Archive for June, 2015

শাবান, রমযান, ঈদঃ কিছু প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন : শবে বরাত সম্পর্কে কিছু বিষয় জানতে চাই। আজকাল কারো কারো মুখে শোনা যায় যে, শবে বরাত বলতে কিছু নেই, এ রাতের ফযীলত বিষয়ে যত রেওয়ায়েত আছে সব মওযূ বা যয়ীফ। তাই শবে বরাতকে ফযীলতপূর্ণ রাত মনে করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা জায়েয নয়। তাদের কথা কি ঠিক? যদি ঠিক না হয় তাহলে হাদীস ও সুন্নাহর আলোকে শবে বরাতের গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে জানতে চাই। উত্তর : শবে বরাত অর্থাৎ পনেরো শা’বানের রজনীর ফযীলত সম্পর্কে সহীহ হাদীস রয়েছে। হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, (তরজমা) আল্লাহ তাআলা অর্ধ শা’বানের রাতে (শা’বানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতিত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।-সহীহ ইবনে হিব্বান হাদীস : ৫৬৬৫ শবে বরাতের গুরুত্ব ও ফযীলত প্রমাণিত হওয়ার জন্য এই একটি হাদীসই যথেষ্ট। তবুও হাদীসের বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে এ বিষয়ক আরো হাদীসউল্লেখ করা সম্ভব। নিম্নে আরেকটি হাদীস উল্লেখ করা হল। হযরত আ’লা ইবনুল হারিছ রাহ. থেকে বর্ণিত, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা রা. বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নামাযে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে, আমার আশঙ্কা হল, তাঁর হয়তো ইনতেকাল হয়ে গেছে। আমি তখন উঠে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে আয়েশা! অথবা বলেছেন, ও হুমায়রা! তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না। নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি জান এটা কোন্ রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি তখন বললেন, এটা হল অর্ধ শা’বানের রাত। (শা’বানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ শা’বানের রাতে তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি প্রদান করেন, ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস’াতেই।-শুআবুল ঈমান, বায়হাকী ৩/৩৮২,৩৮৩ উপরোক্ত হাদীস থেকে এ রাতের ফযীলত যেমন জানা যায় তদ্রূপ এ রাতের আমল কেমন হওয়া উচিত তাও বোঝা যায়। অর্থাৎ দীর্ঘ নামায পড়া, সেজদা দীর্ঘ হওয়া, দুআ ও ইসে-গফার করা ইত্যাদি। মোটকথা, সহীহ হাদীস থাকা অবস’ায় শবে বরাতের ফযীলত ও গুরুত্বকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা এবং এ সংক্রান- সকল রেওয়ায়েতকে মওযূ বা যয়ীফ বলা যে কত বড় অন্যায়, তা তো বলাই বাহুল্য। প্রশ্ন : অনেকে শবে বরাতের পরদিন রোযা রাখেন। এ বিষয়ে শরীয়তের হুকুম কী জানতে চাই। উত্তর : শা’বানের এক তারিখ থেকে সাতাইশ তারিখ পর্যন- রোযা রাখার বিশেষ ফযীলতের কথা […]

মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করতে এলডিপিকে আবের আহ্বান

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দলের এক নির্বাহী বৈঠকে তার দল লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করে তা পরিস্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন। দলের জুনিয়ার আইনপ্রণেতারা গত সপ্তাহে মিডিয়ার উপর আক্রমনাত্বক বক্তব্য রাখার সূত্র ধরে সোমবার আবে এলডিপি মহাসচিব সাদাকাজু তানিকাগি’কে এ নির্দেশ দেন। জুনিয়ার আইনপ্রণেতাদের আয়োজিত এক সমীক্ষা বৈঠকে সরকারের সমালোচনাকারী মিডিয়া গুলোর নিন্দা জানানো হয়, তাদের মতে মিডিয়া গুলো পক্ষপাত দুষ্ট। একজন আইনপ্রণেতা বলেন বিজ্ঞাপন আয় বন্ধ করে দিয়ে এ সব পত্রিকা গুলোকে উপযুক্ত শিক্ষা দেয়া উচিত। তানিগাকি আবে’কে জানান দল সমীক্ষা বৈঠকের আয়োজক সদস্যকে পদচ্যুত করেছে। আবে বলেন, এলডিপি’র অনেক সাবেক কর্মীকে ওকিনাওয়ার জনগনের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে গেছেন। তিনি বলেন জুনিয়ার আইনপ্রণেতাদের মন্তব্য সত্যিই খুব দুঃখজনক যা ওকিনাওয়াবাসীদের অনুভূতির বিপক্ষে যায়। আবে বলেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি এবং এলডিপি যে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করে তা অবশ্যই পরিস্কার ভাবে করে দেখাতে হবে।

