Archive for July, 2015

মহাসমুদ্রে বিলীন হবে ওয়াশিংটন ডিসি!

মহাসমুদ্রে বিলীন হয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্ট এবং ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের পরিচালিত এক নতুন গবেষণার ফলাফলে এ দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীসহ চেসাপিক বে অঞ্চলের ভূমি দ্রুতই ডুবে যাচ্ছে। উষ্ণ জলবায়ুর কারণে চেসাপিক বে’র সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাচ্ছে। তারা বলছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির এই হার ইস্ট কোস্টের যে কোনো অঞ্চলের থেকে অনেক বেশি। এ হারে পানি বাড়তে থাকলে আগামী ১০০ বছরে ওাশিংটন ডিসি ৬ ইঞ্চি বার তার চেয়ে পানির নিচে তলিয়ে যাবে। অধিক হারে বরফ গলার কারণে পানির উচ্চতা বাড়ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ওই অঞ্চলে বন্যা বাড়বে। ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্টের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গবেষণা পরিচালনাকারীদের প্রধান বেন ডে জং বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব ঠেকাতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। বিশ্বের এই অঞ্চলে ছয় ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি প্রকৃতপক্ষেই একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।

জাপানি মহিলারা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী

দীর্ঘতম গড় আয়ুর ক্ষেত্রে জাপানের নারীরা তৃতীয় বছরের মতো বিশ্বের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছেন। আয়ুর ক্ষেত্রে জাপানের পুরুষরা বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। জাপানে স্বাস্থ্য, শ্রম এবং ওয়েলফেয়ার মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানান জাপানি নারীদের গড় আয়ু দাঁড়িয়েছে ৮৬.৮৩ বছর। জাপানি পুরুষদের গড় আয়ু ৮০.৫ বছর। পুরুষ ও নারীর উভয় ক্ষেত্রেই আগের বছরের চেয়ে গড় আয়ু বেড়ে গেছে যথাক্রমে ০.২২ এবং ০.২৯ শতাংশ হারে। লিঙ্গ ব্যবধানের গড় আগের বছরের চেয়ে কমেছে ০.০৭ শতাংশ। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন জাপানিরা বেশি দিন বাঁচার পেছনে কারণ গুলো হলো ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় ব্যাপক উন্নতি। এসব রোগে আক্রান্ত হয়েই বেশির ভাগ মানুষ মৃত্যুবরণ করে থাকেন।

ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে জাপান প্রবাসীদের সম্বর্ধনা

মহান একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা, প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী বাংলাদেশ লোক সংগীত পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করলেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশীরা। গত ২৬ জুলাই ২০১৫ রোববার, টোকিওর আকাবানে বিভিন্ন হলে দলমত নির্বিশেষে সকল প্রবাসীরা সমবেত হয়ে এই শিল্পীকে সম্বর্ধনা দিলেন। কাজী ইনসানুল হকের সভাপতিত্বে এই নাগরিক সম্বর্ধনায় শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উত্তরণ’র পক্ষে জাহিদ চৌধুরি, স্বরলিপি’র পক্ষে নাসিরুল হাকিম, বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরামের পক্ষে বাকের মাহমুদ, সার্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষে সুনীল দে মুঞ্জিগঞ্জ বিক্রমপুর সোসাইটির পক্ষে মোল্লা ওয়াহিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখার পক্ষে ছালেহ মোঃ আরিফ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাপান শাখার পক্ষে কাজী এনামুল হক, বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে ১ম সচিব বেবী রাণী কর্মকার, সার্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষে তনুশ্রী গোলদার। এ ছাড়াও, মুক্তিযোদ্ধা অজিত বড়ুয়া, কাজী মাহফুজুল হক লাল প্রমুখ এই বীর কন্ঠযোদ্ধার প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা জানান। মুকুল মুস্তাফিজ ও বাকের মাহমুদ তাকে উৎসর্গিত কবিতা পড়ে শোনান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন নারমিন হক এবং দ্বীপ্তি রাজবংশীর হাতে ফুলের তোড়া দেন মনি হাকিম। মুন্সী খ আজাদ তার শুভেচ্ছা বক্তব্য সহ ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর পরিচিতি বাংলা ও জাপানি ভাষায় পড়ে শোনান। জাপান প্রবাসীদের পক্ষ থেকে শিল্পীকে ক্রেস্ট প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি কাজী ইনসানুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আসলাম হীরা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা। বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরামের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করেন জুয়েল আহসান কামরুল। সম্বর্ধনা অংশ উপস্থাপনা করেন সুখেন ব্রম্ম। সম্বর্ধনা শেষে আবেগ ঘন বক্তব্যে ইন্দ্রমোহন রাজবংশী জাপান প্রবাসীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন- আপনারা সম্মিলিত ভাবে আমাকে যে সম্মান জানালেন -তা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া- আমি আজীবন তা পরম মমতায় ধারণ করবো। দোয়া করবেন আমি যে মরমী গান সংগ্রহের কাজ শুরু করেছি তা যেন শেষ করে যেতে পারি। উত্তরণ কালচারাল গ্রুপ জাপান’র সহযোগিতায় শিল্পী দম্পতি গান, গানের সাথে সাথে নানান কথাবার্তা, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের নানান ঘটনা বর্ণনা করেন। দর্শকরা প্রাণ ভরে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। বাংলাদেশের পরম বন্ধু বেশ ক’জন জাপানি দর্শকও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কম্পিউটার গ্রাফিক্সে ছিলেন কমল বড়ুয়া। এ ছাড়াও অন্যান্যরা সহযোগিতা করেন।

