Archive for July 14th, 2015

ফযীলতপূর্ণ দিবস-রজনী : একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা

একটি মসজিদে ‘ইসলামী পবিত্র দিনসমূহ’ শিরোনামে একটি তালিকা নজরে পড়ল। তাতে কিছু আছে ইসলামে স্বীকৃত মহিমান্বিত দিবস-রজনী, আবার কিছু আছে আবিষ্কৃত রসম-রেওয়াজ এবং ইসলামী ইতিহাস বিষয়ে না জানার ভুল। সমাজের বিভিন্ন মহলে এসব দিবস-রজনী বিশেষভাবে পালিত হতেও দেখা যায়। কোনো কোনো দিবস এমন আছে, যেগুলোতে সরকারী ছুটি থাকে অথচ ইসলামে সে সকল দিবস স্বীকৃত নয়। আর এসব দিবস-রজনী বিভিন্ন অনির্ভরযোগ্য পুস্তক-পুস্তিকায়ও দেখা যায়। তাই তালিকাটির উপর একটি পর্যালোচনা সংগত মনে হল। এ পর্যালোচনায় তালিকার ভুলগুলোও যেমন উল্লেখ করা হয়েছে তেমনি ইসলামে স্বীকৃত দিবস-রজনী বিষয়ে প্রয়োজনীয় কিছু কথাও আলোচনা করা হয়েছে। যাতে স্বীকৃত বিষয়েও কেউ ভুলের শিকার না হন। প্রথমে তালিকাটি উল্লেখ করছি। ইসলামী পবিত্র দিনসমূহ (যেমনটা ঐ তালিকায় দেওয়া হয়েছে) ১. ১ লা মুহাররম : হিজরী নববর্ষ ২. ৯ ই মুহাররম : আশুরার রোযা ৩. ১০ ই মুহাররম : আশুরা ৪. সফরের শেষ বুধবার : আখেরী চাহার শোম্বাহ ৫. ১২ই রবিউল আউয়াল : নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্ম ও ওফাত দিবস ৬. রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার  : লায়লাতুর রাগায়েব ৭. ১৫ই রজব : শবে এস্তেফতাহ ৮. ২৭ শে রজব : লাইলাতুল মিরাজ ৯. ১৫ই শাবান : লাইলাতুল বরাত ১০. ২১, ২৩, ২৫,২৭ ও ২৯ শে রমযান : লাইলাতুল কদর ১১. ১লা শাওয়াল : ঈদ-উল-ফিত্র ১২. ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ যিলহজ্ব : আইয়ামে তাশরীক ১৩. ৯ই যিলহজ্ব : ইয়াওমুল আরাফা হজ্ব দিবস ১৪. ১০ই যিলহজ্ব : ঈদ-উল-আযহা ১৫. প্রতি মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখ : আইয়ামে বীজ (রোযা রাখা সুন্নত) এই তালিকার শিরোনাম হওয়া উচিত ছিল, ‘ইসলামী ফযীলতপূর্ণ দিবস-রজনী’। কারণ প্রতিটি দিনই পবিত্র, কোনো দিনই অপবিত্র বা অশুভ নয়। হাঁ, দিনসমূহের মধ্যে ঐ দিনগুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতপূর্ণ, কুরআন হাদীসে যেগুলোর বিশেষ ফযীলত উল্লেখিত হয়েছে। সুতরাং পবিত্র না বলে ফযীলতপূর্ণ বলা উচিত। নিচে এই তালিকার উপর সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা পেশ করা হল । ১. ১ লা মুহাররম : হিজরী নববর্ষ প্রথম কথা হল, ১লা মুহাররম হিজরী বর্ষের প্রথম দিন। কিন্তু এটা ‘ইসলামী পবিত্র দিনসমূহ’ বা ‘ইসলামী ফযীলতপূর্ণ দিবস-রজনী’ শিরোনামে আসবে কিনা সেটা ভাববার বিষয়। ইসলামী ফযীলতপূর্ণ দিবস হতে হলে কুরআন-সুন্নাহয় তার আলাদা ফযীলত উল্লেখ থাকতে হবে।  এছাড়া এখানে হিজরী নববর্ষ শব্দ থেকে কেউ বুঝতে পারে যে, অন্যান্য জাতি যেমন নববর্ষ উদযাপন করে, হিজরী নববর্ষও মুসলমানদের জন্য সে রকম উদযাপনের দিবস। অথচ ইসলামে নববর্ষ, বর্ষপূর্তি কিংবা জন্মবার্ষিকী বা মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার কোনো বিধান নেই।   তবে চান্দ্রমাস ও বছরের সাথে যেহেতু  রোযা, হজ্ব, ঈদুল ফিত্র, ঈদুল আযহা ও যাকাতসহ বহু ইবাদাত ও শরয়ী বিধিবিধান সম্পৃক্ত এ জন্য এর হেফাযত ও চর্চা রাখা ফরযে কেফায়া। এবং এ ব্যাপারে শিথিলতা প্রদর্শন করা জাতীয় […]

জাপান বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিল

গত রোববার ১২ জুলাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাপান শাখা আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় টোকিওর আরাকাওয়া কু’র ওগু ফুরিআইকান এ। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী এই মাহফিলে সমবেত হন এবং ইফতারে অংশ নেন। ইফতারির পূর্বে ইসলামি বয়ান, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। ইফতার শেষে তারাবির নামাজের জন্যে কিছুটা তড়িঘড়ি করে সবাইকে রাতের খাবারে আপ্যায়িত করা হয়। আয়োজনক একটি রাজনৈতিক দল হলেও অনুষ্ঠানে দলমত নির্বিশেষে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মিডিয়ার প্রায় সকলকেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। বিষয়টি অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। একজন ভিন্ন দলের প্রবাসী বললেন, “আমরা এখানে সবাই প্রবাসী -সেটাই আমাদের প্রধানতম পরিচয়। রক্তের সাথে সম্পর্কহীন প্রবাসীরা ২০,২৫ এমনকি ৩০ বছর ধরে বসবাস করছে। ধর্ম, রাজনৈতিক বিদ্বেষ ভিন্ন হলেও সম্পর্কটা আত্মিক। ইফতার একটি ধর্মীয় আয়োজন। -এখানে রাজনীতি বিবেচ্য নয়।  ক’দিন আগেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখা আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বিএনপি ঘরনার এক-দু’জনের উপস্থিতি ছিলো। জাপান প্রবাসী হিসেবে এটি একটি ব্যতিক্রম। দলীয় রাজনীতি ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের এই যে উদারতা জাপান প্রবাসীরা তার উজ্জ্ব্ল দৃষ্টান্ত।  একই দিনে চীবা প্রিফেকচারের অনুষ্ঠানের কথা উঠলেই বলা হয় সময় স্বল্পতার জন্যে বোধ হয় এমনটি হয়েছে। তবে দু’একজনের কাছে ভিন্ন মতামত শোনা গেছে। উল্লেখ্য প্রতি শনিবার ও রোববার টোকিও ও তার আশেপাশের প্রতিতটি মসজিদেই ধর্মীয় ঐতিহ্য মতো ইফতার ও তারাবির আয়োজন চলছে। জাপান আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জাপানের আরেকটি অংশের দাবিদারও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলো। বিএনপি জাপান শাখার সদস্য ও কর্মীরা প্রচুর পরিশ্রম করে এই আয়োজনটি করেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা দলমত নির্বিশেষে ইফতারে শরীক হওয়ার জন্যে প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।