পবিত্র ওমরা পালনে যাচ্ছেন ২০ দলীয় জোটনেত্রী গণঅভ্যুত্থানেই বিদায় নেবে স্বৈরাচার : খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানেই স্বৈরাচার বিদায় হবে। দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশে শান্তি ও সম্মান ফিরে আসবে। গতকাল এক ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নির্বাসিত। আইনের শাসন অনুপস্থিত। মানবাধিকার পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। মানুষ আজ প্রতিনিয়ত গুম-খুন-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ জন্য দায়ী বর্তমান জবর দখলকারী এই সরকার। তারা (সরকার) কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাদের নিয়ন্ত্রণে কোনো কিছু নেই।সকল অপকর্মের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের এমপি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা জড়িত অভিযোগ করে তিনি বলেন, সকল পেশার মানুষ ও দেশবাসীর কাছে একটাই আমাদের আহবান থাকবে, আসুন এই রমজান মাসে প্রতিটি নামাজে আল্লাহর কাছে দোয়া করব, ফরিয়াদ করব যাতে তিনি (আল্লাহতালা) এই জালেমদের দ্রুত বিদায় করেন। ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাব মিলনায়তনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন-ড্যাব এর উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বেগম খালেদা জিয়া। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-স্যার সলিমুল্লাহ-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম-বগুড়াসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক, চিকিৎসক এবং তিন হাজার চিকিৎসক অংশ নেন।যানজটের কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন ইফতারের শুরুর মিনিট খানেক পর অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এর পরপরই অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা  চৌধুরী। ইফতার শেষে বেগম জিয়া চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। প্রবীণ চিকিৎসক বি. চৌধুরী, অধ্যাপক এমএ মাজেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির খন্দকার মাহবুব হোসেন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের রুহুল আমিন গাজী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের শওকত মাহমুদ, ড্যাব এর সভাপতি অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক ও মহাসচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনকে নিয়ে এক টেবিলে বসে ইফতার করেন বিএনপি  চেয়ারপারসন। এছাড়া শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বায়েস ভুঁইয়া, অধ্যাপক আবু আহমেদ, অধ্যাপক সদরুল আমিন, ইউনিভার্সিটি টিচার অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের জাকির হোসেন, সাংবাদিক নেতা এম আজিজ, আব্দুুল হাই শিকদার, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান আসাদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান প্রমুখ ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।দখলবাজ ও চাঁদাবাজির জন্য ক্ষমতাসীনদের অভিযুক্ত করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের এমপি ও তার পরিবার এমনকি ছাত্রলীগ-যুবলীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা মানুষের বাড়ি-ঘর, জমি-জমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করছে। তাদের চাঁদাবাজির অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। সাধারণ মানুষ আজ কীভাবে রোজা রাখে সেদিকে অবৈধ সরকারের কোনো নজর নেই। তারা বড় বড় মিথ্যা বুলি আওড়ায়। আর বড় বড় প্রকল্পের নামে সব টাকা কমিশন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। প্রশাসন ও বিচারবিভাগে দলীয়করণের অভিযোগও করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।তিনি […]

