Archive for July 5th, 2015

হাশিমাঃ পরিত্যাক্ত এক দ্বীপের কথা

দক্ষিণ জাপানের নাগাসাকি শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে পরিত্যাক্ত দ্বীপ হাশিমা যা গুনকানজিমা (রণতরী দ্বীপ) নামেই পরিচিত -শিল্পন্নোত জাপানের ইতিহাস যেন সে তুলে ধরছে। দ্বীপটি এখন নাগাসাকি প্রিফেকচারের ৫০৫টি বসতিহীন দ্বীপের একটি। দ্বীপটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য পরিত্যাক্ত এবং নির্বিঘ্ন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা কংক্রিট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন গুলো ও তার পার্শ্ববর্তী সমুদ্র প্রাচীর। দ্বীপটি সমুদ্রতলদেশীয় কয়লা খনির জন্যে এক সময় সুপরিচিত ছিলো, ১৮৮৭ সালে কয়লা খনির কাজ শুরু হয় -যা জাপানের শিল্পায়নের সময় পরিচালিত হতো। ১৯৫৯ সালে ৬.৩ হেক্টর (১৬ একর) দ্বীপটির জনসংখ্যা শিখরে ওঠে, এ সময় জনংখ্যা ছিলো ৫,২৫৯ জন। কয়লা খনিটি ১৯৭৪ সালে বন্ধ করে দেয়া হয় এবং তার অল্প পরেই দ্বীপবাসীরা দ্বীপ ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেন। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে ও অনেক গুলো নাজুক অবস্থায় রয়েছে। তবে বাইরের ধসে পড়া দেয়ালের কোনো কোনো অংশকে আবার মেরামত করা হয়েছে। কিছু মানুষের আগ্রহে চলতি শতাব্দীতে দ্বীপটি আবার মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে উঠে আসে এবং ধীরে ধীরে তা পর্যটকদের কাছেও আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে। ২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল পর্যটকদের জন্যে দ্বীপটি খুলে দেয়া হয়। এখন দ্বীপটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হওয়ার জন্যে ইউনেস্কোর বিবেচনায় রয়েছে। ১৮৮৭ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত কয়লা খনি থাকাকালীন দ্বীপটিতে মানববসতি ছিলো। দ্বীপটির প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রন ছিলো নাগাসাকির শহরের। জাপানের শিল্পোন্নয়নের সময় কয়লা খনির ব্যাপক চাহিদা ছিলো। ১৮৯০ সালে মিৎসুবিশি দ্বীপটি কিনে নেয় এবং তার প্রকল্পের কাজ শুরু করে। তাদের সমুদ্রতলদেশীয় খনি থেকে কয়লা আহরণের পরিকল্পনা ছিলো। খনির জন্যে শ্রমিক আনা হয় জাপানি উপনিবেশ গুলো থেকে। সেখানেই জাপানের সর্বপ্রথম সুউচ্চ কংক্রিট অট্টালিকা নির্মাণ করা হয়, উচ্চতা ছিলো ৯তলা। এটি নির্মিত হয় ১৯১৬ সালে। কোম্পানির কর্মীরা এখানে থাকতেন। তাইফুন থেকে রক্ষা পেতে চারপাশে নির্মাণ করা হয় উঁচু প্রাচীর। ১৯৩০ এর দশকে অনেক চীনা ও কোরিয়ানকে বাধ্যতামূলক শ্রম দিতে এখানে আনা হয়েছিলো। ১৯৬০ এর দশকে পেট্রোলিয়ামের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে ধীরে ধীরে জাপান থেকে কয়লার ব্যবহার কমতে থাকে। হাশিমা’রও একই অবস্থা। মিৎসুবিশি ১৯৭৪ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে কয়লা খনি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়, আজকে দ্বীপটি জনশূন্য। ৩৫ বছর পরিত্যাক্ত থাকার পর ২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল আবার তাতে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়।

বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে চলবো আমরা’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে এখন আর অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে আরও বেশি উজ্জ্বল করে তুলেছে ক্রিকেট দলের সোনার ছেলেরা। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। কাজেই আমাদের কেউ হারাতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বিশ্ব সভায় আমরা মাথা উঁচু করে চলব, মাথা নিচু করে নয়। শনিবার গণভবনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকাপে ভালো খেলায় এবং পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করায় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ এবং ক্রিকেট বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাতে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পুরস্কারের চেক তুলে দেন। এ সময় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ক্রিকেটারদের অটোগ্রাফ দেয়া একটি ব্যাট প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন। ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের টাইগাররা সাবেক বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করেছে। তাদের নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে। বাংলাদেশকে আর অবহেলা করার সুযোগ নেই। সেটা টাইগাররা ক্রিকেট বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে। এখন যারাই বাংলাদেশ সফরে আসবে তাদের হিসাব করে খেলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল একদিন বিশ্বকাপ জিতবে। এখন আমরা তারই নমুনা দেখতে পাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো দারিদ্র্য থাকবে না। বাংলাদেশ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ আর নিম্নে থাকবে না। ঊর্ধ্বে থাকবে। ক্রিকেটারদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ছেলেদের আরও আন্তরিকতা নিয়ে খেলতে হবে, যাতে বাংলাদেশের মুখ আরও উজ্জ্বল হয়। তবে এ কথা বলে আমি খেলোয়াড়দের চাপে ফেলতে চাই না। খেলার মাঠে নিজেদের মধ্যে কোনো রকম চাপ রাখা যাবে না। আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। একটু খারাপ খেললেই পত্র-পত্রিকাগুলো লিখতে শুরু করে। আমি সব সময় এর প্রতিবাদ করে আসছি। খেলায় হার-জিত আছে। সবচেয়ে বড় কথা, খেলার মাঠে কত ভালো নৈপুণ্য দেখানো যায়, কতটা ভালো খেলা উপহার দেয়া যায় সেটি বড় বিষয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৪ বছরের সংগ্রাম ও যুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করেছে, এটি মনে রাখতে হবে। তাহলে বাংলাদেশকে কেউ হারাতে পারবে না। আমাদের এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। বাংলাদেশ এই আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবে। ক্রিকেট আমাদের যে মর্যাদা দিয়েছে, তার জন্য আমরা গর্বিত। দেশে আরো উন্নত মানের স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আরও দুটি উন্নত মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ করব। একটি হবে কক্সবাজারে, আরেকটি পদ্মার পাড়ে। পদ্মার পাড়ে একটি আধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স করব আমরা, সে মাস্টারপ্লান করতে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ এসবের বাস্তবায়ন করতে পারব। আমরা আর আর্থিকভাবে দুর্বল নই। শুধু ক্রিকেটই নয়, বাংলাদেশের সব খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতার পর ক্রিকেটার, কোচ, স্টাফ, বিসিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ […]