জাপান সরকার এবং দেশটির বিভিন্ন ব্যাংক ও কোম্পানির ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আট বছর আগে এই নজরদারি চালানো হয়। ফাঁস করা এক নথিতে এ তথ্য জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী ওয়েবসাইট উইকিলিকস। তবে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। খবর বিবিসি’র। এক বিবৃতিতে উইকিলিকস জানিয়েছে, জাপানের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর নজরদারি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসএ)। উইকিলিকস ৩৫ টি টেলিফোন নম্বরের তালিকাও প্রকাশ করেছে। জাপানের মন্ত্রী এবং কর্মকর্তাদের মধ্যকার আলোচনা বিশেষ করে বাণিজ্য সংক্রান্ত, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, পরমাণু এবং জ্বালানি নীতি সম্পর্কিত আলোচনায় হস্তক্ষেপ করেছে এনএসএ। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের বাসভবনের গোপন ব্রিফিংয়ের ওপরও নজরদারি চালানো হয়েছে। জাপানের বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যাংক, জ্বালানি বিভাগ এবং মিতসুবিশি ও মাত্শুইয়ের মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের ওপর গোয়েন্দাবৃত্তি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উইকিলিকস এর আগে জার্মানি, ফ্রান্স এবং ব্রাজিলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি চালানোর বিষয়টি প্রকাশ করেছে। এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র বলেই পরিচিত। উইকিলিকস জানিয়েছে, এনএসএ সংগ্রহ করা এসব তথ্য অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রিটেন এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বিনিময় করতো যারা ‘ফাইভ আইজ’ নামে পরিচিত।
Archive for August 1st, 2015
লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
চোখের চিকিৎসা নিতে লন্ডনে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি লন্ডন যাবেন। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠজন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ১০ আগস্টে লন্ডন যাত্রার সম্ভাব্য তারিখ রাখা হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া জোরদার করবেন বলেও জানায় সূত্রগুলো। এর আগে গত ২০১০ সালের মে মাসে লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। পূর্ব লন্ডনের গোরস ভেনর নামের হোটেলে মায়ের সাথে সস্ত্রীক দেখা হয় তারেক রহমানের। ওই সময় স্থানীয় একটি হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞের চিকিৎসাসেবা নেন খালেদা জিয়া। এখন চোখের সমস্যা দেখা দেয়ায় লন্ডনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি প্রধান। একই সাথে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বড় ছেলের সাথে দেখাও হবে সেখানে। লন্ডন বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা ইনকিলাবকে জানান, লন্ডনে গেলে সে দেশের সরকারের উচ্চপদস্থ কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা হতে পারে। তাছাড়া ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত রুশনারা আলীর সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে। এছাড়া সেখানকার বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এমন প্রত্যাশা আছে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের।