Archive for July 13th, 2015

ইউ টার্নে সিরিজে ফিরলো বাংলাদেশ

দ.আফ্রিকা ঃ ১৬২/১০ (৪৬.০ ওভারে) বাংলাদেশ ঃ ১৬৭/৩ (২৮.৪ ওভারে) ফল ঃ বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ীশামীম চৌধুরী :  সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ থেমেছে ১৬০-এ, দ্বিতীয় ম্যাচে দ.আফ্রিকাকে থামিয়েছে ১৬২ তে! প্রথম ম্যাচে ৫৩ বল হাতে রেখে সফরকারীদের ৮ উইকেটে জয় দেখেছে বাংলাদেশ দল, দ্বিতীয় ম্যাচে সেই সফরকারীদের বিপক্ষে বদলার ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৭ উইকেটে, ১৩৪ বল হাতে রেখে! সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের জয়ে উইনিং শটটি ছিল রুশোর বাউন্ডারি, রুশোকে জবাব দিতে গতকাল  ইমরান তাহিরকে স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে মেরেছেন সৌম্য ছক্কা! একেই বলে ইউটার্ন! এই একটি ইউটার্নে ২০১৭’র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও যে নিশ্চিত করতে পেরেছে বাংলাদেশ। হোমে টানা ৪র্থ ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আবহও হয়েছে তৈরিÑমঞ্চটা এখন চট্টগ্রামে, চোখ এখন ১৫ জুলাই বাংলাদেশের লাকি ভেন্যুতে। শাসন করা তাকেই মানায়, সোহাগ করে যে, বাংলা এই প্রবচনটি যে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্যÑ বিসিবি বস সেই কাজটিই করেছিলেন গত পরশু। অনুশীলনের চেয়েও শাসনটা তার কাছে ছিল জরুরি, ক্রিকেটারদের ছন্দে ফেরাতে তার সতর্কবার্তা টনিকের মতো করেছে কাজ। দ.আফ্রিকার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের ২ ম্যাচে হেলায় হেলায় হাতছাড়া করেছে ম্যাচ বাংলাদেশ দল, সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ছন্নছাড়া বাংলাদেশ দলকেই দেখেছে দর্শক। সেই ছন্নছাড়া দলকে ছন্দে ফিরিয়ে আনতে টিম ম্যানেজমেন্টের বাইরে পরামর্শকের ভূমিকায় টেকনিক্যাল কমিটিÑ বাংলাদেশের ক্রিকেটে চার মুরব্বী স্থানীয় ক্রিকেট ব্যক্তির পরামর্শে একাদশে পরিবর্তনকে যদি কেউ হস্তক্ষেপ বলে গন্য করে, তাহলে এমন হস্তক্ষেপও দলের জন্য ভাল। বিসিবি সভাপতির সতর্কবার্তায় আড়মোড়া ভেঙে অন্য এক বাংলাদেশকে ঠিকই দেখেছে দর্শক ম্যাচের শুরু থেকে। ফিল্ডিংয়ে ফিরে পেয়েছে সুনাম। নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের উপর হস্তক্ষেপ করে তিন পেস বোলার তত্ত্বে ফিরিয়ে এনে মুস্তাফিজকে দিয়েছে সাহস। ভারতের বিপক্ষে অভিষেক সিরিজে বিশ্বরেকর্ডের (৩ ম্যাচের সিরিজে ১৩ উইকেট)পর দ.আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে উইকেটহীন কাটানোর কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয়নি। বাংলাদেশকে সিরিজে ফেরাতে কাটার মাস্টার ফিরেছেন ছন্দে (৩/৩৮)। তার প্রথম স্পেলে ডি কক ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। বাধ্যতামূলক পাওয়ার প্লেতে রানের লাগাম (৩৮/১) টেনে ধরতে পেরেছে বাংলাদেশ সেখানেই। একাদশে ফেরা রুবেল নিজের দ্বিতীয় ওভারে হাশিম আমলার অফ স্ট্যাম্প শূন্যে পাঁচ চক্করে উড়িয়ে প্রোটিয়াদের মনোবলে দিয়েছেন ধাক্কা। সেই ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি তারা। ইনিংসের মাঝপথে প্রোটিয়াদের স্বল্প স্কোরে বেঁধে ফেলতে নাসির, মাহামুদুল্লাহরা অধিনায়কের নির্দেশনা পালন করেছেন অক্ষরে অক্ষরে। দ্বিতীয় জুটির ২৯ ছাড়া প্রোটিয়াদের উল্লেখ করার মতো পার্টনারশিপ শেষ ২টিতে, ২২ করে।  বোলার নাসিরে রূপান্তর হওয়া ছেলেটি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন গতকাল (৮-০-২৬-৩)। ক্যারিয়ারের প্রথম তিন উইকেটের ইনিংসের তিনটিই ব্রেক থ্রু। ইনিংসে নিজের প্রথম বলেই সফল নাসির। প্রকৃত অর্থে অফ স্পিন যাকে বলে, সেই ডেলিভারি দিয়েই সফল তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের ২টি এবং ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য তিন ইনিংস (৩১, ১৯ ও ৪৫) শেষে রুশো থেমেছেন […]