চীনের উত্থান জাপানের কাছে অসহ্য লাগছেঃ চীন

জাপানের জনগন চীনের উত্থানকে মেনে নিতে পারছেন না আর আসলে সেটিই হচ্ছে দু’দের মধ্যেকার সম্পর্কোন্নয়নের পথে মূল বাধা -চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও টোকিওতে চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত শনিবার এ কথা বলেন। সাইনো-জাপান সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে চীন যা দেখতে পাচ্ছে তা হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঔপনিবেশিকতার প্রায়শ্চিত্ত করতে ব্যর্থতা। জাপান ও চীন দক্ষিণ চীন সাগরের একটি দ্বীপপুঞ্জের দখল নিয়ে সাম্প্রতিক দিন গুলোতে তিক্ত সম্পর্ক অতিবাহিত করছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ইই একটি শিক্ষা ফোরামে বক্তব্য প্রদানকালে বলেন চীন চায় জাপানের সাথে একটি শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক সুবিধাজনক সম্পর্ক। “কিন্তু প্রশ্ন ওঠে একটি বিষয়েই- জাপান কি তার বৃহত্তম প্রতিবেশী চীনের উন্নয়ন এবং উত্থানকে মেনে নিতে ও স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে?” ওয়াং বলেন। “চীনের উন্নয়ন ইতিমধ্যেই জাপানকে অনেক সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু পারস্পরিক ভাবে আমার মনে হয় না জাপানের পক্ষ থেকে তারা সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত রয়েছে। আমার মনে হয় এটাই চীন ও জাপানের মধ্যেকার অনেক ইস্যুর মূল কারণ” তিনি বলেন। ওয়াং বলেন, এক ভালো জাপানি বন্ধু তাকে বলেছিলেন চীন এখন জাপানের অবস্থানে চলে গেছে যেই স্থানটি ঐতিহাসিক ভাবে জাপানের ছিলো “সুতারাং আমাদের জাপানিদেরকে এই বিষয়টি পুরোপুরি মেনে নিতে হবে”। গত বছর জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং’য়ের সাথে বৈঠকের পর দীর্ঘদিন পরে দু’দেশের মধ্যে বরফ গলতে শুরু করে। তবে এ বছর চীন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৭০ বছর পূর্তী উপলক্ষ্যে এক সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করছে যা দু’দেশের মধ্যেকার উত্তেজনাকে পুনরায় নাড়া দিতে পারে।

মাহে রমাযান: আমরা উপনীত হয়েছি জীবন-পথের হাম্মামে

মাহে রমাযান সমাগত। রহমতের পয়গাম নিয়ে রাব্বুল আলামীনের বার্তাবাহক বান্দার দুয়ারে হাজির। বান্দা যদি তাকে বরণ করে যথাযথ মর্যাদায় আর শিরোধার্য করে রাব্বুল আলামীনের পয়গাম তাহলে দো’জাহানের কামিয়াবী তার পদচুম্বন করবে। গুনাহর সিয়াহী ও পাপের কালিমা থেকে মুক্ত হয়ে সে লাভ করবে হায়াতে তাইয়্যিবা-পবিত্র জীবন। আর তার সেতুবন্ধন তৈরি হবে চির পবিত্র ও সুমহান সত্ত্বার সাথে। তাই মাহে রমাযান রাব্বুল আলামীনের মহা নেয়ামত পৃথিবীর আলো-বাতাসের মতো এই নেয়ামতও আল্লাহ তাআলা সবার জন্য অবারিত রেখেছেন এবং যতদিন ইচ্ছা অবারিত রাখবেন। মাহে রমাযানে গায়বের জগতে সাজ সাজ রব পড়ে যায় আর আল্লাহ তাআলার করুণার সাগরে জোয়ার আসে। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন রমাযানুল মুবারকের আগমন হয় তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয়। আর শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।’ নূরের জগতের এই আলোড়ন মাটির মানুষকেও আলোড়িত করে, এমনকি যে রূহ খাহিশাতের জিঞ্জিরে আবদ্ধ এবং যে কলব গাফলতের নিদ্রায় অভীভূত তাও মুক্তি ও জাগরণের স্পর্শ পেতে অস্থির হয়ে ওঠে। বান্দার রূহ ও কলবের এবং আত্মা ও হৃদয়ের এই আকুতিকে পূর্ণ করার জন্য রব্বুল আলামীন অনুগ্রহ করেছেন এবং বিধান দান করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের প্রতি ফরয করা হল সিয়াম। যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন কর।’ (সূরা বাকারা : ১৮৩) সওমের বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে যে বেলা-হিসাব সওয়াব দান করবেন একটি হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তার কারণ দর্শিয়ে বলেন, সওম হল একান্তই আমার জন্য। আর তার প্রতিদান দিব আমি নিজে। বান্দা তো আমারই জন্য কাম ও পানাহার বর্জন করে।’ (বুখারী ও মুসলিম) অতএব সওম ও রমাযানের যে মহা নেয়ামত আল্লাহ দান করেছেন বান্দার দায়িত্ব তার মর্যাদা রক্ষা করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রোযার দিনে তোমরা কেউ অশ্লীল কথা বলো না এবং হৈ চৈ করো না। কেউ যদি তোমার সাথে ঝগড়া-বিবাদে প্রবৃত্ত হয় তাহলে বল, আমি তো রোযাদার।’ অন্য হাদীসে আছে, যে মিথ্যা ও পাপাচার বর্জন করে না তার পানাহার বর্জনে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ অতএব রোযার মর্যাদা তখনই রক্ষা হবে যখন রোযাদার গুনাহ ও পাপাচার বর্জন করবে। আর গুনাহ বর্জনের এই প্রচেষ্টা তো গুনাহমুক্ত জীবন লাভেরই প্রয়াস। বান্দার এক মাসের গুনাহ বর্জনের প্রচেষ্টায় আল্লাহ তাকে দান করবেন তাকওয়া ও পরহেযগারীর এক পবিত্র জীবন যা তাকে উপযুক্ত করবে মালিকের সান্নিধ্য লাভের। মানুষের জীবন তো শুধু কিছু সময়। আর এই সময়ের আছে সমাপ্তি। সময়-পথের শেষে প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নির্ধারিত মানযিল। তবে মুমিনের মানযিলে মাকসুদ হল চির পবিত্র ও চির শান্তির স্থান জান্নাত। অপবিত্র ও কালিমালিপ্ত অবস্থায় তো সেখানে প্রবেশ করা যাবে না। তাই সময়-পথের নির্দিষ্ট দূরত্বে রাব্বুল আলামীন প্রস্তুত রেখেছেন সময়ের হাম্মাম’। জীবন-পথের […]

গিনেজ বুকে নাম ওঠালো জাপানের ম্যাগলেভ ট্রেন

জাপানের ম্যাগলেভ ট্রেন ঘন্টায় ৬০৩ কিলোমিটার বেগে ছুটে গিনেজ বুকে বিশ্বের দ্রুততম ট্রেনের খাতায় নাম উঠিয়েছে। ম্যাগলেভ ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা মধ্য জাপান রেলওয়ে কোম্পানি জানিয়েছে গিনেজ বুক রেকর্ড গত বৃহস্পতিবার ম্যাগলেভ ট্রেনের গতিকে তাদের এই স্বীকৃতি প্রদান করে। টোকিওর পশ্চিমে ইয়ামানাশি প্রিফেকচারে গত এপ্রিলে পরীক্ষামূলক যাত্রাকালে ম্যাগলেভ ট্রেন এই রেকর্ড সৃষ্টি করে। আগে ২০০৩ সালে তারা ঘন্টায় ৫৮১ কিলোমিটার বেগে ম্যাগলেভ ট্রেন চালিয়ে আগের বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন। কোম্পানি জানিয়েছে তারা গিনেজ বুকের স্বীকৃতিতে খুবই আনন্দিত। তারা প্রযুক্তিকে আরো উন্নত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান। পরিকল্পনা অনুসারে ২০২৭ সাল থেকে টোকিও হতে নাগোয়া পর্যন্ত ম্যাগলেভ ট্রেন সার্ভিস শুরু হবে।

