‘জাপান’

৪৪% আবে’র বক্তব্যকে সমর্থন করেছেনঃ মন্ত্রীসভার প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধি

জাপানের ৪৪.২ শতাংশ ভোটার এক জরিপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৭০তম বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। কিয়োদো নিউজ পরিচালিত এক জরিপে এ কথা জানা যায়। গত শুক্র ও শনিবার টেলিফোনে পরিচালিত জরিপে ৩৭ শতাংশ ভোটার বলেছেন তারা এটাকে ইতিবাচক মনে করছেন না। বিদেশে জাপানের সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের কর্ম পরিসর বৃদ্ধিকে অনুমোদন করা বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা বিল সম্পর্কে ৬২.৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন তারা চলতি ডায়েট সেশনেই বিলটির অনুমোদন পাওয়াকে সমর্থন করতে পারছেন না অপর দিকে ২৯.২ শতাংশ বিলটির সপক্ষে তাদের মতামত দিয়েছেন।

বিনম্র শ্রদ্ধায় জাপানে জাতীয় শোক দিবস পালিত

টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। সকাল ১০টায় রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন’র নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে প্রবাসী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও মিডিয়া কর্মীদের সাথে নিয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিক ভাবে অর্ধনমিত করেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তারা। বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে এই পর্বের সমাপ্তি ঘটে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা এ সময় দূতাবাসে উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১১টায় দূতাবাসের সম্মেলন কেন্দ্রে আমন্ত্রিত বাংলাদেশ প্রেমী কিছু জাপানি বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও সমবেত প্রবাসীদের নিয়ে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। সূচনাতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। ১৫ই অগাষ্ট চক্রান্তকারীদের নৃশংসতায় নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সাথে নিহত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের উপর একটি দূর্লভ প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের এই অবিসাংবাদিত জননেতাকে সে সময়ে জাপানিরা যে অভূতপূর্ব সম্মান দেখিয়েছিলেন তা দেখেই বোঝা যায় জাপান-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত কত দৃঢ়। জাপানি ভাষায় অনুদিত বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” গ্রন্থের মোড়ক উন্মচন করা হয়। বইটির অনুবাদক কাজুহিরো ওয়াতানাবে। গ্রন্থের প্রকাশক “আসাহি শোতেন” এর প্রধান নির্বাহী জনাব ওহাশি, নাগোয়ায় বাংলাদেশের অনারারি কনস্যুলার জেনারেল হিদেও ইগাওয়া, অধ্যাপক নাকামুরা প্রমুখ এই বই নিয়ে তাদের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেন। জাপানি অতিথিরা চমৎকার বাংলায় তাদের বক্তব্য দিয়ে সবাইকে চমকৃত করেন। প্রবাসীরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন তার সভাপতির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে সকলের অংশগ্রহণের জন্যে কৃতজ্ঞতা জানান। এই শোক দিবসে প্রয়াত মহান নেতার অসমাপ্ত কাজ গুলোর কিছু অংশ যেন প্রবাসীদের দ্বারাও সম্ভব হয় সেই আবেদন জানান।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৭০তম বার্ষিকীঃ আবে’র বক্তৃতার খসড়ায় “ক্ষমা প্রার্থনা” অন্তর্ভুক্ত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চলতি সপ্তাহের শেষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র বক্তৃতার প্রতি সকলের সাগ্রহ নজর রয়েছে। শুক্রবার আবে যুদ্ধের প্রতিফলনে একটি বিবৃতি প্রদান করবেন। জানা গেছে, বিবৃতির খসড়ায় আবে “ক্ষমা প্রার্থনা” এবং “আগ্রাসন” শব্দ গুলো অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছেন। এতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জাপানের অতীতের অবস্থানই বজায় থাকবে। খসড়াটি নিয়ে আবে তার নিজ দল ও শরিক দল কোমেইতো’র সাথেও আলোচনা করছেন। শুক্রবার মন্ত্রীসভা গ্রহণ করার আগে সেখানে সামান্য কিছু পরিবর্তনও আনা হতে পারে। সূত্র গুলো জানিয়েছে খসড়া প্রস্তাবে “ক্ষমা প্রার্থনা” এবং “আগ্রাসন” ছাড়াও থাকছে “গভীর অনুতাপ” এবং “ঔপনিবেশিক শাসন” শব্দ গুলো। ১৯৯৫ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তোমিইচি মুরাইয়ামা এবং এক দশক পরে জুনিচিরো কোইজুমি এসব শব্দ গুলোই ব্যবহার করেছিলেন। আবে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে ভবিষ্যতে জাপান আর কোনো যুদ্ধ শুরু করবে না -এমন অঙ্গীকারও ব্যক্ত করবেন। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, আবে তার পছন্দের শব্দ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে চাইছেন এবং যুদ্ধ নিয়ে তার প্রকৃত বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন।

জ্বালানি তেলের সংকটে দ্বিতীয় লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নাগাসাকিতে ফেলা হলো আণবিক বোমা

আমেরিকার দুই শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল গ্রোভ এবং এডমিরাল পারনেল প্রায় নিশ্চিত হয়েছিলেন যে জাপানের উপর অল্প সময়ের ভেতর দু’টি আণবিক বোমা নিক্ষেপ করলে জাপান সরকারকে আত্মসমার্পণে রাজি করানো যাবে। লস আলামোস এ বিজ্ঞানীরা গবেষণায় বসেছিলেন ঠিক কোন ধরণের বোমাটি নিক্ষেপ করা হবে, ইউরেনিয়াম নাকি প্লুটোনিয়াম ভিত্তিক বোমা। হিরশিমা’তে নিক্ষেপ করা “লিটল বয়” ছিলো ইউরেনিয়াম ভিত্তিক এবং তা কতোটা বিধ্বংসী তা দেখা হয়ে গেছে। এখন প্লুটোনিয়াম ভিত্তিক বোমা কী করতে পারে তা দেখার বাকি। আমেরিকানদের মূল লক্ষ্য ছিলো কোকুরা। প্রাথমিক ভাবে বোমার তিনটি লক্ষ্য স্থান নির্ধারণ করা হয়। কিয়োতো, কোকুরা এবং নিইগাতা। ধর্মীয় সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে কিয়োতো’র বদলে দ্বিতীয় লক্ষ্য হিসেবে নাগাসাকি’কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তৃতীয় লক্ষ ছিলো নিইগাতা -কিন্তু দূরত্বের কারণে সেটিকেও বাদ দেয়া হয়। চুড়ান্ত ভাবে দু’টি লক্ষ্যই থাকলো কোকুরা ও নাগাসাকি। নাগাসাকি একটি বড় জাহাজ নির্মাণ শহর এবং সেখানে বিশাল সামরিক বন্দর ছিলো। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেখানে বিগত ১২ মাসে ৫ দফা বোমা বর্ষণ হয়েছিলো কাজেই সেখানে বোমা নিক্ষেপ করা হলে আণবিক বোমায় কী ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করা কঠিন হবে। যাইহোক, তবে শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া আর ভাগ্যই নাগাসাকি’কে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যায়। “এনোলা গে” হিরোশিমা’তে গিয়ে বৈচিত্রহীন যাত্রা করে বোমা নিক্ষেপ করে ঘাঁটিতে ফিরে আসে। নাগাসাকি’তে বোমা বহনকারী বিমান “বক্সকার” এবং হিরোশিমার বোমা বহনকারী “এনোলা গে” দু’টি বিমানই ছিলো বি২৯ সুপারফোট্রেস বোমারু বিমান। বক্সকার টিনিয়ান দ্বীপ থেকে অগাষ্টের ৯ তারিখ ভোর ৩টা ৪০ মিনিটে আকাশে ওড়ে। উড্ডয়নের পর বিমানের ফ্লাইট কমান্ডার মেজর সুইনি দেখতে পান বিমানটির জ্বালানি পাম্প কোনো কাজ করছে না। ফলে ট্যাঙ্কে যে অতিরিক্ত ৮০০ গ্যালন তেল ছিলো তা রয়ে গেলো অব্যবহৃত এবং অতিরিক্ত তেল বহনের কারণে বিমানটিকে আতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় করতে হচ্ছিলো। হিরোশিমার “লিটল বয়” ছিলো সাধারণ বন্দুক ধরনের বোমা, কিন্তু “ফ্যাট ম্যান” ছিলো “ইমপ্লোশন” ধরনের। অর্থাৎ এটি অন্তর্মুখী বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমাটিকে ঘিরে ৬৪টি বিস্ফোরক লাগানো ছিলো। বোমাটির ওজন ছিলো ১০ হাজার পাউন্ড, দৈর্ঘ্যে ১০ ফিট ৮ ইঞ্চি। এটির ২০ হাজার টন উচ্চ বিস্ফোরক ক্ষমতা ছিলো। বক্সকার যখন তার প্রধান লক্ষ্য কোকুরা’র কাছাকাছি তখনই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় যে আবহাওয়াই শহরটিকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে। শহরটি মেঘাচ্ছন্ন ছিলো। সুইনি শহরের উপর তিনবার চক্কর দিলেন কিন্তু কোথাও কোনো ফাঁকা স্থান খুঁজে পেলেন না। সাথে তেলের চিন্তাও একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। সুইনি সিদ্ধান্ত নিলেন তারা দ্বিতীয় লক্ষ্য নাগাসাকিতেই যাবেন। সুইনি’র যে পরিমাণ তেল অবশিষ্ট ছিলো তা দিয়ে শহরটির উপর দিয়ে মাত্র একবার চক্কর দেয়া সম্ভব হবে এবং তিনি আর টিনিয়ানে ফিরে যেতে পারবেন না। তাকে নামতে হবে ওকিনাওয়া’তে। নাগাসাকি শহরেও হালকা মেঘের আস্তর ছিলো কিন্তু তারা লক্ষ্য নির্ধারণ করার মতো একটি ফাঁকা জায়গা খুঁজে পেলেন। ২৮,৯০০ ফিট […]

দক্ষিণ চীন সাগর বিরোধ: টোকিও-ম্যানিলার সমালোচনায় চীন

দক্ষিণ চীন সাগরে ম্যানিলা ও টোকিওর নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ উপস্থিতির কঠোর সমালোচনা করেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে চীনে আক্রমণ করার জন্য যৌথ আঞ্চলিক নিরাপত্তা ফোরাম গঠন করেছে জাপান ও ফিলিপাইন। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি অভিযোগ করেন চীন সাগরে চলাচলে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হবে না এমন প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও চীন নৌযান চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ ও সমুদ্রপথ দখলের চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র চীন সাগরে চীনের কোন বিধিনিষেধ মেনে নেবে না বলেও জানান কেরি। বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে কেরি অভিযোগ করে বলেন, চীনের সামরিক নির্মাণ বিশেষ করে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এবং প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রের সামরিকীকরণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এর আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের নীতি নিয়ে ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আক্রমণাত্মক ভাষায় কথা বলেছেন এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাতে সমর্থন যুগিয়েছেন। ওই অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে ফোরাম গঠনের কথা উল্লেখ করে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বিবৃতিতে বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্থিতিশীল রয়েছে এবং বড় ধরনের সংঘাতের কোন আশংকা নেই। চীন এমন কোন কিছু প্রত্যাশা করে না যাতে বিভক্তি ছড়ায় ও উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।

টানা ৫ দিন ধরে জাপানের বিস্তীর্ণ এলাকায় দুর্বিসহ গরম

জাপানের রাজধানী টোকিও সহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে টানা ৫ দিন ধরে অসহনীয় গরমে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। জাপানের উত্তর থেকে পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত গরম ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করেছে। ঊর্ধ্বাকাশে শীতল বায়ুর প্রভাবে বায়ুমন্ডলের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, ফলে কোথাও কোথাও স্থানীয় ভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো গুনমা প্রিফেকচারের তাতেবাইয়াশি’তে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। ইবারাকি প্রিফেকচারের দাতে শহরে তাপমাত্রা ছিলো ৩৮.৩, গিফু প্রিফেকচারের তাজিমি’তে তাপমাত্রা ছিলো ৩৮ ডিগ্রি, কোচি প্রিফেকচারের শিমানতো নিশিতোসা’তে তাপমাত্রা ছিলো ৩৭.৩ ডিগ্রি। দেশ জুড়ে ৯২৮টি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টের ১৭৪টিতে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির বেশি ছিলো। টোকিও শহরে তাপমাত্রা ছিলো ৩৫.১ ডিগ্রি। ১৮৭৫ সালের পর টানা ৫ দিন ধরে এ রকম দুর্বিসহ গরম থাকার ঘটনা এটিই প্রথম। দেশের ৮০ শতাংশের বেশি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির বেশি ছিলো। এমন কি রাতেও ভোর পর্যন্ত প্রচন্ড উত্তাপ বজায় থাকছে। অনেক স্থানে রাতের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির নীচে নামছে না। আবহাওয়া বিভাগ সকলকে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রচুর তরল পান করার উপদেশ দিয়েছে, সাথে হিটস্ট্রোক এড়াতে প্রয়োজন মতো শীততাপ নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাও চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছে। বুধবারও তাপমাত্রার তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না।

অগ্নুৎপাতের আগেভাগেই পূর্বাভাস দেয়ার নতুন সতর্ক ব্যবস্থা চালু করলো জাপান

জাপানের আবহাওয়া বিভাগ মঙ্গলবার থেকে অগ্নুৎপাতের পূর্বাভাস আরো দ্রুততার সাথে দেয়ার নতুন এক পদ্ধতি চালু করেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মধ্য জাপানের আগ্নেয়গিরি মাউন্ট ওনতাকে হতে আকস্মিক এক অগ্নুৎপাতে ৫৮ জন নিহত হন। কর্মকর্তারা বলেছেন নতুন পদ্ধতি পর্বোতারোহী এবং স্থানীয় অধিবাসীদের অবিলম্বে সতর্ক হওয়ার বার্তা বহন করবে। সার্বক্ষণিক নজরে থাকা বর্তমানের ৪৭টি আগ্নেয়গিরির ক্ষেত্রে এই সতর্কতা ব্যবহার করা হবে। আবহাওয়া বিভাগ অগ্নুৎপাতের ৫ মিনিটের মধ্যে সতর্কতা জারি করবে। যখনই একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে অগ্নুৎপাত না ঘটানো আগ্নেয়গিরি অগ্নুৎপাত ঘটাবে – তখনই তার সতর্কতা জারি করা হবে। তা ছ্ড়াও ইতিমধ্যেই অগ্নুৎপাত ঘটনাও কোনো আগ্নেয়গিরি থেকে বড় ধরনের উদ্গীরণের সম্ভাবনার সতর্ক বার্তাও জানানো হবে। সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরার মাধ্যমে অগ্নুৎপাত পর্যবেক্ষণ করা হবে, যখন কোনো ঊর্ধমুখী কম্পন বা উদ্গীরণের পূর্বে আগ্নেয় কম্পন পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে সতর্কবার্তা প্রেরণ করা হবে।

জাপান সরকারের উপর মার্কিন গোয়ান্দাগিরিঃ কৈফিয়ত চাইলো জাপান

জাপান সরকার এবং জাপানি কোম্পানি গুলোর উপর মার্কিন গোয়েন্দাগিরির জন্যে ওয়াশিংটনের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেছে জাপান। “সত্য ঘটনা উদঘাটন করে দেখতে আমরা মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক জেমস ক্ল্যাপার’র কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছি” জাপানের প্রধান মন্ত্রী পরিষদ সচিব ইয়োশিহিদে সুগা সাংবাদিকদেরকে বলেন। সাংবাদিকরা উইকিলিকস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জাপান সরকারের কর্মকর্তা ও কোম্পানি গুলোর উপর আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা’র গোয়েন্দাদের নজর সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন। “গোয়েন্দা নজররের বিষয়টি যদি সত্যি হয়ে থাকে আমেরিকার মিত্র দেশ হিসেবে আমরা সেটাকে অত্যন্ত দুঃখজনক হিসেবেই বিবেচনা করবো” সুগা বলেন।

মধ্য জাপানের তাপমাত্রা ৩৯.৯ ডিগ্রি স্পর্শ করলো

জাপান জুড়ে প্রচন্ড তপ্ত আবহাওয়া অব্যাহত রয়েছে। প্রচন্ড গরম রোববারও অব্যাহত থাকে। শনিবার গিফু প্রিফেকচাররের তাজিমি’র তাপমাত্রা গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়েস। দিনটি ছিলো এ বছর জাপানের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দিন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া গুনমা প্রিফেকচারের তাতেবাইয়াশি’তে তাপমাত্রা ছিলো বিকেল ৪টায় ৩৯.৪ ডিগ্রি, কিয়োতো ৩৮.৫ ডিগ্রি। মধ্য জাপানের নাগোয়া’তে তাপমাত্রা ছিলো ৩৮.৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং টোকিও’র চিওদা ওয়ার্ডের কিতানো মারু পার্কে। রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৯২৮টি পর্যবেক্ষণ কেদ্রের মধ্যে ২১৫টি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির বেশি ছিলো -যা মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ৬৭৩টি স্থানে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেঃ স্পর্শ করে।

জাপানের ওপর মার্কিন নজরদারি

জাপান সরকার এবং দেশটির বিভিন্ন ব্যাংক ও কোম্পানির ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আট বছর আগে এই নজরদারি চালানো হয়। ফাঁস করা এক নথিতে এ তথ্য জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী ওয়েবসাইট উইকিলিকস। তবে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। খবর বিবিসি’র। এক বিবৃতিতে উইকিলিকস জানিয়েছে, জাপানের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর নজরদারি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসএ)। উইকিলিকস ৩৫ টি টেলিফোন নম্বরের তালিকাও প্রকাশ করেছে। জাপানের মন্ত্রী এবং কর্মকর্তাদের মধ্যকার আলোচনা বিশেষ করে বাণিজ্য সংক্রান্ত, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, পরমাণু এবং জ্বালানি নীতি সম্পর্কিত আলোচনায় হস্তক্ষেপ করেছে এনএসএ। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের বাসভবনের গোপন ব্রিফিংয়ের ওপরও নজরদারি চালানো হয়েছে। জাপানের বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যাংক, জ্বালানি বিভাগ এবং মিতসুবিশি ও মাত্শুইয়ের মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের ওপর গোয়েন্দাবৃত্তি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উইকিলিকস এর আগে জার্মানি, ফ্রান্স এবং ব্রাজিলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি চালানোর বিষয়টি প্রকাশ করেছে। এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র বলেই পরিচিত। উইকিলিকস জানিয়েছে, এনএসএ সংগ্রহ করা এসব তথ্য অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রিটেন এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বিনিময় করতো যারা ‘ফাইভ আইজ’ নামে পরিচিত।