অ্যাঞ্জেল নিয়ে তোলপাড়!

ঠাকুরমার ঝুলি বা নিদেনপক্ষে আরব্য রজনীতে এমনটা হলে আমরা কেউই আশ্চর্য হতাম না। কিন্তু বাস্তবে যদি শোনেন, আকাশ থেকে একজন বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেল মাটিতে পড়ে গিয়েছে এবং তাঁকে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে তাহলে তা এক কথায় হেসে উড়িয়ে দেবেন এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। তবে যতই হাসাহাসি করুন না কেন, সমপ্রতি ইন্টারনেটে একটি ছবি তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন   বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেল অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। তাকে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। পক্ককেশ ওই বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেলকে দেখতে সাধারণ মানুষের মতোই। তবে শুধু একটাই ফারাক রয়েছে। তার পিঠে এক জোড়া ডানা রয়েছে। তবে বয়সের কারণে ডানা দুটোতে পালক কিংবা পশম নেই বললেই চলে। অ্যাঞ্জেল চোখ বন্ধ করে শুয়ে রয়েছে শান্তিতে। ছবিটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার পর কোটি কোটি মানুষ তা দেখছে। এটি এতই ‘জীবন্ত’ যে অনেকেই তাকে সত্যি সত্যি অ্যাঞ্জেল বলে বিশ্বাস করে মন্তব্য করেছে। কিন্তু বিষয়টি সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর সাংবাদিকরা তুলে এনেছেন আসল ঘটনা। তারা বলছেন, এটি আসলে কোনো অ্যাঞ্জেল নয়। একটি ভাস্কর্য। অসাধারণ এবং ‘প্রায় জীবন্ত’ এই ভাস্কর্য তৈরী করেছেন দুই চিনা শিল্পী। তাদের নাম সুন ইউয়ান এবং পেং ইউ। চীনের রাজধানী বেজিংয়ে রাখা এই অ্যাঞ্জেলকে যারা সরাসরি দেখেছে তারাও একে আসল মনে করে বিভ্রান্ত হয়েছেন। দুই শিল্পী এই সাড়া জাগানো ভাস্কর্যের নাম দিয়েছেন ‘দ্য ফলেন অ্যাঞ্জেল’।

বিধ্বস্ত বিমানের রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানকে খুঁজছে পুলিশ

গত রোববার বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানকে খুঁজছে পুলিশ। বিমানটি পশ্চিম টোকিওর একটি বাড়ির উপর বিধ্বস্ত হলে ৩ জন নিহত হন। আবাসিক এলাকাটিতে দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট ও এক আরোহী নিহত হন এবং বাড়ির ৩৪ বছর বয়স্ক এক নারী নিহত হন, এ ছাড়াও ৫ জন আহত হন। প্রায় এক ডজন তদন্তকারী মঙ্গলবার চোফু বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। এখানেই বিমানটির রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সহ অপর দু’টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, পুলিশের সন্দেহ তারা কোনো ভাবে দুর্ঘ্টনার সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে। কোথাও কোনো অনিয়্ম হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে তারা বিমানের পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ রেকর্ড জব্দ করেন। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে বিমানের ইঞ্জিন এবং ডানার ভগ্নাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। পাইপার পিএ ৪৬ বিমানটি উড্ডয়নের এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে পাইলট সহ ৫ জন আরোহী ছিলেন। বিমানটি অত্যন্ত নীচু দিয়ে অপর্যাপ্ত গতিতে উড়ছিলো। তদন্তকারীরা বলেছেন ৩৬ বছর বয়স্ক পাইলট তাইশি কাওয়ামুরা রেডিওতে বিমানের কোনো ধরনের সমস্যার কথা জানাননি।

