‘বিশ্বের সংবাদ’

বিশ্বের সার্বিক শ্রেষ্ঠ দেশ কানাডা

বিশ্বের সেরা এবং সব চেয়ে প্রশাংসার দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে কানাডা। আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নরওয়ে। এর পরের স্থান পেয়েছে- সুইজাল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘রেপুটেশন ইনিষ্টিটিউট‘র এই ঘোষণা দেন। এই তালিকায় কানাডা গত বছর দ্বিতীয় স্থানে ছিলো। এবার আবারো পরপর তিন বার ২০১১, ২০১২, ২০১৩ সালে সার্বিক শ্রেষ্ঠ দেশের মর্যাদার তালিকায় স্থান পেয়ে আসছিল।

বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কায় ভারত-নেপাল

ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কায় আছে ভারত ও নেপাল। প্রতিদিন দেশ দুইটিতে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে। শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন তথ্যে দেখা গেছে গত এপ্রিল মাসে নেপালে যে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, সেটির সব চাপ এখনো মুক্ত হয়নি। পশ্চিমাঞ্চলে যেকোনো সময় কম্পনটি জেগে উঠতে পারে। গবেষণাটি  সম্প্রতি ‘ন্যাচার জিওসায়েন্স’ ও ‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলো এখন ব্যাপক নজরদারি করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন লেখক। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেন-ফিলিপ অ্যাভাউক বলেছেন, এই অঞ্চলে নজর রাখা দরকার। যদি আজই ভূমিকম্প হয়, তাহলে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে। জনবসতির ঘনত্বের কারণে এটি শুধু নেপালের পশ্চিমাঞ্চল নয়, ভারতের উত্তরাঞ্চলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। চলতি বছরের এপ্রিলে নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় নয় হাজার মানুষ নিহত ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হন। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন অসংখ্য মানুষ। ভূগর্ভস্থ সংঘর্ষ এলাকায় এই ভূমিকম্পটি হয়। ভারতীয় টেকটোনিক প্লেট ইউরেশিয়া প্লেটে চাপ দিচ্ছে। প্রতি বছর দুই সেন্টিমিটার পরিমাণে সেখানকার অবস্থান পাল্টে যাচ্ছে। কয়েক দশক ধরে এটি চ্যুতি লাইনের চাপের সৃষ্টি করে। এই চ্যুতিটি মেইন হিমালয়ান থ্রাস্ট বলে পরিচিত। এটি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কাছে অবস্থিত।  এই এলাকায় দুই প্লেটের সীমানা সংঘর্ষের কারণে আটকে আছে। আর এটি সেখানে গতিহীন শক্তি উত্পন্ন করছে। ফলে একটি বড় ধরণের ভূমিকম্প হতে পারে। গত ২৫ এপ্রিল নেপালে যে ভূমিকম্প হয়েছে তা এই দমিত চাপের একটি অংশ মুক্ত হওয়ার ফল।

চিনির ক্ষতিকর দিক

যারা মিষ্টিজাতীয় খাবার বিশেষ করে চিনি পছন্দ করেন তারা আজকেই এটিকে না বলুন। কেননা, এখন থেকে সতর্ক না হলে অদূর ভবিষ্যতে নানারকম ক্ষতি হতে পারে আপনার।  চিনি ডায়বেটিক রোগীদের জন্য একেবারে বিষের সমতুল্য। এর পাশাপাশি ক্যান্সার, হূদরোগ ও স্থূলতাকে ত্বরান্বিত করে এই পদার্থ। এবার জেনে নিন চিনি আপনার শরীরে কি ধরণের ক্ষতি করতে পারে। * চিনি বেশি খেলে শরীরে ক্যানসার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আয়ু কমিয়ে আনে এটি। * চিনিতে রয়েছে ফ্রুকটোস, যা বেশি মাত্রায় শরীরে থাকলে মানুষ মোটা হয়ে যায়। * এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, চিনি বেশি খেলে কোকেন, গাজাসহ নানাবিধ নেশার সামগ্রীতে আসক্তি অনেক বেড়ে যায়। * কিছুদিন আগে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বেশিমাত্রায় চিনি খেলে স্মৃতি হ্রাস পায়। একইসঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যও খারাপ হয়। * সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, বেশিমাত্রায় চিনি খেলে রক্তের প্রবাহে পরিবর্তন হয়। ফলে হার্ট ফেল করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। * বেশি চিনি খেলে শিশুদের মস্তিষ্ক ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একইসঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও কমিয়ে দেয় চিনি। * চিনি বা মিষ্টি খাবার বেশি খেলে যেমন শরীরের নানা ক্ষতি হয়, তেমনই এর ফলে আয়ুও কমে যায়।

লতিফের এমপি পদ বাতিলে ইসিকে আ’লীগের অনুরোধ

আমেরিকার নিউইয়র্কের জ্যাকসনে দেয়া নিজের ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্যকে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দিয়েছেন উল্লেখ করে ওই বক্তব্যের কারণে দল থেকে বহিষ্কারের এখতিয়ার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেই বলে দাবি করেছেন দল সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকী। গতকাল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেয়া এক চিঠির জবাবে তিনি এই দাবি করেন। একই সাথে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত না হওয়ায় সিইসিকে দেয়া স্পিকারের চিঠি আমলে না নিয়ে তা ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ না থাকায় সংসদ সদস্য থাকার অধিকার নেই বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। গতকাল দুপুরে একই চিঠির জবাবে দল হিসাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বহিষ্কার ও বহিষ্কার-পরবর্তী সাংবিধানিক অবস্থান জানানো হয়। এসময় টাঙ্গাইল-৪ আসনকে শূন্য ঘোষণা করতে ইসিকে অনুরোধও জানিয়েছে দলটি। আর ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছিলাম তারা নিজেদের অবস্থান ব্যাখা করেছে। এখন পূর্ব নজির অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের পক্ষে উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস ইসির চিঠির লিখিত জবাব জমা দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ আর গণপ্রতিনিধিত্ব ৭২ এর ১২(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীকে কোনো নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের বা একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়। লতিফ সিদ্দিকী উক্ত ধারা ও অনুচ্ছেদ অনুসারে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। যেহেতু আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ধারা মতে, দলের সকল পদ ও  প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কৃত হয়েছেন এবং তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নন তাই জাতীয় সংসদের পদে থাকার আইনগত অধিকার হারিয়েছেন।তিনি আরো জানান, যেহেতু তিনি (লতিফ সিদ্দিকী) দলের কেউ নন, প্রাথমিক সদস্য পদও নেই এ কারণে ৬৬(৪) ধারা ও জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুসারে লতিফ সিদ্দিকীর টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদ বাতিলে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।গত ১৩ জুলাই দল ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সিইসিকে চিঠি দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর গত ১৬ জুলাই লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও লতিফ সিদ্দিকীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়।এর আগে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ব্যক্তিগত সহকারীর মাধ্যমে চিঠির লিখিত জবাব দেন লতিফ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আমেরিকার নিউইয়র্কে যে বক্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। ইসিতে পাঠানো চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে কূটনৈতিক সফরকালে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বসবাসরত টাঙ্গাইলের অধিবাসীদের সঙ্গে আলাপকালে আমার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার যে কষ্টকল্পিত, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে, তা আলোচনার স্বার্থে যদি ধরে নেওয়া হয় আমি ওই বক্তব্য দিয়েছি, তাহলে আওয়ামী লীগ থেকে সদস্যপদ বাতিল করার এখতিয়ার দলের কেন্দ্রীয় সংসদের নেই। কেননা, আমি বাংলাদেশ সরকারের তথা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে গিয়েছি […]

লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

চোখের চিকিৎসা নিতে লন্ডনে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি লন্ডন যাবেন। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠজন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ১০ আগস্টে লন্ডন যাত্রার সম্ভাব্য তারিখ রাখা হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া জোরদার করবেন বলেও জানায় সূত্রগুলো। এর আগে গত ২০১০ সালের মে মাসে লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। পূর্ব লন্ডনের গোরস ভেনর নামের হোটেলে মায়ের সাথে সস্ত্রীক দেখা হয় তারেক রহমানের। ওই সময় স্থানীয় একটি হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞের চিকিৎসাসেবা নেন খালেদা জিয়া। এখন চোখের সমস্যা দেখা দেয়ায় লন্ডনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি প্রধান। একই সাথে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বড় ছেলের সাথে দেখাও হবে সেখানে। লন্ডন বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা ইনকিলাবকে জানান, লন্ডনে গেলে সে দেশের সরকারের উচ্চপদস্থ কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা হতে পারে। তাছাড়া ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত রুশনারা আলীর সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে। এছাড়া সেখানকার বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এমন প্রত্যাশা আছে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের।

মহাসমুদ্রে বিলীন হবে ওয়াশিংটন ডিসি!

মহাসমুদ্রে বিলীন হয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্ট এবং ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের পরিচালিত এক নতুন গবেষণার ফলাফলে এ দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীসহ চেসাপিক বে অঞ্চলের ভূমি দ্রুতই ডুবে যাচ্ছে। উষ্ণ জলবায়ুর কারণে চেসাপিক বে’র সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাচ্ছে। তারা বলছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির এই হার ইস্ট কোস্টের যে কোনো অঞ্চলের থেকে অনেক বেশি। এ হারে পানি বাড়তে থাকলে আগামী ১০০ বছরে ওাশিংটন ডিসি ৬ ইঞ্চি বার তার চেয়ে পানির নিচে তলিয়ে যাবে। অধিক হারে বরফ গলার কারণে পানির উচ্চতা বাড়ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ওই অঞ্চলে বন্যা বাড়বে। ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্টের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গবেষণা পরিচালনাকারীদের প্রধান বেন ডে জং বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব ঠেকাতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। বিশ্বের এই অঞ্চলে ছয় ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি প্রকৃতপক্ষেই একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।

অ্যাঞ্জেল নিয়ে তোলপাড়!

ঠাকুরমার ঝুলি বা নিদেনপক্ষে আরব্য রজনীতে এমনটা হলে আমরা কেউই আশ্চর্য হতাম না। কিন্তু বাস্তবে যদি শোনেন, আকাশ থেকে একজন বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেল মাটিতে পড়ে গিয়েছে এবং তাঁকে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে তাহলে তা এক কথায় হেসে উড়িয়ে দেবেন এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। তবে যতই হাসাহাসি করুন না কেন, সমপ্রতি ইন্টারনেটে একটি ছবি তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন   বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেল অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। তাকে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। পক্ককেশ ওই বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেলকে দেখতে সাধারণ মানুষের মতোই। তবে শুধু একটাই ফারাক রয়েছে। তার পিঠে এক জোড়া ডানা রয়েছে। তবে বয়সের কারণে ডানা দুটোতে পালক কিংবা পশম নেই বললেই চলে। অ্যাঞ্জেল চোখ বন্ধ করে শুয়ে রয়েছে শান্তিতে। ছবিটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার পর কোটি কোটি মানুষ তা দেখছে। এটি এতই ‘জীবন্ত’ যে অনেকেই তাকে সত্যি সত্যি অ্যাঞ্জেল বলে বিশ্বাস করে মন্তব্য করেছে। কিন্তু বিষয়টি সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর সাংবাদিকরা তুলে এনেছেন আসল ঘটনা। তারা বলছেন, এটি আসলে কোনো অ্যাঞ্জেল নয়। একটি ভাস্কর্য। অসাধারণ এবং ‘প্রায় জীবন্ত’ এই ভাস্কর্য তৈরী করেছেন দুই চিনা শিল্পী। তাদের নাম সুন ইউয়ান এবং পেং ইউ। চীনের রাজধানী বেজিংয়ে রাখা এই অ্যাঞ্জেলকে যারা সরাসরি দেখেছে তারাও একে আসল মনে করে বিভ্রান্ত হয়েছেন। দুই শিল্পী এই সাড়া জাগানো ভাস্কর্যের নাম দিয়েছেন ‘দ্য ফলেন অ্যাঞ্জেল’।

