‘বিশ্বের সংবাদ’

ইসলামের বিজয় অত্যাসন্ন আপনি কি প্রস্তুত

আমাদের প্রত্যেকের জীবন থেকে চলে গেল আরেকটি আনন্দালোকের মধুর সময়। সেই রজব শাবান থেকে মহামহিমান্বিত রমজান, শবেকদর ও পবিত্র ঈদুল ফিতর। কী রহমত, বরকত, ক্ষমা-করুণা, নাজাত ও মাগফিরাতের ঢেউ। কী আবেগ উচ্ছ্বাস আনন্দাশ্রু আর হৃদয়নিংড়ানো নিবেদনের মওসুম। কেমন ছায়া, কেমন মায়া, কী শীতলতা, কত অনুকম্পার ভরা বর্ষা। শবে মিরাজ, নিসফে শাবান, শবে বরাত, সিয়াম ও কিয়াম, তিলওয়াত, তারাবীহ, সাহরি, ইফতার, সাদাকা ও ইতেকাফ পালন করে, তাকবীরের উদ্দীপনায় প্রেমপুণ্য পরিচয় ও পরিপূরণের ঈদ। হে আল্লাহ তুমি আমাদের মঙ্গলে পূর্ণ করে দাও, রজব ও শাবানকে ভরে দাও, বরকত ও ঋদ্ধিতে। আমাদের হায়াত দারাজ করে পৌঁছে দাও, পবিত্র মাস রমজানের দ্বারপ্রান্তে। এ দোয়াটি নবী করিম (সা.)-এর। বলেছেন, রমজানের শেষ দশকে খোঁজো কদরের রাত। এ রাতের নাগাল যে পাবে তার অতীত গোনাহ মাফ। হাজার মাসের সেরা এ রাত মুক্তির পয়গাম। সামনে আসছে হজ ও কোরবানী। এরপর মহররম। আশুরার পর সৌভাগ্যের পরম বার্তাবহ রবিউল আউয়াল। আবার একটু দম নিয়েই বছরের চাকা ঘুরে গিয়ে স্পর্শ করবে নতুন রজব শাবান। আরেকটি রমজান। জানা নেই, কারা কারা পাবে সে নতুন বাঁকা চাঁদ। জীবনের ডায়েরির পাতায় আরেকটি রমজান।গত পাঁচ বছর ধরে, কী এক কুদরত দেখে চলেছি আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর আশিসধন্য পবিত্র স্বদেশ বাংলাদেশে। জুন, জুলাই ও আগস্টের ভ্যাপসা গরম, তাপদাহ, খররোদ্র আর বিদঘুটে আবহাওয়ায় যেই রমজান আসে শুরু হয় ছায়া ঢাকা শীতল আবহে স্বস্তির মরুদ্যান। একটি মাস যেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ। আবার ঈদ শেষে যেই সেই। রমজান শরীফে বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস যে রহমত ও স্বস্তিতে ভরে যায়, এটি প্রত্যক্ষ করে কোটি কোটি মানুষ আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর দিকে ঝুঁকে পড়ে। নামাজির সংখ্যা শতগুণ বৃদ্ধি পায়, বাড়ে রোজাদার ও পরহেজগারের পরিমাণ। উপচে পড়ে লাখো মসজিদ। তারাবীহ, জুমা ও কিয়ামুল্লাইলে নামে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার ঢল। দোয়া, মোনাজাত, জিকির, তওবা, প্রার্থনা, ফরিয়াদ, কান্না ও রোনাজারির বেহেশতি আবহ সৌরভে ভরে দেয় বাংলার আকাশ-বাতাস। কী অপূর্ব এ বাংলা, কত গভীর এর আস্থা ও বিশ্বাস। কত ব্যাপক এখানে ঈমান, আমল ও ইহসান। কী কঠিন মায়ার চাদর বিছিয়েছেন আল্লাহ এ দেশের মানুষের অন্তরে। কতই না শক্ত তাদের বাঁধন প্রিয় নবীজির (সা.) ভালোবাসার ডোরে।বাংলাদেশের সাথে আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) মহান আনুগত্যের সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেই মনে পড়ে আমাদের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কথা। তিনিই তো বলেছেন, এ কোন মধুর শরাব দিলে আল আরাবী সাকী। নেশায় হলাম দিওয়ানা যে রঙিন হলো আঁখি। …আল কোরআনে সবক দিলে শবে কদর রাতে। নর-নারী, বাদশাহ-ফকির সেই জামাতে হলো শামিল। যা ছিল নজরানা দিল রাঙা পায়ে রাখি। এ কোন মধুর…। ইসলাম ও ঈমানের বন্ধন, কোরআন সুন্নাহ, রমজান ও শবে কদরের মায়া আর এলো খুশীর ঈদের ছায়া যে এই বাংলায় দেড়হাজার বছর ধরেই বিস্তৃত তা কাজী […]