আপিল বিভাগেও সালাউদ্দিন কাদেরের ফাঁসি বহাল

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার এই রায় ঘোষণা করে। এই বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের ২৮ দিনের মাথায় আপিল করেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। চলতি বছর ১৬ জুন থেকে মোট ১৩ দিন দুই পক্ষের যুক্তি শোনে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ। শুনানি শেষে আদালত ২৯ জুলাই রায়ের দিন ধার্য করে।   এর আগে ট্রাইব্যুনালে সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে নয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যার ৩ নম্বর, সুলতানপুর বণিকপাড়ায় গণহত্যার ৫ নম্বর, উনসত্তরপাড়ায় গণহত্যার ৬, ও তত্কালীন আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মোজাফফর আহমেদকে অপহরণের পর হত্যার ৮ নম্বর অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেকটিতে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। এই চারটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। এছাড়াও পাঁচটি অভিযোগে তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ৭ নম্বর অভিযোগ সতীশ চন্দ্র পালিতকে হত্যার মামলায় তাকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। আপিল বিভাগ তাকে এ অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে। আর বাকি চারটি অভিযোগে দেয়া কারা দণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। গহিরা গ্রামে হিন্দু অধ্যুষিত পাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ২ নম্বর, জগত্মল্লপাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ৪ নম্বর এবং রাউজান পৌরসভা এলাকার সতীশ চন্দ্র পালিত হত্যার ৭ নম্বর অভিযোগের প্রত্যেকটিতে সালাহউদ্দিন কাদেরকে ২০ বছর করে ৬০ বছর এবং নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, সিরাজ ও ওয়াহেদ ওরফে ঝুনু পাগলাকে অপহরণ ও নির্যাতনের ১৭ এবং মো. সালেহউদ্দিনকে অপহরণ ও নির্যাতনের ১৮ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর করে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।

সাড়ে ৫ লাখ বছরের পুরনো মানুষের দাঁতের সন্ধান ফ্রান্সে

ফ্রান্সের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্ণ বয়স্ক মানুষের একটি দাঁত পেয়েছে দেশটির প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি গ্রুপ। মঙ্গলবার এটিকে খুঁজে পান তারা। ধারণা করা হচ্ছে, এটি পাঁচ লাখ ৬০ হাজার বছরের পুরনো।  এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকরা একে বড় ধরনের আবিষ্কার বলে বর্ণনা করেছেন। ফসিলতত্ত্ববিদ এমিলি ভায়ালেট বলেন, মাটি খননের সময়ে পূর্ণ বয়স্ক মানুষের একটি দাঁত পাওয়া গেছে। তবে এটি নারী নাকি পুরুষের তা জানা যায়নি। সময় নির্ধারণের বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করে আমরা জানতে পেরেছি এটি আনুমানিক ৫ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার বছরের পুরনো।

সালাউদ্দিন কাদেরের চূড়ান্ত রায় কাল

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আপিলের চূড়ান্ত রায় বুধবার ঘোষণা করা হবে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। গত ৭ জুলাই আপিলের শুনানি শেষে ২৯ জুলাই রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়। এদিন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময়ের অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপন করেছে। অথচ ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার জন্য চলে যান। পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পাকিস্তান এয়ারওয়েজের টিকেটও রয়েছে এবং সেখানে পড়ালেখা-সংক্রান্ত সনদও রয়েছে। ১৯৭১ সালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দেশে ছিলেন না। এসব কিছু আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি।’ অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আপিল বিভাগেও আমরা যথাযথভাবে উপস্থাপন করেছি। আশা করি, তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকবে। আদালতে তাঁর সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকার বিষয়ে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করেছি। একাত্তরে তিনি যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তাঁর বিরুদ্ধে আনা ২৩ অভিযোগের মধ্যে ১৭টিতে সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর মধ্যে নয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। আটটি অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেয়া হয়।

