‘বাংলাদেশ’

সাকিবের ওপর নির্ভরশীল নয় বাংলাদেশ দল

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের স্পটলাইটটা এখন সৌম্য সরকারের দিকে। বিশ্বকাপ থেকে ব্যাটিংয়ে তার আগ্রাসী মেজাজটাই বাংলাদেশের চেহারা দিয়েছে বদলে। ১৩টি ওয়ানডে ইনিংসে গড়টাও তার ঈর্ষণীয়, ৪০.৫৮। অথচ, ওয়ানডের আক্রমণাত্মক টপ অর্ডার ক্যারিয়ারের প্রথম ২টি টি-২০তে মেলে ধরতে পারেননি নিজেকে। রাবাদার বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে গত পরশু করেছেন মারাত্মক ভুল। ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে অপরিনামদর্র্শী শটে শুধু নিজেই আউট হননি, তার ওই আউটেই লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। দ. আফ্রিকার কাছে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে (৫২ রানে) হেরে যাওয়ায় অপরাধবোধে তাড়িত এই বাঁহাতি ওপেনারÑ ‘সবাই বুঝছে, আমিও বুঝছি, আমার জন্য একটু খারাপই হচ্ছে। আমি থিতু হয়ে আউট হচ্ছি, এটা আমার চেয়ে দলের জন্যই বেশি খারাপ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমি অনেক কাজ ও পরিকল্পনা করছি।’  প্রথম ম্যাচে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারার মাশুল দিয়েছে বাংলাদেশ দল, তার জন্য অনুতপ্ত এই টপ অর্ডারÑ ‘সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল। পরিকল্পনা ছিল, প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ রান করে রাখলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক সুবিধা হবে। এই পরিকল্পনা নিয়েই চেজ করতে নেমেছিলাম। তবে আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। শুরুতেই দুটি উইকেট হারিয়েছি। শুরুতে এই ধাক্কা খাওয়ার কারণে আমরা পিছিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ফিল্ডিং, বোলিংয়ে সফল হয়েছে। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ব্যাটিং করতে পারলে হয়তোবা ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে আসতে পারতো।’ ১৪৯ রান চেজ করতে নেমে প্রোটিয়া অফ স্পিনার ডুমিনি এবং বাঁ হাতি স্পিনার ফাঙ্গিসো কেন ভয়ংকর হয়ে উঠবে? নিজেদের চেনাজানা স্পিন ফ্রেন্ডলি উইকেটে নিজেরাই উল্টো ফাঁদে পড়বে? এ প্রশ্ন সৌম্যর। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের মাঝপথে উইকেটে বাড়তি টার্ন পাওয়ায় পরিস্থিতিটা বদলে গেছে বলে মনে করছেন সৌম্যÑ ‘শুরুতে কিন্তু উইকেটে ততটা টার্ন ছিল না। যখন মুশফিক ভাই আউট হয়ে গেছে বা আমাদের একটু বেশি উইকেট পড়ে গেছে তখন আমরা পিছিয়ে গেছি। ঐ সময়ে উইকেটে একটু টার্ন বেশি ছিল। ব্যাটসম্যানরা চাপে থাকলে আর কন্ডিশন বোলারদের পক্ষে থাকলে এটা হতে পারে। ’ টি-২০তে টপ অর্ডারদের ভূমিকা একটু বেশি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর তা উপলব্ধি করছেন সৌম্যÑ ‘সাকিব ভাই শেষ করে এলে বা দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের কেউ একজন শেষ করে আসতে পারলে ভালো হতো। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা যদি বড় জুটি গড়ে দিয়ে আসতে পারতাম তাহলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য ম্যাচটা হাতে নেয়া সহজ হতো।’ টি-২০তে বাংলাদেশের একমাত্র স্পেশালিস্ট ক্রিকেটার সাকিব। তবে আইপিএল, বিগ ব্যাশ এবং সিপিএল’র পারফর্মার সাকিবের উপর বাংলাদেশ দল এখন নির্ভরশীল, তা মানতে নারাজ সৌম্যÑ ‘টি-২০তে সাকিব ভাই অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সব জায়গাতেই খেলেন। তবে আমরা উনার ওপরই নির্ভরশীল তা কিন্তু নয়। এখন সবাই পারফর্ম করছে বলেই আমাদের ফল ভালো হচ্ছে। উনি ভালো […]

বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে চলবো আমরা’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে এখন আর অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে আরও বেশি উজ্জ্বল করে তুলেছে ক্রিকেট দলের সোনার ছেলেরা। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। কাজেই আমাদের কেউ হারাতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বিশ্ব সভায় আমরা মাথা উঁচু করে চলব, মাথা নিচু করে নয়। শনিবার গণভবনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকাপে ভালো খেলায় এবং পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করায় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ এবং ক্রিকেট বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাতে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পুরস্কারের চেক তুলে দেন। এ সময় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ক্রিকেটারদের অটোগ্রাফ দেয়া একটি ব্যাট প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন। ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের টাইগাররা সাবেক বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করেছে। তাদের নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে। বাংলাদেশকে আর অবহেলা করার সুযোগ নেই। সেটা টাইগাররা ক্রিকেট বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে। এখন যারাই বাংলাদেশ সফরে আসবে তাদের হিসাব করে খেলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল একদিন বিশ্বকাপ জিতবে। এখন আমরা তারই নমুনা দেখতে পাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো দারিদ্র্য থাকবে না। বাংলাদেশ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ আর নিম্নে থাকবে না। ঊর্ধ্বে থাকবে। ক্রিকেটারদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ছেলেদের আরও আন্তরিকতা নিয়ে খেলতে হবে, যাতে বাংলাদেশের মুখ আরও উজ্জ্বল হয়। তবে এ কথা বলে আমি খেলোয়াড়দের চাপে ফেলতে চাই না। খেলার মাঠে নিজেদের মধ্যে কোনো রকম চাপ রাখা যাবে না। আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। একটু খারাপ খেললেই পত্র-পত্রিকাগুলো লিখতে শুরু করে। আমি সব সময় এর প্রতিবাদ করে আসছি। খেলায় হার-জিত আছে। সবচেয়ে বড় কথা, খেলার মাঠে কত ভালো নৈপুণ্য দেখানো যায়, কতটা ভালো খেলা উপহার দেয়া যায় সেটি বড় বিষয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৪ বছরের সংগ্রাম ও যুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করেছে, এটি মনে রাখতে হবে। তাহলে বাংলাদেশকে কেউ হারাতে পারবে না। আমাদের এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। বাংলাদেশ এই আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবে। ক্রিকেট আমাদের যে মর্যাদা দিয়েছে, তার জন্য আমরা গর্বিত। দেশে আরো উন্নত মানের স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আরও দুটি উন্নত মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ করব। একটি হবে কক্সবাজারে, আরেকটি পদ্মার পাড়ে। পদ্মার পাড়ে একটি আধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স করব আমরা, সে মাস্টারপ্লান করতে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ এসবের বাস্তবায়ন করতে পারব। আমরা আর আর্থিকভাবে দুর্বল নই। শুধু ক্রিকেটই নয়, বাংলাদেশের সব খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতার পর ক্রিকেটার, কোচ, স্টাফ, বিসিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ […]