বিরল রেকর্ড মুস্তাফিজের বৃষ্টি কেড়ে নিল বাংলাদেশের স্বপ্ন

চতুর্থ দিনেই তৈরি হয়েছিল চিত্রনাট্য, প্রথম তিন দিন দারুণ কিছুর সম্ভাবনা দেখানো ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৭৮ এবং তৃতীয় দিন শেষে ১৭ রানে বাংলাদেশের লিডের পরও যে বেরসিক বৃষ্টি বাধিয়েছে বাগড়া। এমন সম্ভাবনা দেখানো ম্যাচের  পরিণতি যে ধাবিত হচ্ছে ড্র-এ। চতুর্থ দিনের পুরোটা খেলাহীন কেটে যাওয়ায় সে পূর্বাভাসই দিয়েছিল চট্টগ্রাম টেস্টে। ম্যাচের চতুর্থ দিনে গড়ায়নি একটিও বল, পঞ্চম দিনের কাহিনীও এক। চতুর্থ দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয়েছে ম্যাচ রেফারী ক্রিস ব্রডকে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে, পীচ কাভার খোলা যেখানে সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে দেরি করে লাভ কি? কাঁটায় কাঁটায় দুপুর ১২টায় তাই ৫ম দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় ড্র-এ নিষ্পত্তি হলো চট্টগ্রাম টেস্ট। লাকি ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী  স্টেডিয়ামে টানা ৪টি টেস্টের একটিতেও ব্যর্থ হতে হয়নি। নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকার বিপক্ষে ড্র গর্বের ড্র-এর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়, সর্বশেষ সাফল্যটি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে  ড্র। ৯৩তম টেস্টে ৭ জয়ের পাশে ১৪তম ড্র এটি। বৃষ্টি বিঘিœত টেস্টে ড্র’র এটি ৮ম দৃষ্টান্ত। তবে  এক সময় বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়ে হাসাতো বাংলাদেশকে। এখন কাঁদায় বৃষ্টি। ইতোপূর্বে বৃষ্টি বিঘিœত ৭টি টেস্টের মধ্যে কেবল  ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে কর্তৃত্ব নিয়ে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের লিডে দারুণ কিছুর সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিন খেলাহীন চট্টগ্রাম টেস্টে বৃষ্টি বাধায় অবশিষ্ট তিন দিনের পুরোটা হয়নি খেলা। চতুর্থ ইনিংসে ২২৬’র চ্যালেঞ্জের মাঝপথেই ড্র’র প্রস্তাব দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪ বছর পর সেই জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামেই দারুণ কিছুর সম্ভাবনার অপমৃত্যু ডেকে এনেছে বৃষ্টি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে নিজেদের সর্বোচ্চ ৭৮ রানের লিড,  মুস্তাফিজুর (৪/৩৭), জুবায়েরের (৩/৫৩) বোলিংয়ে প্রথম দিনেই টেস্টের নাম্বার ওয়ানদের অল আউটে বাধ্য করা ম্যাচে যেখানে তৃতীয় দিন শেষে ১৭ রানের লিডে নাটকীয় কিছুর আভাস, উইকেট থেকে স্পিনাররা যেভাবে পেয়েছে তৃতীয় দিন টার্নÑতাতে সাকিব, তাইজুল, জুবায়ের, মাহামুদুল্লা যখন রাঙাচ্ছে চোখ প্রোটিয়াদের, তখন চট্টগ্রাম টেস্টের সব উত্তেজনাই যে কেড়ে নিল বৃষ্টি! প্রথম তিন দিনে ৫২ ওভার ম্যাচহীন থাকার হিসেবটা শেষ ২ দিনে মেলানোর সুযোগটাও যে দিল না বাংলাদেশকে বৃষ্টি। তবে বাংলাদেশের স্বপ্ন বৃষ্টি কেড়ে নিলেও বৃষ্টি বিঘিœত এই ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড কিন্তু দেখেছে বিশ্ব। দুই ভার্সনের ক্রিকেটে অভিষেকে ম্যান অব দ্য ম্যাচের কৃতিত্ব নেই কারো। ওয়ানডে অভিষেকে ভারতের বিপক্ষে ম্যান অব দ্য ম্যাচ মুস্তাফিজুর টেস্ট অভিষেকেও এমন কৃতিত্বে নতুন ইতিহাস করেছেন রচনা। ২ বছর আগে এই ভেন্যু থেকেই সোহাগ গাজীর বিস্ময় অল রাউন্ড দ্যুতিতে দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব বিশ্বরেকর্ড। সেঞ্চুরির পাশে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেটের সেই রেকর্ডে এখনো একা সোহাগ গাজী। মুস্তাফিজুরের রেকর্ডটিও এলো সেই ভেন্যু থেকে। তবে ড্রেসিংরুমের সামনে  পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নেয়ার দৃশ্যটি যে দেখতে পারলো না দর্শক। বাংলাদেশের এই ১৯ বছরের তরুণের কৃতিত্বে […]

