Archive for August 5th, 2015

টানা ৫ দিন ধরে জাপানের বিস্তীর্ণ এলাকায় দুর্বিসহ গরম

জাপানের রাজধানী টোকিও সহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে টানা ৫ দিন ধরে অসহনীয় গরমে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। জাপানের উত্তর থেকে পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত গরম ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করেছে। ঊর্ধ্বাকাশে শীতল বায়ুর প্রভাবে বায়ুমন্ডলের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, ফলে কোথাও কোথাও স্থানীয় ভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো গুনমা প্রিফেকচারের তাতেবাইয়াশি’তে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। ইবারাকি প্রিফেকচারের দাতে শহরে তাপমাত্রা ছিলো ৩৮.৩, গিফু প্রিফেকচারের তাজিমি’তে তাপমাত্রা ছিলো ৩৮ ডিগ্রি, কোচি প্রিফেকচারের শিমানতো নিশিতোসা’তে তাপমাত্রা ছিলো ৩৭.৩ ডিগ্রি। দেশ জুড়ে ৯২৮টি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টের ১৭৪টিতে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির বেশি ছিলো। টোকিও শহরে তাপমাত্রা ছিলো ৩৫.১ ডিগ্রি। ১৮৭৫ সালের পর টানা ৫ দিন ধরে এ রকম দুর্বিসহ গরম থাকার ঘটনা এটিই প্রথম। দেশের ৮০ শতাংশের বেশি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির বেশি ছিলো। এমন কি রাতেও ভোর পর্যন্ত প্রচন্ড উত্তাপ বজায় থাকছে। অনেক স্থানে রাতের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির নীচে নামছে না। আবহাওয়া বিভাগ সকলকে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রচুর তরল পান করার উপদেশ দিয়েছে, সাথে হিটস্ট্রোক এড়াতে প্রয়োজন মতো শীততাপ নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাও চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছে। বুধবারও তাপমাত্রার তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না।

অগ্নুৎপাতের আগেভাগেই পূর্বাভাস দেয়ার নতুন সতর্ক ব্যবস্থা চালু করলো জাপান

জাপানের আবহাওয়া বিভাগ মঙ্গলবার থেকে অগ্নুৎপাতের পূর্বাভাস আরো দ্রুততার সাথে দেয়ার নতুন এক পদ্ধতি চালু করেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মধ্য জাপানের আগ্নেয়গিরি মাউন্ট ওনতাকে হতে আকস্মিক এক অগ্নুৎপাতে ৫৮ জন নিহত হন। কর্মকর্তারা বলেছেন নতুন পদ্ধতি পর্বোতারোহী এবং স্থানীয় অধিবাসীদের অবিলম্বে সতর্ক হওয়ার বার্তা বহন করবে। সার্বক্ষণিক নজরে থাকা বর্তমানের ৪৭টি আগ্নেয়গিরির ক্ষেত্রে এই সতর্কতা ব্যবহার করা হবে। আবহাওয়া বিভাগ অগ্নুৎপাতের ৫ মিনিটের মধ্যে সতর্কতা জারি করবে। যখনই একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে অগ্নুৎপাত না ঘটানো আগ্নেয়গিরি অগ্নুৎপাত ঘটাবে – তখনই তার সতর্কতা জারি করা হবে। তা ছ্ড়াও ইতিমধ্যেই অগ্নুৎপাত ঘটনাও কোনো আগ্নেয়গিরি থেকে বড় ধরনের উদ্গীরণের সম্ভাবনার সতর্ক বার্তাও জানানো হবে। সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরার মাধ্যমে অগ্নুৎপাত পর্যবেক্ষণ করা হবে, যখন কোনো ঊর্ধমুখী কম্পন বা উদ্গীরণের পূর্বে আগ্নেয় কম্পন পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে সতর্কবার্তা প্রেরণ করা হবে।