্বিত করে। অথচ মীকাতের বাইরের হাজ্বীদের জন্য ইহরাম ব্যতীত মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নেই। উপমহাদেশ থেকে গমনকারী হাজ্বীদের জন্য মীকাত হল কারনুল-মানাযিল ও যাতু ইরক যা অতিক্রম করেই জেদ্দায় যেতে হয়। যদি কেউ বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম করে তবে তার জন্য পুনরায় মীকাতে ফিরে এসে ইহরাম […]

পরীক্ষামূলক ভাবে জাপান বিদেশি গৃহকর্মীর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে

জাপানের গৃহস্থালি সেবা বিদেশি কর্মীদের জন্যে পরীক্ষামূলক ভাবে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। দু’টি অঞ্চলে এক বছরের মধ্যেই প্রাথমিক ভাবে এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য সকল স্থানেও এই আইন প্রযোজ্য হবে। জাপানে এই খাতে কর্মী সংকট রয়েছে। কর্মপরিবেশের যথাযথ শর্তপূরণ সাপেক্ষে আপাততঃ গৃহকর্মীর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠছে ওসাকা এবং কানাগাওয়া প্রিফেকচারে। জাপানের জাতীয় কৌশলগত অর্থনৈতিক অঞ্চলের উপর একটি বিশেষ কমিটি সেপ্টেম্বরে এর পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা চুড়ান্ত করবে। নতুন আইন অনুসারে গৃহস্থলির কাজের জন্যে বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তা অবশ্যই পূর্ণকালীন ভিত্তিতে এবং বেতন জাপানি কর্মীদের সমান বা বেশি হতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৩ বছর মেয়াদে বিদেশি গৃহকর্মী আনতে পারবে। সার্বক্ষণিক ভাবে গৃহকর্মীকে রাখা যাবে না এবং নিয়োগকর্তা কর্মীর আবাসন নিশ্চিত করবেন। ওসাকা এবং কানাগাওয়া কোম্পানি গুলোকে নতুন নীতিমালা মেনে চলতে অনুরোধ করবে। দাসুকিন হলো জাপানের অন্যতম বৃহৎ গৃহকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। তারা এই সুযোগের পূর্ণাঙ্গ সদ্ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে। ইতিমধ্যেই তারা বিদেশি ছাত্র এবং অন্যান্য স্বল্প-মেয়াদী অভিবাসীদের খন্ডকালীন ভিত্তিতে “পরিষ্কার কর্মী”র মতো বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে আসছে। বিদেশি পূর্ণকালীন কর্মীদেরকে দিয়ে শিশুর যত্ন ও বাজার করার মতো বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা সম্ভব। এর সাথে থাকছে সাধারণ গৃহস্থলির কাজকর্ম। দাসুকিন দাবি করেছে যে তারা বিদেশি ও জাপানি কর্মীদের সমান কাতারে রাখা হবে এবং মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। টোকিও ভিত্তিক গৃহকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিয়ার ফিলিপাইন সহ অন্যান্য দেশ থেকে গৃহকর্মী সংগ্রহের উদ্যোগ নেবে কারণ তারা ওসাকা ও কানাগাওয়া’তে তাদের কর্মপরিসর বৃদ্ধি করছে। বিয়ার ফিলিপাইনে নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণের জন্যে এক বছরের মধ্যে একটি সাবসিডিয়ারি খুলবে। তাদের উদ্দেশ্য শ্রম বাজারে বড় রকমের দখল নেয়া। প্যাসোনা লাইফকেয়ার ফিলিপাইন থেকে ৫০ জন বিদেশি কর্মীকে নিয়োগ দেবে। বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ প্রদান জাপানের কর্মী সংকটকে কিছুটা দূরীভূত করবে। সরকারের এক পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে গৃহকর্মী পরিসেবা ৬০ হাজার কোটি ইয়েন বা ৫০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে যা ২০১২ সালের তুলনায় ৬ গুন। বর্তমানে বহু গৃহকর্মী প্রবীণ হয়ে পড়েছেন এবং কেবলমাত্র খন্ডকালীন ভিত্তিতে কাজ করে থাকেন, ফলে গৃহকর্মীর জন্যে নতুন উৎসের প্রয়োজন পড়ছে। এতো দিন পর্যন্ত গৃহকর্মীর জন্যে জাপানের নাগরিক হওয়া কিম্বা বিদেশিদের যথাযথ যোগ্যতা থাকা বাধ্যতামূলক ছিলো যা বিদেশি কর্মীদেরকে কঠোর ভাবে গৃহস্থলীর আওতার বাইরে রাখছিলো। যদি এই ব্যবস্থা সফল হয় তবে রাজধানী টোকিও সহ অন্যান্য স্থানেও গৃহকর্মীদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। নীতিটি শেষ পর্যন্ত দেশের সকল স্থানের জন্যে প্রযোজ্য হবে।