আপিল বিভাগেও সালাউদ্দিন কাদেরের ফাঁসি বহাল

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার এই রায় ঘোষণা করে। এই বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের ২৮ দিনের মাথায় আপিল করেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। চলতি বছর ১৬ জুন থেকে মোট ১৩ দিন দুই পক্ষের যুক্তি শোনে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ। শুনানি শেষে আদালত ২৯ জুলাই রায়ের দিন ধার্য করে।   এর আগে ট্রাইব্যুনালে সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে নয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যার ৩ নম্বর, সুলতানপুর বণিকপাড়ায় গণহত্যার ৫ নম্বর, উনসত্তরপাড়ায় গণহত্যার ৬, ও তত্কালীন আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মোজাফফর আহমেদকে অপহরণের পর হত্যার ৮ নম্বর অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেকটিতে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। এই চারটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। এছাড়াও পাঁচটি অভিযোগে তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ৭ নম্বর অভিযোগ সতীশ চন্দ্র পালিতকে হত্যার মামলায় তাকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। আপিল বিভাগ তাকে এ অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে। আর বাকি চারটি অভিযোগে দেয়া কারা দণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। গহিরা গ্রামে হিন্দু অধ্যুষিত পাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ২ নম্বর, জগত্মল্লপাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ৪ নম্বর এবং রাউজান পৌরসভা এলাকার সতীশ চন্দ্র পালিত হত্যার ৭ নম্বর অভিযোগের প্রত্যেকটিতে সালাহউদ্দিন কাদেরকে ২০ বছর করে ৬০ বছর এবং নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, সিরাজ ও ওয়াহেদ ওরফে ঝুনু পাগলাকে অপহরণ ও নির্যাতনের ১৭ এবং মো. সালেহউদ্দিনকে অপহরণ ও নির্যাতনের ১৮ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর করে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।

সাড়ে ৫ লাখ বছরের পুরনো মানুষের দাঁতের সন্ধান ফ্রান্সে

ফ্রান্সের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্ণ বয়স্ক মানুষের একটি দাঁত পেয়েছে দেশটির প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি গ্রুপ। মঙ্গলবার এটিকে খুঁজে পান তারা। ধারণা করা হচ্ছে, এটি পাঁচ লাখ ৬০ হাজার বছরের পুরনো।  এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকরা একে বড় ধরনের আবিষ্কার বলে বর্ণনা করেছেন। ফসিলতত্ত্ববিদ এমিলি ভায়ালেট বলেন, মাটি খননের সময়ে পূর্ণ বয়স্ক মানুষের একটি দাঁত পাওয়া গেছে। তবে এটি নারী নাকি পুরুষের তা জানা যায়নি। সময় নির্ধারণের বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করে আমরা জানতে পেরেছি এটি আনুমানিক ৫ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার বছরের পুরনো।

সালাউদ্দিন কাদেরের চূড়ান্ত রায় কাল

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আপিলের চূড়ান্ত রায় বুধবার ঘোষণা করা হবে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। গত ৭ জুলাই আপিলের শুনানি শেষে ২৯ জুলাই রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়। এদিন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময়ের অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপন করেছে। অথচ ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার জন্য চলে যান। পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পাকিস্তান এয়ারওয়েজের টিকেটও রয়েছে এবং সেখানে পড়ালেখা-সংক্রান্ত সনদও রয়েছে। ১৯৭১ সালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দেশে ছিলেন না। এসব কিছু আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি।’ অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আপিল বিভাগেও আমরা যথাযথভাবে উপস্থাপন করেছি। আশা করি, তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকবে। আদালতে তাঁর সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকার বিষয়ে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করেছি। একাত্তরে তিনি যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তাঁর বিরুদ্ধে আনা ২৩ অভিযোগের মধ্যে ১৭টিতে সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর মধ্যে নয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। আটটি অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেয়া হয়।