প্রধান দুই দলের চালচিত্র হতাশায় ডুবছে বিএনপি

বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী বলে অভিহিত করেন অনেকে। ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতেও এই এলাকার গুরুত্ব সমানভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির কর্মকা-ের ওপর নির্ভর করে নগরীর সার্বিক পরিস্থিতি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই দুই প্রধান দলের বন্দরনগরীর রাজনীতির হালচাল কেমন এবং অদূর ভবিষ্যতে তা কোন দিকে গড়াতে পারে এ সব বিষয় তুলে ধরেছেন রফিকুল ইসলাম সেলিম। হতাশায় ডুবছে বিএনপিচট্টগ্রাম মহানগরীতে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থাও এখন খুবই নাজুক। বড় নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, বিরোধে কর্মীরাও বিভক্ত। সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে জুলুম-নির্যাতন আর মামলা-হামলার শিকার হয়ে বিপর্যস্ত দলের নেতাকর্মীরা। ৫ জানুয়ারীর একতরফা নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনে চট্টগ্রাম অচল হলেও তার সুফল পায়নি বিএনপি। বরং মামলা, হুলিয়া আর জেল-জুলম জুটেছে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভাগ্যে। গেল ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টানা তিন মাসের আন্দোলনেও এখানকার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জীবনবাজি রেখে মাঠে ছিলেন। ফল হিসাবে মামলা আর হুলিয়ার সংখ্যাই শুধু বেড়েছে। কারাবন্দি হতে হয়েছে শত শত নেতাকর্মীকে। একদিনেই তিনশ’ নেতাকর্মীকে কারাবন্দি করে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে সরকার। মামলা হুলিয়া নিয়ে শত শত নেতাকর্মী কারাগারে কিংবা আদালতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের অভিযোগ দলের নেতাদের কাছ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না তারা। নেতাদের কেউ কেউ এসব মজলুম কর্মীদের সাথে দেখাও করছেন না। সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে এই দলটি। এরপরও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দলের পক্ষে আছেন। তারা কখনো মাঠ ছেড়ে যাননি। এই চরম দুঃসময়েও নেতাদের মধ্যে বিরোধ বিভক্তি প্রকট। আন্দোলনের সময়ে চট্টগ্রামের অনেক বড় বড় নেতাকে রাস্তায় দেখা যায়নি। তাদের কেউ ঢাকায় বসে কীভাবে আন্দোলন ভ-ুল করে দেওয়া যায় সে অপকৌশল গ্রহণ করেন। আন্দোলনে সব নেতা এক কাতারে মাঠে নামতে পারলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো বলেও মনে করেন কর্মীরা। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বড় নেতাদের প্রতি অবিশ্বাস ও অনাস্থাও প্রকট। নগর বিএনপির সাংগঠনিক কাঠোমোও এখন নড়বড়ে। বিগত ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ৫ সদস্যের নগর কমিটি গঠন করে দেওয়া হয় কেন্দ্র থেকে। ওই কমিটির সহ-সভাপতি দস্তগীর চৌধুরী মারা গেছেন। এখন ৪ সদস্যের কমিটি দিয়ে চলছে নগর বিএনপি। বেশ কয়েকবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। কাউন্সিলের মাধ্যমে মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরোধে ওই কাউন্সিল প- হয়। সেই থেকে ওই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ লেগেই আছে। মেয়র নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনজুর আলমের পক্ষে দুই নেতা একসাথে মাঠে নামলেও নির্বাচনের পর ফের তারা দুই মেরুতে। কেন্দ্রীয় নেতা হয়েও আবদুল্লাহ আল নোমান নগরীতে বিএনপির অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। এসব অনুষ্ঠানে নগর বিএনপির কোনো নেতাকে দেখা যায় না। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথেও নগর সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সম্পর্ক শীতল। ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে দুই নেতার অনুসারীদের […]