ইসলামের বিজয় অত্যাসন্ন আপনি কি প্রস্তুত

আমাদের প্রত্যেকের জীবন থেকে চলে গেল আরেকটি আনন্দালোকের মধুর সময়। সেই রজব শাবান থেকে মহামহিমান্বিত রমজান, শবেকদর ও পবিত্র ঈদুল ফিতর। কী রহমত, বরকত, ক্ষমা-করুণা, নাজাত ও মাগফিরাতের ঢেউ। কী আবেগ উচ্ছ্বাস আনন্দাশ্রু আর হৃদয়নিংড়ানো নিবেদনের মওসুম। কেমন ছায়া, কেমন মায়া, কী শীতলতা, কত অনুকম্পার ভরা বর্ষা। শবে মিরাজ, নিসফে শাবান, শবে বরাত, সিয়াম ও কিয়াম, তিলওয়াত, তারাবীহ, সাহরি, ইফতার, সাদাকা ও ইতেকাফ পালন করে, তাকবীরের উদ্দীপনায় প্রেমপুণ্য পরিচয় ও পরিপূরণের ঈদ। হে আল্লাহ তুমি আমাদের মঙ্গলে পূর্ণ করে দাও, রজব ও শাবানকে ভরে দাও, বরকত ও ঋদ্ধিতে। আমাদের হায়াত দারাজ করে পৌঁছে দাও, পবিত্র মাস রমজানের দ্বারপ্রান্তে। এ দোয়াটি নবী করিম (সা.)-এর। বলেছেন, রমজানের শেষ দশকে খোঁজো কদরের রাত। এ রাতের নাগাল যে পাবে তার অতীত গোনাহ মাফ। হাজার মাসের সেরা এ রাত মুক্তির পয়গাম। সামনে আসছে হজ ও কোরবানী। এরপর মহররম। আশুরার পর সৌভাগ্যের পরম বার্তাবহ রবিউল আউয়াল। আবার একটু দম নিয়েই বছরের চাকা ঘুরে গিয়ে স্পর্শ করবে নতুন রজব শাবান। আরেকটি রমজান। জানা নেই, কারা কারা পাবে সে নতুন বাঁকা চাঁদ। জীবনের ডায়েরির পাতায় আরেকটি রমজান।গত পাঁচ বছর ধরে, কী এক কুদরত দেখে চলেছি আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর আশিসধন্য পবিত্র স্বদেশ বাংলাদেশে। জুন, জুলাই ও আগস্টের ভ্যাপসা গরম, তাপদাহ, খররোদ্র আর বিদঘুটে আবহাওয়ায় যেই রমজান আসে শুরু হয় ছায়া ঢাকা শীতল আবহে স্বস্তির মরুদ্যান। একটি মাস যেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ। আবার ঈদ শেষে যেই সেই। রমজান শরীফে বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস যে রহমত ও স্বস্তিতে ভরে যায়, এটি প্রত্যক্ষ করে কোটি কোটি মানুষ আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর দিকে ঝুঁকে পড়ে। নামাজির সংখ্যা শতগুণ বৃদ্ধি পায়, বাড়ে রোজাদার ও পরহেজগারের পরিমাণ। উপচে পড়ে লাখো মসজিদ। তারাবীহ, জুমা ও কিয়ামুল্লাইলে নামে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার ঢল। দোয়া, মোনাজাত, জিকির, তওবা, প্রার্থনা, ফরিয়াদ, কান্না ও রোনাজারির বেহেশতি আবহ সৌরভে ভরে দেয় বাংলার আকাশ-বাতাস। কী অপূর্ব এ বাংলা, কত গভীর এর আস্থা ও বিশ্বাস। কত ব্যাপক এখানে ঈমান, আমল ও ইহসান। কী কঠিন মায়ার চাদর বিছিয়েছেন আল্লাহ এ দেশের মানুষের অন্তরে। কতই না শক্ত তাদের বাঁধন প্রিয় নবীজির (সা.) ভালোবাসার ডোরে।বাংলাদেশের সাথে আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) মহান আনুগত্যের সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেই মনে পড়ে আমাদের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কথা। তিনিই তো বলেছেন, এ কোন মধুর শরাব দিলে আল আরাবী সাকী। নেশায় হলাম দিওয়ানা যে রঙিন হলো আঁখি। …আল কোরআনে সবক দিলে শবে কদর রাতে। নর-নারী, বাদশাহ-ফকির সেই জামাতে হলো শামিল। যা ছিল নজরানা দিল রাঙা পায়ে রাখি। এ কোন মধুর…। ইসলাম ও ঈমানের বন্ধন, কোরআন সুন্নাহ, রমজান ও শবে কদরের মায়া আর এলো খুশীর ঈদের ছায়া যে এই বাংলায় দেড়হাজার বছর ধরেই বিস্তৃত তা কাজী […]

পশ্চিম টোকিওতে বিমান দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত

পশ্চিম টোকিওতে একটি ছোট বিমান দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৫ জন। রোববার সকাল ১১টার দিকে বিমানটি চোফুর একটি আবাসিক এলাকাতে বিধ্বস্ত হয়, আহত বিমানের ৫ আরোহীর ভেতর পাইলটও রয়েছেন। টোকিও দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন ভূমিতে ৩টি বাড়ি ও ২টি গাড়িও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এ ছাড়াও অন্য দু’টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টোকিও পুলিশ বলেছে বিমানের ২ জন নিহত হন। বিধ্বস্ত একটি বাড়ির ভেতর থাকা এক মহিলা নিহত হয়েছেন এবং অপর দু’জন আহত হন। তাদের আঘাত কতোটা গুরুতর সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।