ইতিহাস গড়তে চায় বাংলাদেশ

সময় ও সাফল্য মানুষকে কতোটা বদলে দিতে পারে তার একটা দারুণ উদাহরণ হলেন বাংলাদেশ কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। প্রথম যখন এক বছর আগে ঢাকায় এলেন মুখে মাপা হাসি, কাটা কাটা কথা। প্রশ্ন শুনলেই বোঝার চেষ্টা করতেন, আক্রমণ হচ্ছে কি না। সেই হাতুরুসিংহে এখন সংবাদ সম্মেলনে এসে সমানে রসিকতা করেন, চাপা হাসি হাসেন আর বারবার বলে দেন, সময়টা এখন তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শুরুর আগে প্রতিপক্ষ নিয়ে সর্বোচ্চ সম্মান দেখালেন। নিজেদের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বললেন। তবে দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড আর ইতিহাসের প্রশ্ন আসতেই চোয়ালটা শক্ত করে ফেললেন, মুখ গম্ভীর করে বললেন, তিনি ইতিহাস বদলাতে এসেছেন; ইতিহাসের স্রোতে গা ভাসাতে আসেননি! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ যাবত্ বাংলাদেশের একমাত্র অর্জন সেই ২০০৭ বিশ্বকাপের একটি জয়। উড়ন্ত ফর্মে সেই দলটির মুখোমুখি হওয়ার আগে হাতুরুসিংহে পরিষ্কার বলে দিলেন নিজের এই দর্শনের কথা, ‘আমি ইতিহাসে বিশ্বাস করলে এখানে বসে থাকতে পারতাম না। আমি তাহলে জিততেই পারতাম না। আমি ইতিহাসে বিশ্বাস করি না। ইতিহাস ব্যাপারটাই তৈরি হয়েছে বদলানোর জন্য। আমরা সেটা কীভাবে করবো, সেটা হলো বিষয়। আমরা ইতিহাসের অংশ হতে চাই না, আমরা ইতিহাস গড়তে চাই। আমরা অতীতে বাস করি না, আমরা বর্তমানে বাস করি।’ সেই বর্তমানটা যে শুধু ক্রিকেট দলের জন্য নয়, পুরো দেশের জন্য রোমাঞ্চকর, সেটাও বলে দিলেন জাতীয় দলের এই প্রধান কোচ, ‘আমার ধারণা, এটা পুরো বাংলাদেশের জন্যই রোমাঞ্চকর একটা সময় কাটছে। আমি মনে করি, জয় সবসময়ই ভালো অভিজ্ঞতা। তার ওপর আমরা যেভাবে জিতছি এবং খেলছি, সেটা বিশেষ রোমাঞ্চকর। এমন জয় তো আমাদের আগে খুব আসেনি, তাই অবশ্যই রোমাঞ্চকর।’ যেহেতু সময়টা খুব রোমাঞ্চকর, তাই শিষ্যদের এটা উপভোগ করারই অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছেন কোচ। আর এই উপভোগে অন্তত কোনো অন্যায় দেখেন না হাতুরুসিংহে, ‘আমি এই জয় উদযাপনে এখনও পর্যন্ত এমন কিছু দেখিনি যাতে তাদের মনোসংযোগ নষ্ট হতে পারে। তারা পা মাটিতেই রাখছে। তবে এটাও সত্যি যে, জয় ব্যাপারটা উপভোগ করতে হয়। এদের অনেকেই এই ধরনের জয় এর আগে কখনো পায়নি। ফলে তাদের নজিরবিহীন এই আনন্দ করতে দিতে হবে। তাদের সব ধরনের অধিকার আছে উপভোগ করার এবং উপভোগ করতে যে আত্মবিশ্বাস চাই, সেটাও আছে।’ এমনকি খেলোয়াড়রাও যাতে অতীত রেকর্ড নিয়ে মাথা না ঘামায়, সে জন্য নাকি কোচের চেষ্টার কমতি নেই, ‘খেলোয়াড়রা কী ভাবে, কী পড়ে; সেটা তো আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমি শুধু ওদের বলতে পারি, বর্তমান ও ভবিষ্যত্ নিয়ে ভাবতে। আমি সবসময় ওদের বলি, তারা কতোটা ভালো সেটা নিয়ে ভাবতে; আগে কী হয়েছে তা নিয়ে নয়।’ যে বাংলাদেশ এক বছর আগেও হারছিলো, তারা কিভাবে এতো বদলে গেলো, এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বোলিং আক্রমণ নিয়ে কোচের কথা শুনলে বুঝবেন, বৈচিত্র্যই এই […]