ইউ টার্নে সিরিজে ফিরলো বাংলাদেশ

দ.আফ্রিকা ঃ ১৬২/১০ (৪৬.০ ওভারে) বাংলাদেশ ঃ ১৬৭/৩ (২৮.৪ ওভারে) ফল ঃ বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ীশামীম চৌধুরী :  সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ থেমেছে ১৬০-এ, দ্বিতীয় ম্যাচে দ.আফ্রিকাকে থামিয়েছে ১৬২ তে! প্রথম ম্যাচে ৫৩ বল হাতে রেখে সফরকারীদের ৮ উইকেটে জয় দেখেছে বাংলাদেশ দল, দ্বিতীয় ম্যাচে সেই সফরকারীদের বিপক্ষে বদলার ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৭ উইকেটে, ১৩৪ বল হাতে রেখে! সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের জয়ে উইনিং শটটি ছিল রুশোর বাউন্ডারি, রুশোকে জবাব দিতে গতকাল  ইমরান তাহিরকে স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে মেরেছেন সৌম্য ছক্কা! একেই বলে ইউটার্ন! এই একটি ইউটার্নে ২০১৭’র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও যে নিশ্চিত করতে পেরেছে বাংলাদেশ। হোমে টানা ৪র্থ ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আবহও হয়েছে তৈরিÑমঞ্চটা এখন চট্টগ্রামে, চোখ এখন ১৫ জুলাই বাংলাদেশের লাকি ভেন্যুতে। শাসন করা তাকেই মানায়, সোহাগ করে যে, বাংলা এই প্রবচনটি যে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্যÑ বিসিবি বস সেই কাজটিই করেছিলেন গত পরশু। অনুশীলনের চেয়েও শাসনটা তার কাছে ছিল জরুরি, ক্রিকেটারদের ছন্দে ফেরাতে তার সতর্কবার্তা টনিকের মতো করেছে কাজ। দ.আফ্রিকার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের ২ ম্যাচে হেলায় হেলায় হাতছাড়া করেছে ম্যাচ বাংলাদেশ দল, সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ছন্নছাড়া বাংলাদেশ দলকেই দেখেছে দর্শক। সেই ছন্নছাড়া দলকে ছন্দে ফিরিয়ে আনতে টিম ম্যানেজমেন্টের বাইরে পরামর্শকের ভূমিকায় টেকনিক্যাল কমিটিÑ বাংলাদেশের ক্রিকেটে চার মুরব্বী স্থানীয় ক্রিকেট ব্যক্তির পরামর্শে একাদশে পরিবর্তনকে যদি কেউ হস্তক্ষেপ বলে গন্য করে, তাহলে এমন হস্তক্ষেপও দলের জন্য ভাল। বিসিবি সভাপতির সতর্কবার্তায় আড়মোড়া ভেঙে অন্য এক বাংলাদেশকে ঠিকই দেখেছে দর্শক ম্যাচের শুরু থেকে। ফিল্ডিংয়ে ফিরে পেয়েছে সুনাম। নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের উপর হস্তক্ষেপ করে তিন পেস বোলার তত্ত্বে ফিরিয়ে এনে মুস্তাফিজকে দিয়েছে সাহস। ভারতের বিপক্ষে অভিষেক সিরিজে বিশ্বরেকর্ডের (৩ ম্যাচের সিরিজে ১৩ উইকেট)পর দ.আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে উইকেটহীন কাটানোর কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয়নি। বাংলাদেশকে সিরিজে ফেরাতে কাটার মাস্টার ফিরেছেন ছন্দে (৩/৩৮)। তার প্রথম স্পেলে ডি কক ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। বাধ্যতামূলক পাওয়ার প্লেতে রানের লাগাম (৩৮/১) টেনে ধরতে পেরেছে বাংলাদেশ সেখানেই। একাদশে ফেরা রুবেল নিজের দ্বিতীয় ওভারে হাশিম আমলার অফ স্ট্যাম্প শূন্যে পাঁচ চক্করে উড়িয়ে প্রোটিয়াদের মনোবলে দিয়েছেন ধাক্কা। সেই ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি তারা। ইনিংসের মাঝপথে প্রোটিয়াদের স্বল্প স্কোরে বেঁধে ফেলতে নাসির, মাহামুদুল্লাহরা অধিনায়কের নির্দেশনা পালন করেছেন অক্ষরে অক্ষরে। দ্বিতীয় জুটির ২৯ ছাড়া প্রোটিয়াদের উল্লেখ করার মতো পার্টনারশিপ শেষ ২টিতে, ২২ করে।  বোলার নাসিরে রূপান্তর হওয়া ছেলেটি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন গতকাল (৮-০-২৬-৩)। ক্যারিয়ারের প্রথম তিন উইকেটের ইনিংসের তিনটিই ব্রেক থ্রু। ইনিংসে নিজের প্রথম বলেই সফল নাসির। প্রকৃত অর্থে অফ স্পিন যাকে বলে, সেই ডেলিভারি দিয়েই সফল তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের ২টি এবং ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য তিন ইনিংস (৩১, ১৯ ও ৪৫) শেষে রুশো থেমেছেন […]

