Archive for July 30th, 2015

ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে জাপান প্রবাসীদের সম্বর্ধনা

মহান একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা, প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী বাংলাদেশ লোক সংগীত পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করলেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশীরা। গত ২৬ জুলাই ২০১৫ রোববার, টোকিওর আকাবানে বিভিন্ন হলে দলমত নির্বিশেষে সকল প্রবাসীরা সমবেত হয়ে এই শিল্পীকে সম্বর্ধনা দিলেন। কাজী ইনসানুল হকের সভাপতিত্বে এই নাগরিক সম্বর্ধনায় শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উত্তরণ’র পক্ষে জাহিদ চৌধুরি, স্বরলিপি’র পক্ষে নাসিরুল হাকিম, বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরামের পক্ষে বাকের মাহমুদ, সার্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষে সুনীল দে মুঞ্জিগঞ্জ বিক্রমপুর সোসাইটির পক্ষে মোল্লা ওয়াহিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখার পক্ষে ছালেহ মোঃ আরিফ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাপান শাখার পক্ষে কাজী এনামুল হক, বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে ১ম সচিব বেবী রাণী কর্মকার, সার্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষে তনুশ্রী গোলদার। এ ছাড়াও, মুক্তিযোদ্ধা অজিত বড়ুয়া, কাজী মাহফুজুল হক লাল প্রমুখ এই বীর কন্ঠযোদ্ধার প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা জানান। মুকুল মুস্তাফিজ ও বাকের মাহমুদ তাকে উৎসর্গিত কবিতা পড়ে শোনান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন নারমিন হক এবং দ্বীপ্তি রাজবংশীর হাতে ফুলের তোড়া দেন মনি হাকিম। মুন্সী খ আজাদ তার শুভেচ্ছা বক্তব্য সহ ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর পরিচিতি বাংলা ও জাপানি ভাষায় পড়ে শোনান। জাপান প্রবাসীদের পক্ষ থেকে শিল্পীকে ক্রেস্ট প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি কাজী ইনসানুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আসলাম হীরা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা। বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরামের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করেন জুয়েল আহসান কামরুল। সম্বর্ধনা অংশ উপস্থাপনা করেন সুখেন ব্রম্ম। সম্বর্ধনা শেষে আবেগ ঘন বক্তব্যে ইন্দ্রমোহন রাজবংশী জাপান প্রবাসীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন- আপনারা সম্মিলিত ভাবে আমাকে যে সম্মান জানালেন -তা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া- আমি আজীবন তা পরম মমতায় ধারণ করবো। দোয়া করবেন আমি যে মরমী গান সংগ্রহের কাজ শুরু করেছি তা যেন শেষ করে যেতে পারি। উত্তরণ কালচারাল গ্রুপ জাপান’র সহযোগিতায় শিল্পী দম্পতি গান, গানের সাথে সাথে নানান কথাবার্তা, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের নানান ঘটনা বর্ণনা করেন। দর্শকরা প্রাণ ভরে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। বাংলাদেশের পরম বন্ধু বেশ ক’জন জাপানি দর্শকও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কম্পিউটার গ্রাফিক্সে ছিলেন কমল বড়ুয়া। এ ছাড়াও অন্যান্যরা সহযোগিতা করেন।

অ্যাঞ্জেল নিয়ে তোলপাড়!

ঠাকুরমার ঝুলি বা নিদেনপক্ষে আরব্য রজনীতে এমনটা হলে আমরা কেউই আশ্চর্য হতাম না। কিন্তু বাস্তবে যদি শোনেন, আকাশ থেকে একজন বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেল মাটিতে পড়ে গিয়েছে এবং তাঁকে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে তাহলে তা এক কথায় হেসে উড়িয়ে দেবেন এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। তবে যতই হাসাহাসি করুন না কেন, সমপ্রতি ইন্টারনেটে একটি ছবি তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন   বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেল অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। তাকে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। পক্ককেশ ওই বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেলকে দেখতে সাধারণ মানুষের মতোই। তবে শুধু একটাই ফারাক রয়েছে। তার পিঠে এক জোড়া ডানা রয়েছে। তবে বয়সের কারণে ডানা দুটোতে পালক কিংবা পশম নেই বললেই চলে। অ্যাঞ্জেল চোখ বন্ধ করে শুয়ে রয়েছে শান্তিতে। ছবিটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার পর কোটি কোটি মানুষ তা দেখছে। এটি এতই ‘জীবন্ত’ যে অনেকেই তাকে সত্যি সত্যি অ্যাঞ্জেল বলে বিশ্বাস করে মন্তব্য করেছে। কিন্তু বিষয়টি সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর সাংবাদিকরা তুলে এনেছেন আসল ঘটনা। তারা বলছেন, এটি আসলে কোনো অ্যাঞ্জেল নয়। একটি ভাস্কর্য। অসাধারণ এবং ‘প্রায় জীবন্ত’ এই ভাস্কর্য তৈরী করেছেন দুই চিনা শিল্পী। তাদের নাম সুন ইউয়ান এবং পেং ইউ। চীনের রাজধানী বেজিংয়ে রাখা এই অ্যাঞ্জেলকে যারা সরাসরি দেখেছে তারাও একে আসল মনে করে বিভ্রান্ত হয়েছেন। দুই শিল্পী এই সাড়া জাগানো ভাস্কর্যের নাম দিয়েছেন ‘দ্য ফলেন অ্যাঞ্জেল’।