পবিত্র ওমরা পালনে যাচ্ছেন ২০ দলীয় জোটনেত্রী গণঅভ্যুত্থানেই বিদায় নেবে স্বৈরাচার : খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানেই স্বৈরাচার বিদায় হবে। দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশে শান্তি ও সম্মান ফিরে আসবে। গতকাল এক ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নির্বাসিত। আইনের শাসন অনুপস্থিত। মানবাধিকার পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। মানুষ আজ প্রতিনিয়ত গুম-খুন-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ জন্য দায়ী বর্তমান জবর দখলকারী এই সরকার। তারা (সরকার) কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাদের নিয়ন্ত্রণে কোনো কিছু নেই।সকল অপকর্মের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের এমপি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা জড়িত অভিযোগ করে তিনি বলেন, সকল পেশার মানুষ ও দেশবাসীর কাছে একটাই আমাদের আহবান থাকবে, আসুন এই রমজান মাসে প্রতিটি নামাজে আল্লাহর কাছে দোয়া করব, ফরিয়াদ করব যাতে তিনি (আল্লাহতালা) এই জালেমদের দ্রুত বিদায় করেন। ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাব মিলনায়তনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন-ড্যাব এর উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বেগম খালেদা জিয়া। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-স্যার সলিমুল্লাহ-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম-বগুড়াসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক, চিকিৎসক এবং তিন হাজার চিকিৎসক অংশ নেন।যানজটের কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন ইফতারের শুরুর মিনিট খানেক পর অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এর পরপরই অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা  চৌধুরী। ইফতার শেষে বেগম জিয়া চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। প্রবীণ চিকিৎসক বি. চৌধুরী, অধ্যাপক এমএ মাজেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির খন্দকার মাহবুব হোসেন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের রুহুল আমিন গাজী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের শওকত মাহমুদ, ড্যাব এর সভাপতি অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক ও মহাসচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনকে নিয়ে এক টেবিলে বসে ইফতার করেন বিএনপি  চেয়ারপারসন। এছাড়া শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বায়েস ভুঁইয়া, অধ্যাপক আবু আহমেদ, অধ্যাপক সদরুল আমিন, ইউনিভার্সিটি টিচার অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের জাকির হোসেন, সাংবাদিক নেতা এম আজিজ, আব্দুুল হাই শিকদার, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান আসাদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান প্রমুখ ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।দখলবাজ ও চাঁদাবাজির জন্য ক্ষমতাসীনদের অভিযুক্ত করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের এমপি ও তার পরিবার এমনকি ছাত্রলীগ-যুবলীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা মানুষের বাড়ি-ঘর, জমি-জমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করছে। তাদের চাঁদাবাজির অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। সাধারণ মানুষ আজ কীভাবে রোজা রাখে সেদিকে অবৈধ সরকারের কোনো নজর নেই। তারা বড় বড় মিথ্যা বুলি আওড়ায়। আর বড় বড় প্রকল্পের নামে সব টাকা কমিশন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। প্রশাসন ও বিচারবিভাগে দলীয়করণের অভিযোগও করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।তিনি […]

বাংলাওয়াশের আবহ মিরপুরে

প্রায় এক সঙ্গে দু’দল এসেছে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে, পাশাপাশি করেছে অনুশীলন। তবে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে খেলোয়াড়রা যতোটা প্রাণবন্ত, বিপরীতে উৎকণ্ঠায় ভারত শিবির! এক বছর আগে সেরা ৭ জনকে রেখে বাংলাদেশ সফরে দল পাঠিয়ে ২-০তে জয়ে হাসতে হাসতে যারা ফিরেছে দেশে, এক বছর পর দৃশ্যপটে পরিবর্তন! পুঁচকে এক বোলারে (মুস্তাফিজুর) ছিন্নভিন্ন ভারত এখন ০-২-এ পিছিয়ে বাংলাওয়াশ আতঙ্কে আতঙ্কিত!  জিম্বাবুয়েকে ৫-০ তে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়ে অন্য এক বাংলাদেশের আবির্ভাবের জানান দিয়ে হোমে দুর্বার হয়ে উঠেছে। সিরিজ জয়েও তৃপ্ত নয় হাতুরুসিংহের শিষ্যরা।  পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়হীন ১৬ বছর কাটানোর জ্বালা জুড়াতে ওই প্রতিপক্ষকে ৩-০তে বাংলাওয়াশ কাব্য রচনা করে ভারতের বিপক্ষে ইতিহাসের প্রথম সিরিজ জয়কে বাংলাওয়াশে রূপ দিয়েই উৎসবের প্রত্যয় মাশরাফিদের। তা হলে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক অনন্য রেকর্ডটাও যে হয়ে যাবে বাংলাদেশের। ১৮তম সিরিজ জয়কে একাদশতম বাংলাওয়াশে পরিণত করার সে আবহই এখন মিরপুরে। যা ভারতকে ১৯তম হোয়াইট ওয়াশের সামনে রেখেছে দাঁড়িয়ে! এই মিরপুর দিয়েছে বাংলাদেশকে অনেক কিছু।  ভেন্যুর অভিষেক সিরিজে স্কটল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ দিয়ে শুরু, ২০১০-এ নিউজিল্যান্ড, ২০১৩ তে পাকিস্তানের পর ভারতের বিপক্ষেও আর একটি হোয়াইট ওয়াশের ইতিহাস রচনার হাতছানি। বাংলাওয়াশের হ্যাটট্রিক পূরণে তাই সংকল্পবদ্ধ এখন বাংলাদেশ দল। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সে প্রত্যয়ী কণ্ঠ নাসিরের মুখেÑ ‘উপর্যুপরি সিরিজ পাকিস্তান সিরিজ আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। ওইটা ভারতের বিপক্ষে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। আমরা  যে যেমন, সে যদি সেভাবে খেলতে পারি, তবে আশা করি ভারতকে হারাতে পারবো।’ ২-০তে এগিয়ে থেকে শেষটা ও একই ভাবে করতে কতোটা প্রত্যয়ী, ড্রেসিংরুমের সে বার্তাই মিডিয়াকে জানিয়েছেন নাসিরÑ ‘ড্রেসিংরুমে  কথা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আমরা যদি ২টি ম্যাচ হারতাম তাহলে আমাদের কেমন প্রেসার থাকতো, কীভাবে সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলতাম আমরা। অবশ্যই যেনো সেভাবে জেতার জন্যই খেলি। সবাই যেন সিরিয়াস থাকে। বিন্দু পরিমাণও ছাড় দেয়া যাবে না।’ সব হারিয়ে শেষ ম্যাচে ভারত সান্ত¦না নিয়ে দেশে ফিরতে মরিয়া হয়ে খেলবে, তা বোঝানোর প্রয়োজন নেই বাংলাদেশ দলকে। মেলবোর্ন অবিচারের জবাব দিতে ভারতের উপর ক্রিকেটিং আক্রোশ এতোটাই চালিয়েছে, ইতিবাচক এবং আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের সে তত্ত্ব উপস্থাপনের আর একটি ক্ষেত্র আজ। এমনটাই জানিয়েছেন র‌্যাংকিংয়ে ৮৮ থেকে ৯৩ পয়েন্টে উঠে, ৭ নম্বর পাকাপোক্ত করা বাংলাদেশ দল। নাসির সেই প্রত্যয়ের কথাই শুনিয়েছেনÑ ‘ভারত আমাদের উপর তাদের সর্বোচ্চ আক্রমণ করতে হয় এটা আমরা জানি। কে কি পরিকল্পনা করে আমাদের উপর আক্রমণ করলো এটা দেখার বিষয় নয়। আমরা কি করছি সেটাই আমাদের কাছে অনেক বড় ব্যাপার। প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই আলাদা আলাদা রোল আছে আমরা নিজেদের রোলটুকু মাঠে প্রয়োগ করার চেষ্টা করব। দলের চিন্তা-ভাবনা আসলে তেমন কিছু না। চেষ্টা থাকবে ম্যাচটি জেতার। আমরা জেতার জন্যই খেলবো এটাই সবচেয়ে বড় কথা।’ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে গত বছর নিউজিল্যান্ডের কাছে ০-৪ এ হারের পর হোচট খেতে হয়নি ভারতকে। […]

আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশ

৯১ দিন এক অসহনীয় যন্ত্রণা আর ক্ষোভের আগুন বুকে নিয়ে অবিচারের প্রতিশোধ নেয়ার অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন একাত্ম হওয়া বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আইসিসির চেয়ারম্যান ভারতের শ্রীনিবাশনের সহযোগিতায় আম্পায়ারদের সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশকে অন্যায়ভাবে হারিয়েছিল ভারত। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯ মার্চ। সেই ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সারা বাংলাদেশ। মানুষের চোখের পানিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল ৫৫ হাজার বর্গমাইলের দেশটির। সেদিন থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে একাত্ম হয়ে যান বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যেমন বাংলাদেশের মানুষ সব ভেদাভেদ ভুলে স্বাধীনতার জন্য সবাই মিলে একাত্ম হয়েছিলেন, ঠিক তেমনি স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো এই ক্রিকেট ইস্যুতে আবারো বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ একাত্ম হয়ে শুধু অপেক্ষায় ছিলেন ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ঐ ম্যাচের প্রতিশোধ নেবার নেশায়। অবশেষে ৯১ দিনের মাথায় স্বপ্নপূরণ হল বাংলাদেশের মানুষের। মেলবোর্ন অবিচারের সমূচিত জবাব পেয়েছে ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই টাইগারদের কাছে কুপোকাত তারা। জয়ের নয়, প্রতিশোধ নেয়ার আনন্দের জোয়ারেই এখন ভাসছে সারা বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জয়ের আনন্দের চেয়েও অনেক বেশি প্রাপ্তি ছিল প্রতিশোধের মাধ্যমে ৯১ দিন বুকে লালন করা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মনের ক্ষোভের আগুন প্রশমিত হওয়া। আর দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতকে একেবারে সহজেই উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জিতে টাইগাররা শুধু ভারতকেই নয় পুরো ক্রিকেট বিশ্বকেই জানিয়ে দিলো, বাংলাদেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে দেখাটাই যে এখন ক্রিকেট ব্যাকরণের সবচেয়ে বড় ভুল। ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এই সিরিজ জয়ে আনন্দে আত্মহারা বাংলাদেশের মানুষ। এর আগে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে এবং পাকিস্তান দলকে হোয়াইট ওয়াশ করলেও ঐ দুটি দলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের আগুন ছিল না বাংলাদেশের দর্শকদের মনে। সবাই অপেক্ষায় ছিলেন শুধু ভারতকে ধরাশায়ী করার প্রত্যাশায়। পবিত্র রমজান মাস থাকায় ইবাদত বন্দেগিতে ব্যস্ত থাকার কারণে বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমে স্বভাবসুলভ উল্লাস প্রকাশ করতে না পারলেও ঘরে ঘরে চলছে আনন্দের বন্যা। ঘরে বাইরে অফিস আদালতে সর্বত্রই একই আলোচনা বাংলাদেশের ভারত জয়। খেলা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই দর্শকরা খ- খ- আনন্দ মিছিল বের করে স্টেডিয়াম এলাকা প্রদক্ষিণ করে। দর্শকরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করেছেন শুধু এক এবং অভিন্ন আওয়াজে ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরের রাতের আঁধারও আলোকিত হয়ে যায় উৎসবের আনন্দে। ঢাকার বাইরেও সারা দেশে চলে আনন্দ-উল্লাস। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে এক হয়ে অতীতে আর কখনোই এভাবে আনন্দ-উল্লাস করতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশের দর্শকদের মনে যে ভারত সম্পর্কে কতটা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে তার প্রমাণ মেলে বাংলাদেশের ক্ষুদে দর্শক অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের টেন গ্রেডের ছাত্র লাবিব জোহায়ের হোসেনের মন্তব্যে। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে এসে লাবিব মন্তব্য করে, ‘ভবিষ্যতে যতবারই বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ম্যাচ হবে, তাতে যদি ভারত আম্পায়ারদেরকে ম্যানেজ করতে না পারে তাহলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের জয়লাভ করাটা খুবই কঠিন হবে।’ উল্লেখ্য, লাবিব […]

সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে লড়ছে টাইগাররা

ম্যাচ জিতলেই সিরিজ জয়। লক্ষ্য মাত্র ১৯৯ রান। হাতে আছে ৭ উইকেট।  দরকার একশ’ রানেরও কম। তাই গ্যালারির দর্শকরা হৈ হুল্লোড় করতেই পারেন। কেননা তারা যে ইতিহাসের সাক্ষি হচ্ছেন। তামিম ১৩ ও সৌম্য ৩৪ রানে আউট হলেও সাকিব ও মুশফিকের দৃঢ়তায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারনে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকায় তিন ওভার কমিয়ে ৪৭ ওভারে খেলা নির্ধারণ করা হয়।  তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২০০ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। বল হাতে ১০ ওভারে ৪৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস কথা বলেছে ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির পক্ষে। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন ধোনি। তবে এটি যে ভুল সিদ্বান্ত ছিল, তার প্রমাণটা দিলেন আগের ম্যাচের হিরো মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শুন্য হাতে ওপেনার রোহিত শর্মাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজুর। ফলে শুরুতেই চালকের আসনে বসে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে চালকের আসন থেকে সড়াতে তিন নম্বরে নামা বিরাট কোহলিকে নিয়ে রান তোলায় মনোনিবেশ করেন আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান। দ্রুতই সেট হয়ে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন দু’জনে। ফলে কিছুটা লাইন-লেন্থহীন হয়ে পড়ে বাংলাদেশের বোলিং। কিন্তু এতেও যে হাল ছেড়ে দেবার দল, এখন আর নয় বাংলাদেশ। তাই দ্বিতীয় উইকেটে দলের জন্য ৭২ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি ধাওয়ান-কোহলি। অকেশনাল বোলার দিয়েই ধাওয়ান-কোহলি জুটি ভাঙ্গেন অধিনায়ক মাশরাফি। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ বলে ২৩ রান করে নাসিরের বলে আউট হন কোহলি। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে উপরে উঠিয়ে এনে ধাওয়ানের সাথে ক্রিজে যোগ দেন দলপতি ধোনি। লক্ষ্য ছিল বড় জুটি গড়ে বড় স্কোর গড়া। সে পথে ভালোই হাটচ্ছিলেন তারা। এর মাঝে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ-সেঞ্চুরিও তুলে নেন ধাওয়ান। এই জুটিও যখন ভংকর হবার পথে, আবারো বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ এনে দেন নাসির। ৭টি বাউন্ডারিতে ৬০ বলে ৫৩ রান করা ধাওয়ানকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান নাসির। ধাওয়ানের বিদায়ের পরের ওভারেই আবারো উইকেট শিকারের আনন্দ করে বাংলাদেশ। আজিঙ্কা রাহানের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া আম্বাতি রাইদুকে তিন বলের বেশি খেলতে দেননি রুবেল হোসেন। নাসিরের দুর্দান্ত ক্যাচে তাই শুন্য হাতেই ফিরতে হয় রাইদুকে। ১১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকঁতে থাকা ভারতকে এরপর সামনের দিকে টেনে নিয়ে নেন ধোনি ও সুরেশ রায়না। কিছুটা সময় নিয়ে উইকেটে ভালোভাবেই সেট হয়ে যান তারা। ফলে ধীপা হলেও স্কোর বোর্ডে রান আসছিলো ভারতের। তবে সেটি যে খুব বেশি না, তা ভালোই বুঝতে পারছিলেন ধোনি ও রায়না। বাংলাদেশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত-বৈচিত্র্যময়-অসম্ভব সুন্দর বোলিং কারিশমায় রান তোলা কি সম্ভব? উত্তরটা ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দেয়ার আগেই বল হাতে দিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর। উত্তরটা হলো- ‘না’। ৩৬তম ওভারে বল করতে এসে ৪২ ওভার পর্যন্ত ভারতের চার ব্যাটসম্যানকে […]

মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের আপিলেও মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৬ মিনিটে এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং সাম্প্রদায়িক হত্যা-নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের আনা সাতটি অভিযোগের মধ্যে প্রথম অভিযোগে সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে অপরণের পর হত্যা এবং ষষ্ঠ অভিযোগে বুদ্ধিজীবীসহ গণহত্যার ষড়যন্ত্র ও ইন্ধনের অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ওই দণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছিল বিচারিক আদালত। একই রায় এসেছিল সপ্তম অভিযোগে, ফরিদপুরের বকচর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে হত্যা-নিযার্তনের ঘটনায়। আপিল বিভাগের রায়ে প্রথম অভিযোগে আসামির আপিল মঞ্জুর করে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সপ্তাম অভিযোগে তার সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর ষষ্ঠ অভিযোগে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখে মুজাহিদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। পঞ্চম অভিযোগে সুরকার আলতাফ মাহমুদ, গেরিলা যোদ্ধা জহিরউদ্দিন জালাল ওরফে বিচ্ছু জালাল, শহীদজননী জাহানারা ইমামের ছেলে শাফি ইমাম রুমি, বদিউজ্জামান, আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েল ও মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদসহ কয়েকজনকে ঢাকার নাখালপাড়ায় পুরনো এমপি হোস্টেলে আটকে রেখে নির্যাতন এবং জালাল ছাড়া বাকিদের হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার জন্য ট্রাইব্যুনালে মুজাহিদকে দেয়া হয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আপিল বিভাগের রায়ে সেই সাজাই বহাল রাখা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে তৃতীয় অভিযোগে ফরিদপুর শহরের খাবাসপুরের রণজিৎ নাথকে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় মুজাহিদকে। ওই সাজা তার প্রাপ্য বলে আপিল বিভাগও মনে করেছে। এছাড়া দ্বিতীয় অভিযোগে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে হিন্দু গ্রামে গণহত্যা এবং চতুর্থ অভিযোগে আলফাডাঙ্গার আবু ইউসুফ ওরফে পাখিকে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলেও তাতে মুজাহিদের সংশ্লিষ্টতা প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে না পারায় ট্রাইব্যুনাল মুজাহিদকে খালাস দিয়েছিল। এ কারণে এ দুটি অভিযোগ আপিল বিভাগের রায়ে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতদের মধ্যে  মুজাহিদ হলেন চতুর্থ ব্যক্তি, আপিল বিভাগে যার মামলার নিষ্পত্তি হল।

প্রধানমন্ত্রীকে ইফতারের দাওয়াত দিলেন খালেদা জিয়া

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ইফতারের দাওয়াত দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামী রবিবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে রাজনীতিবিদদের সম্মানে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার সকালে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও আসাদুল করীম শাহিন। আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সাংসদ মৃণাল কান্তি ও সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল মজিদ কার্ডটি গ্রহণ করেন।