সাকিবের ওপর নির্ভরশীল নয় বাংলাদেশ দল

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের স্পটলাইটটা এখন সৌম্য সরকারের দিকে। বিশ্বকাপ থেকে ব্যাটিংয়ে তার আগ্রাসী মেজাজটাই বাংলাদেশের চেহারা দিয়েছে বদলে। ১৩টি ওয়ানডে ইনিংসে গড়টাও তার ঈর্ষণীয়, ৪০.৫৮। অথচ, ওয়ানডের আক্রমণাত্মক টপ অর্ডার ক্যারিয়ারের প্রথম ২টি টি-২০তে মেলে ধরতে পারেননি নিজেকে। রাবাদার বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে গত পরশু করেছেন মারাত্মক ভুল। ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে অপরিনামদর্র্শী শটে শুধু নিজেই আউট হননি, তার ওই আউটেই লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। দ. আফ্রিকার কাছে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে (৫২ রানে) হেরে যাওয়ায় অপরাধবোধে তাড়িত এই বাঁহাতি ওপেনারÑ ‘সবাই বুঝছে, আমিও বুঝছি, আমার জন্য একটু খারাপই হচ্ছে। আমি থিতু হয়ে আউট হচ্ছি, এটা আমার চেয়ে দলের জন্যই বেশি খারাপ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমি অনেক কাজ ও পরিকল্পনা করছি।’  প্রথম ম্যাচে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারার মাশুল দিয়েছে বাংলাদেশ দল, তার জন্য অনুতপ্ত এই টপ অর্ডারÑ ‘সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল। পরিকল্পনা ছিল, প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ রান করে রাখলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক সুবিধা হবে। এই পরিকল্পনা নিয়েই চেজ করতে নেমেছিলাম। তবে আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। শুরুতেই দুটি উইকেট হারিয়েছি। শুরুতে এই ধাক্কা খাওয়ার কারণে আমরা পিছিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ফিল্ডিং, বোলিংয়ে সফল হয়েছে। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ব্যাটিং করতে পারলে হয়তোবা ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে আসতে পারতো।’ ১৪৯ রান চেজ করতে নেমে প্রোটিয়া অফ স্পিনার ডুমিনি এবং বাঁ হাতি স্পিনার ফাঙ্গিসো কেন ভয়ংকর হয়ে উঠবে? নিজেদের চেনাজানা স্পিন ফ্রেন্ডলি উইকেটে নিজেরাই উল্টো ফাঁদে পড়বে? এ প্রশ্ন সৌম্যর। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের মাঝপথে উইকেটে বাড়তি টার্ন পাওয়ায় পরিস্থিতিটা বদলে গেছে বলে মনে করছেন সৌম্যÑ ‘শুরুতে কিন্তু উইকেটে ততটা টার্ন ছিল না। যখন মুশফিক ভাই আউট হয়ে গেছে বা আমাদের একটু বেশি উইকেট পড়ে গেছে তখন আমরা পিছিয়ে গেছি। ঐ সময়ে উইকেটে একটু টার্ন বেশি ছিল। ব্যাটসম্যানরা চাপে থাকলে আর কন্ডিশন বোলারদের পক্ষে থাকলে এটা হতে পারে। ’ টি-২০তে টপ অর্ডারদের ভূমিকা একটু বেশি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর তা উপলব্ধি করছেন সৌম্যÑ ‘সাকিব ভাই শেষ করে এলে বা দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের কেউ একজন শেষ করে আসতে পারলে ভালো হতো। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা যদি বড় জুটি গড়ে দিয়ে আসতে পারতাম তাহলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য ম্যাচটা হাতে নেয়া সহজ হতো।’ টি-২০তে বাংলাদেশের একমাত্র স্পেশালিস্ট ক্রিকেটার সাকিব। তবে আইপিএল, বিগ ব্যাশ এবং সিপিএল’র পারফর্মার সাকিবের উপর বাংলাদেশ দল এখন নির্ভরশীল, তা মানতে নারাজ সৌম্যÑ ‘টি-২০তে সাকিব ভাই অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সব জায়গাতেই খেলেন। তবে আমরা উনার ওপরই নির্ভরশীল তা কিন্তু নয়। এখন সবাই পারফর্ম করছে বলেই আমাদের ফল ভালো হচ্ছে। উনি ভালো […]

বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে চলবো আমরা’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে এখন আর অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে আরও বেশি উজ্জ্বল করে তুলেছে ক্রিকেট দলের সোনার ছেলেরা। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। কাজেই আমাদের কেউ হারাতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বিশ্ব সভায় আমরা মাথা উঁচু করে চলব, মাথা নিচু করে নয়। শনিবার গণভবনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকাপে ভালো খেলায় এবং পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করায় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ এবং ক্রিকেট বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাতে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পুরস্কারের চেক তুলে দেন। এ সময় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ক্রিকেটারদের অটোগ্রাফ দেয়া একটি ব্যাট প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন। ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের টাইগাররা সাবেক বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করেছে। তাদের নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে। বাংলাদেশকে আর অবহেলা করার সুযোগ নেই। সেটা টাইগাররা ক্রিকেট বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে। এখন যারাই বাংলাদেশ সফরে আসবে তাদের হিসাব করে খেলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল একদিন বিশ্বকাপ জিতবে। এখন আমরা তারই নমুনা দেখতে পাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো দারিদ্র্য থাকবে না। বাংলাদেশ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ আর নিম্নে থাকবে না। ঊর্ধ্বে থাকবে। ক্রিকেটারদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ছেলেদের আরও আন্তরিকতা নিয়ে খেলতে হবে, যাতে বাংলাদেশের মুখ আরও উজ্জ্বল হয়। তবে এ কথা বলে আমি খেলোয়াড়দের চাপে ফেলতে চাই না। খেলার মাঠে নিজেদের মধ্যে কোনো রকম চাপ রাখা যাবে না। আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। একটু খারাপ খেললেই পত্র-পত্রিকাগুলো লিখতে শুরু করে। আমি সব সময় এর প্রতিবাদ করে আসছি। খেলায় হার-জিত আছে। সবচেয়ে বড় কথা, খেলার মাঠে কত ভালো নৈপুণ্য দেখানো যায়, কতটা ভালো খেলা উপহার দেয়া যায় সেটি বড় বিষয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৪ বছরের সংগ্রাম ও যুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করেছে, এটি মনে রাখতে হবে। তাহলে বাংলাদেশকে কেউ হারাতে পারবে না। আমাদের এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। বাংলাদেশ এই আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবে। ক্রিকেট আমাদের যে মর্যাদা দিয়েছে, তার জন্য আমরা গর্বিত। দেশে আরো উন্নত মানের স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আরও দুটি উন্নত মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ করব। একটি হবে কক্সবাজারে, আরেকটি পদ্মার পাড়ে। পদ্মার পাড়ে একটি আধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স করব আমরা, সে মাস্টারপ্লান করতে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ এসবের বাস্তবায়ন করতে পারব। আমরা আর আর্থিকভাবে দুর্বল নই। শুধু ক্রিকেটই নয়, বাংলাদেশের সব খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতার পর ক্রিকেটার, কোচ, স্টাফ, বিসিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ […]