জাপান জুড়ে অব্যাহত প্রচন্ড গরমঃ সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বানঃ বিভিন্ন স্থানে মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত

জাপানে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো প্রচন্ড গরম অব্যাহত রয়েছে। অনেক স্থানে মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্থানে রোববার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। পশ্চিম হোক্কাইদো থেকে শুরু করে জাপান সাগর পর্যন্ত গরমের দাবদাহ চলছে। জাপানের আবহাওয়া বিভাগ সকলকে হিটস্ট্রোক থেকে সতর্ক থাকার উপদেশ দিয়েছে। তাইফুন ৯ এর প্রভাবে ব্যাপক ভাবে উচ্চচাপের বায়পূর্ণ অঞ্চল হতে ঘূর্ণায়মান বাতাসের প্রবাহ উত্তর এবং পূর্ব জাপানে বিস্তৃত হয়েছে। এর ফলে তোকাচি অঞ্চল এবং পূর্ব হোক্কাইদো ও জাপান সাগর সংলংগ্ন হনশু দ্বীপে তাপমাত্রা ব্যপক বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো হোক্কাইদোর আশোরো এবং ওবিহিরো অঞ্চলে ৩৬.৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। গুনমা প্রিফেকচারের তাতেবাইয়াশি’তে তাপমাত্রা ছিলো ৩৬, ফুকুই শহরে ৩৫.৫, হিয়োগো প্রিফেকচারের তোইয়োওকা’তে ৩৫.১, ফুকুশিমা ৩৪ নাগোয়া শহরে ৩৩ ডিগ্রি ছিলো। রাজধানী টোকিও’র কেন্দ্রস্থলে তাপমাত্রা ছিলো ৩২ ডিগ্রি। জাপানের আবহাওয়া বিভাগ সকলকে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার জন্যে বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দিয়েছে, সব সময় ঠান্ডা স্থানে অবস্থান করা, প্রচুর পানি বা তারল গ্রহণ করে নিজেকে আর্দ্র রাখার উপদেশ দিয়েছে। এদিকে তাইফুন ৯ এর প্রভাবে ওকিনাওয়ার দক্ষিণ থেকে প্রবাহিত আর্দ্র উষ্ণ বাতাস চুগোকু-শিকোকু অঞ্চলে এসে অস্থিতিশীল বায়ুমন্ডলীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ফলে সে সব অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সোমবারও এ সকল স্থানে অনুরূপ অস্থিতিশীল বজায় থাকতে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সকল স্থানে প্রবল বর্ষণ থেকে ভূমিধস, বন্যা ও নদী প্লাবন দেখা দিতে পারে।