টয়োটার সদর দফতরে পুলিশের অভিযান

জাপানের টয়োটা সিটিতে অবস্থিত টয়োটা মোটর কর্পোরেশনের সদর দফতরে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। একই সাথে রাজধানী টোকিওর টয়োটা দফতরেও অভিযান চালানো হয়। বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, জাপানে নিষিদ্ধ একটি দ্রব্য আমদানি করেছেন এমন সন্দেহে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মার্কিন নাগরিক জুলি হ্যাম্পকে গ্রেফতারের পর অভিযান চালানো হয়। হ্যাম্পকে সম্প্রতি টয়োটার জনসংযোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। গত ১৮ জুন তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজের নামে ব্যথানাশক ৫৭টি অক্সিকোডন ট্যাবলেট একটি প্যাকেটে করে পাঠিয়ে ছিলেন। প্যাকেটের গায়ে লেখা ছিল ‘নেকলেস’। অক্সিকোডন মাদকজাতীয় পেইন কিলার। টয়োটার দফতরে অভিযান চালিয়ে কর্তৃপক্ষ কী খোঁজ করছে তা পরিষ্কার নয়। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে একজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের পর সেখানে অভিযান চালানো একটি নিয়মিত বিষয়।

বাংলাওয়াশের আবহ মিরপুরে

প্রায় এক সঙ্গে দু’দল এসেছে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে, পাশাপাশি করেছে অনুশীলন। তবে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে খেলোয়াড়রা যতোটা প্রাণবন্ত, বিপরীতে উৎকণ্ঠায় ভারত শিবির! এক বছর আগে সেরা ৭ জনকে রেখে বাংলাদেশ সফরে দল পাঠিয়ে ২-০তে জয়ে হাসতে হাসতে যারা ফিরেছে দেশে, এক বছর পর দৃশ্যপটে পরিবর্তন! পুঁচকে এক বোলারে (মুস্তাফিজুর) ছিন্নভিন্ন ভারত এখন ০-২-এ পিছিয়ে বাংলাওয়াশ আতঙ্কে আতঙ্কিত!  জিম্বাবুয়েকে ৫-০ তে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়ে অন্য এক বাংলাদেশের আবির্ভাবের জানান দিয়ে হোমে দুর্বার হয়ে উঠেছে। সিরিজ জয়েও তৃপ্ত নয় হাতুরুসিংহের শিষ্যরা।  পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়হীন ১৬ বছর কাটানোর জ্বালা জুড়াতে ওই প্রতিপক্ষকে ৩-০তে বাংলাওয়াশ কাব্য রচনা করে ভারতের বিপক্ষে ইতিহাসের প্রথম সিরিজ জয়কে বাংলাওয়াশে রূপ দিয়েই উৎসবের প্রত্যয় মাশরাফিদের। তা হলে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক অনন্য রেকর্ডটাও যে হয়ে যাবে বাংলাদেশের। ১৮তম সিরিজ জয়কে একাদশতম বাংলাওয়াশে পরিণত করার সে আবহই এখন মিরপুরে। যা ভারতকে ১৯তম হোয়াইট ওয়াশের সামনে রেখেছে দাঁড়িয়ে! এই মিরপুর দিয়েছে বাংলাদেশকে অনেক কিছু।  ভেন্যুর অভিষেক সিরিজে স্কটল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ দিয়ে শুরু, ২০১০-এ নিউজিল্যান্ড, ২০১৩ তে পাকিস্তানের পর ভারতের বিপক্ষেও আর একটি হোয়াইট ওয়াশের ইতিহাস রচনার হাতছানি। বাংলাওয়াশের হ্যাটট্রিক পূরণে তাই সংকল্পবদ্ধ এখন বাংলাদেশ দল। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সে প্রত্যয়ী কণ্ঠ নাসিরের মুখেÑ ‘উপর্যুপরি সিরিজ পাকিস্তান সিরিজ আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। ওইটা ভারতের বিপক্ষে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। আমরা  যে যেমন, সে যদি সেভাবে খেলতে পারি, তবে আশা করি ভারতকে হারাতে পারবো।’ ২-০তে এগিয়ে থেকে শেষটা ও একই ভাবে করতে কতোটা প্রত্যয়ী, ড্রেসিংরুমের সে বার্তাই মিডিয়াকে জানিয়েছেন নাসিরÑ ‘ড্রেসিংরুমে  কথা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আমরা যদি ২টি ম্যাচ হারতাম তাহলে আমাদের কেমন প্রেসার থাকতো, কীভাবে সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলতাম আমরা। অবশ্যই যেনো সেভাবে জেতার জন্যই খেলি। সবাই যেন সিরিয়াস থাকে। বিন্দু পরিমাণও ছাড় দেয়া যাবে না।’ সব হারিয়ে শেষ ম্যাচে ভারত সান্ত¦না নিয়ে দেশে ফিরতে মরিয়া হয়ে খেলবে, তা বোঝানোর প্রয়োজন নেই বাংলাদেশ দলকে। মেলবোর্ন অবিচারের জবাব দিতে ভারতের উপর ক্রিকেটিং আক্রোশ এতোটাই চালিয়েছে, ইতিবাচক এবং আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের সে তত্ত্ব উপস্থাপনের আর একটি ক্ষেত্র আজ। এমনটাই জানিয়েছেন র‌্যাংকিংয়ে ৮৮ থেকে ৯৩ পয়েন্টে উঠে, ৭ নম্বর পাকাপোক্ত করা বাংলাদেশ দল। নাসির সেই প্রত্যয়ের কথাই শুনিয়েছেনÑ ‘ভারত আমাদের উপর তাদের সর্বোচ্চ আক্রমণ করতে হয় এটা আমরা জানি। কে কি পরিকল্পনা করে আমাদের উপর আক্রমণ করলো এটা দেখার বিষয় নয়। আমরা কি করছি সেটাই আমাদের কাছে অনেক বড় ব্যাপার। প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই আলাদা আলাদা রোল আছে আমরা নিজেদের রোলটুকু মাঠে প্রয়োগ করার চেষ্টা করব। দলের চিন্তা-ভাবনা আসলে তেমন কিছু না। চেষ্টা থাকবে ম্যাচটি জেতার। আমরা জেতার জন্যই খেলবো এটাই সবচেয়ে বড় কথা।’ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে গত বছর নিউজিল্যান্ডের কাছে ০-৪ এ হারের পর হোচট খেতে হয়নি ভারতকে। […]

জাপান আওয়ামী লীগ আয়োজিত ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইফতার মাহফিল

গত ২১ জুন ২০১৫ রোববার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখা দলের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ আলচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন এই সংগ্রামী দলের গোড়াপত্তন হয়। “পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগ” নাম নিয়ে শুরু হলেও পরে “নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ” বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী এই দলটির প্রতীক নৌকা। ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর রাজনৈতিক দলটির নামকরণ করা হয় “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ”। সংগঠনের সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ এর সভাপতিত্বে আলচনা পর্বে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কে এম দাশ লেনের “রোজ গার্ডেন প্যালেস” এ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বে তৎকালীন বঙ্গীয় প্রদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে পূর্ব-পশ্চিম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা পর্ব থেকে আজ অব্দি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের অগ্রযাত্রা নিয়ে আলচনা করেন- মোতালেব শাহ আইয়ুব প্রিন্স, আব্দুল কুদ্দুস, রহমান লিটন, সোহেল রানা, ফারুক আহমেদ, গোলাম মাসুম, কাজী ইনসানুল হক, রায়হান কবির ভুঁইয়া সুমন, মুক্তা চৌধুরি, মোল্লা ওয়াহিদ, মাসুদুর রহমান, হারুনুর রশিদ, সনত বড়ুয়া। ইফতার ও নামাজের শেষে উপস্থিত প্রবাসীরা নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। রাতে সুস্বাদু নৈশ ভোজে সকলকে আপ্যায়িত করা হয়।

আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশ

৯১ দিন এক অসহনীয় যন্ত্রণা আর ক্ষোভের আগুন বুকে নিয়ে অবিচারের প্রতিশোধ নেয়ার অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন একাত্ম হওয়া বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আইসিসির চেয়ারম্যান ভারতের শ্রীনিবাশনের সহযোগিতায় আম্পায়ারদের সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশকে অন্যায়ভাবে হারিয়েছিল ভারত। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯ মার্চ। সেই ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সারা বাংলাদেশ। মানুষের চোখের পানিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল ৫৫ হাজার বর্গমাইলের দেশটির। সেদিন থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে একাত্ম হয়ে যান বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যেমন বাংলাদেশের মানুষ সব ভেদাভেদ ভুলে স্বাধীনতার জন্য সবাই মিলে একাত্ম হয়েছিলেন, ঠিক তেমনি স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো এই ক্রিকেট ইস্যুতে আবারো বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ একাত্ম হয়ে শুধু অপেক্ষায় ছিলেন ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ঐ ম্যাচের প্রতিশোধ নেবার নেশায়। অবশেষে ৯১ দিনের মাথায় স্বপ্নপূরণ হল বাংলাদেশের মানুষের। মেলবোর্ন অবিচারের সমূচিত জবাব পেয়েছে ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই টাইগারদের কাছে কুপোকাত তারা। জয়ের নয়, প্রতিশোধ নেয়ার আনন্দের জোয়ারেই এখন ভাসছে সারা বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জয়ের আনন্দের চেয়েও অনেক বেশি প্রাপ্তি ছিল প্রতিশোধের মাধ্যমে ৯১ দিন বুকে লালন করা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মনের ক্ষোভের আগুন প্রশমিত হওয়া। আর দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতকে একেবারে সহজেই উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জিতে টাইগাররা শুধু ভারতকেই নয় পুরো ক্রিকেট বিশ্বকেই জানিয়ে দিলো, বাংলাদেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে দেখাটাই যে এখন ক্রিকেট ব্যাকরণের সবচেয়ে বড় ভুল। ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এই সিরিজ জয়ে আনন্দে আত্মহারা বাংলাদেশের মানুষ। এর আগে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে এবং পাকিস্তান দলকে হোয়াইট ওয়াশ করলেও ঐ দুটি দলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের আগুন ছিল না বাংলাদেশের দর্শকদের মনে। সবাই অপেক্ষায় ছিলেন শুধু ভারতকে ধরাশায়ী করার প্রত্যাশায়। পবিত্র রমজান মাস থাকায় ইবাদত বন্দেগিতে ব্যস্ত থাকার কারণে বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমে স্বভাবসুলভ উল্লাস প্রকাশ করতে না পারলেও ঘরে ঘরে চলছে আনন্দের বন্যা। ঘরে বাইরে অফিস আদালতে সর্বত্রই একই আলোচনা বাংলাদেশের ভারত জয়। খেলা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই দর্শকরা খ- খ- আনন্দ মিছিল বের করে স্টেডিয়াম এলাকা প্রদক্ষিণ করে। দর্শকরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করেছেন শুধু এক এবং অভিন্ন আওয়াজে ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরের রাতের আঁধারও আলোকিত হয়ে যায় উৎসবের আনন্দে। ঢাকার বাইরেও সারা দেশে চলে আনন্দ-উল্লাস। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে এক হয়ে অতীতে আর কখনোই এভাবে আনন্দ-উল্লাস করতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশের দর্শকদের মনে যে ভারত সম্পর্কে কতটা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে তার প্রমাণ মেলে বাংলাদেশের ক্ষুদে দর্শক অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের টেন গ্রেডের ছাত্র লাবিব জোহায়ের হোসেনের মন্তব্যে। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে এসে লাবিব মন্তব্য করে, ‘ভবিষ্যতে যতবারই বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ম্যাচ হবে, তাতে যদি ভারত আম্পায়ারদেরকে ম্যানেজ করতে না পারে তাহলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের জয়লাভ করাটা খুবই কঠিন হবে।’ উল্লেখ্য, লাবিব […]