ইতিহাস গড়তে চায় বাংলাদেশ

সময় ও সাফল্য মানুষকে কতোটা বদলে দিতে পারে তার একটা দারুণ উদাহরণ হলেন বাংলাদেশ কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। প্রথম যখন এক বছর আগে ঢাকায় এলেন মুখে মাপা হাসি, কাটা কাটা কথা। প্রশ্ন শুনলেই বোঝার চেষ্টা করতেন, আক্রমণ হচ্ছে কি না। সেই হাতুরুসিংহে এখন সংবাদ সম্মেলনে এসে সমানে রসিকতা করেন, চাপা হাসি হাসেন আর বারবার বলে দেন, সময়টা এখন তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শুরুর আগে প্রতিপক্ষ নিয়ে সর্বোচ্চ সম্মান দেখালেন। নিজেদের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বললেন। তবে দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড আর ইতিহাসের প্রশ্ন আসতেই চোয়ালটা শক্ত করে ফেললেন, মুখ গম্ভীর করে বললেন, তিনি ইতিহাস বদলাতে এসেছেন; ইতিহাসের স্রোতে গা ভাসাতে আসেননি! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ যাবত্ বাংলাদেশের একমাত্র অর্জন সেই ২০০৭ বিশ্বকাপের একটি জয়। উড়ন্ত ফর্মে সেই দলটির মুখোমুখি হওয়ার আগে হাতুরুসিংহে পরিষ্কার বলে দিলেন নিজের এই দর্শনের কথা, ‘আমি ইতিহাসে বিশ্বাস করলে এখানে বসে থাকতে পারতাম না। আমি তাহলে জিততেই পারতাম না। আমি ইতিহাসে বিশ্বাস করি না। ইতিহাস ব্যাপারটাই তৈরি হয়েছে বদলানোর জন্য। আমরা সেটা কীভাবে করবো, সেটা হলো বিষয়। আমরা ইতিহাসের অংশ হতে চাই না, আমরা ইতিহাস গড়তে চাই। আমরা অতীতে বাস করি না, আমরা বর্তমানে বাস করি।’ সেই বর্তমানটা যে শুধু ক্রিকেট দলের জন্য নয়, পুরো দেশের জন্য রোমাঞ্চকর, সেটাও বলে দিলেন জাতীয় দলের এই প্রধান কোচ, ‘আমার ধারণা, এটা পুরো বাংলাদেশের জন্যই রোমাঞ্চকর একটা সময় কাটছে। আমি মনে করি, জয় সবসময়ই ভালো অভিজ্ঞতা। তার ওপর আমরা যেভাবে জিতছি এবং খেলছি, সেটা বিশেষ রোমাঞ্চকর। এমন জয় তো আমাদের আগে খুব আসেনি, তাই অবশ্যই রোমাঞ্চকর।’ যেহেতু সময়টা খুব রোমাঞ্চকর, তাই শিষ্যদের এটা উপভোগ করারই অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছেন কোচ। আর এই উপভোগে অন্তত কোনো অন্যায় দেখেন না হাতুরুসিংহে, ‘আমি এই জয় উদযাপনে এখনও পর্যন্ত এমন কিছু দেখিনি যাতে তাদের মনোসংযোগ নষ্ট হতে পারে। তারা পা মাটিতেই রাখছে। তবে এটাও সত্যি যে, জয় ব্যাপারটা উপভোগ করতে হয়। এদের অনেকেই এই ধরনের জয় এর আগে কখনো পায়নি। ফলে তাদের নজিরবিহীন এই আনন্দ করতে দিতে হবে। তাদের সব ধরনের অধিকার আছে উপভোগ করার এবং উপভোগ করতে যে আত্মবিশ্বাস চাই, সেটাও আছে।’ এমনকি খেলোয়াড়রাও যাতে অতীত রেকর্ড নিয়ে মাথা না ঘামায়, সে জন্য নাকি কোচের চেষ্টার কমতি নেই, ‘খেলোয়াড়রা কী ভাবে, কী পড়ে; সেটা তো আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমি শুধু ওদের বলতে পারি, বর্তমান ও ভবিষ্যত্ নিয়ে ভাবতে। আমি সবসময় ওদের বলি, তারা কতোটা ভালো সেটা নিয়ে ভাবতে; আগে কী হয়েছে তা নিয়ে নয়।’ যে বাংলাদেশ এক বছর আগেও হারছিলো, তারা কিভাবে এতো বদলে গেলো, এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বোলিং আক্রমণ নিয়ে কোচের কথা শুনলে বুঝবেন, বৈচিত্র্যই এই […]

খানদানি ভিক্ষুক

ভিক্ষা করতে কত জনই না কত কৌশল অবলম্বন করেন। কেউবা রাস্তার পাশে পড়ে থেকে ভিক্ষা করেন। আবার কোন কোন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক অনেক সময় ভিক্ষা করতে সাথে রাখেন একজন সহযোগীকে। তবে এবার এমন একজন ভিক্ষুকের সন্ধান পাওয়া গেছে যিনি কিনা ভিক্ষা করেন নিজের দামি গাড়িতে চড়ে। ভারতের রাজস্থানে বসবাসকারী প্রতিবন্ধী রফিকের দুই পা-ই নেই। পা না থাকলেও বিশেষভাবে গাড়ি চালানো রপ্ত করে নিয়েছেন রফিক। তার পরিবারের বাকি পাঁচ সদস্য তার সাথে ঐ গাড়িতেই থাকেন। গাড়িতেই তারা খাওয়া-দাওয়া করেন। ঘুমানও ঐ গাড়িতেই। গাড়িতে বসে ভিক্ষা করে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা আয় করেন রফিক। মাসিক হিসাবে যা লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এক কথায় তাকে ধনী ভিক্ষুক বললে হয়তো বেশি বলা হবে না।  

ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্য হলেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। মঙ্গলবার তাকে নবগঠিত নারী ও সমতা বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্য ঘোষণা করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি মারিয়া মিলার দুই সপ্তাহ আগে এই কমিটির চেয়ার নির্বাচিত হন। এমপিদের কয়েক বছরের দাবির মুখে সমপ্রতি নারী ও সমতা বিষয়ক বিষয়গুলো দেখাশোনার জন্য একটি পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটি করে যুক্তরাজ্য সরকার। গত ৭ মে অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে ভোটে জয়ী হয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। লেবার পার্টির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।  

পবিত্র ওমরা পালনে যাচ্ছেন ২০ দলীয় জোটনেত্রী গণঅভ্যুত্থানেই বিদায় নেবে স্বৈরাচার : খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানেই স্বৈরাচার বিদায় হবে। দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশে শান্তি ও সম্মান ফিরে আসবে। গতকাল এক ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নির্বাসিত। আইনের শাসন অনুপস্থিত। মানবাধিকার পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। মানুষ আজ প্রতিনিয়ত গুম-খুন-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ জন্য দায়ী বর্তমান জবর দখলকারী এই সরকার। তারা (সরকার) কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাদের নিয়ন্ত্রণে কোনো কিছু নেই।সকল অপকর্মের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের এমপি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা জড়িত অভিযোগ করে তিনি বলেন, সকল পেশার মানুষ ও দেশবাসীর কাছে একটাই আমাদের আহবান থাকবে, আসুন এই রমজান মাসে প্রতিটি নামাজে আল্লাহর কাছে দোয়া করব, ফরিয়াদ করব যাতে তিনি (আল্লাহতালা) এই জালেমদের দ্রুত বিদায় করেন। ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাব মিলনায়তনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন-ড্যাব এর উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বেগম খালেদা জিয়া। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-স্যার সলিমুল্লাহ-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম-বগুড়াসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক, চিকিৎসক এবং তিন হাজার চিকিৎসক অংশ নেন।যানজটের কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন ইফতারের শুরুর মিনিট খানেক পর অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এর পরপরই অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা  চৌধুরী। ইফতার শেষে বেগম জিয়া চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। প্রবীণ চিকিৎসক বি. চৌধুরী, অধ্যাপক এমএ মাজেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির খন্দকার মাহবুব হোসেন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের রুহুল আমিন গাজী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের শওকত মাহমুদ, ড্যাব এর সভাপতি অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক ও মহাসচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনকে নিয়ে এক টেবিলে বসে ইফতার করেন বিএনপি  চেয়ারপারসন। এছাড়া শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বায়েস ভুঁইয়া, অধ্যাপক আবু আহমেদ, অধ্যাপক সদরুল আমিন, ইউনিভার্সিটি টিচার অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের জাকির হোসেন, সাংবাদিক নেতা এম আজিজ, আব্দুুল হাই শিকদার, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান আসাদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান প্রমুখ ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।দখলবাজ ও চাঁদাবাজির জন্য ক্ষমতাসীনদের অভিযুক্ত করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের এমপি ও তার পরিবার এমনকি ছাত্রলীগ-যুবলীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা মানুষের বাড়ি-ঘর, জমি-জমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করছে। তাদের চাঁদাবাজির অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। সাধারণ মানুষ আজ কীভাবে রোজা রাখে সেদিকে অবৈধ সরকারের কোনো নজর নেই। তারা বড় বড় মিথ্যা বুলি আওড়ায়। আর বড় বড় প্রকল্পের নামে সব টাকা কমিশন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। প্রশাসন ও বিচারবিভাগে দলীয়করণের অভিযোগও করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।তিনি […]