Archive for August 17th, 2015

৪৪% আবে’র বক্তব্যকে সমর্থন করেছেনঃ মন্ত্রীসভার প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধি

জাপানের ৪৪.২ শতাংশ ভোটার এক জরিপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৭০তম বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। কিয়োদো নিউজ পরিচালিত এক জরিপে এ কথা জানা যায়। গত শুক্র ও শনিবার টেলিফোনে পরিচালিত জরিপে ৩৭ শতাংশ ভোটার বলেছেন তারা এটাকে ইতিবাচক মনে করছেন না। বিদেশে জাপানের সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের কর্ম পরিসর বৃদ্ধিকে অনুমোদন করা বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা বিল সম্পর্কে ৬২.৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন তারা চলতি ডায়েট সেশনেই বিলটির অনুমোদন পাওয়াকে সমর্থন করতে পারছেন না অপর দিকে ২৯.২ শতাংশ বিলটির সপক্ষে তাদের মতামত দিয়েছেন।

বিনম্র শ্রদ্ধায় জাপানে জাতীয় শোক দিবস পালিত

টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। সকাল ১০টায় রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন’র নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে প্রবাসী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও মিডিয়া কর্মীদের সাথে নিয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিক ভাবে অর্ধনমিত করেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তারা। বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে এই পর্বের সমাপ্তি ঘটে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা এ সময় দূতাবাসে উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১১টায় দূতাবাসের সম্মেলন কেন্দ্রে আমন্ত্রিত বাংলাদেশ প্রেমী কিছু জাপানি বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও সমবেত প্রবাসীদের নিয়ে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। সূচনাতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। ১৫ই অগাষ্ট চক্রান্তকারীদের নৃশংসতায় নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সাথে নিহত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের উপর একটি দূর্লভ প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের এই অবিসাংবাদিত জননেতাকে সে সময়ে জাপানিরা যে অভূতপূর্ব সম্মান দেখিয়েছিলেন তা দেখেই বোঝা যায় জাপান-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত কত দৃঢ়। জাপানি ভাষায় অনুদিত বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” গ্রন্থের মোড়ক উন্মচন করা হয়। বইটির অনুবাদক কাজুহিরো ওয়াতানাবে। গ্রন্থের প্রকাশক “আসাহি শোতেন” এর প্রধান নির্বাহী জনাব ওহাশি, নাগোয়ায় বাংলাদেশের অনারারি কনস্যুলার জেনারেল হিদেও ইগাওয়া, অধ্যাপক নাকামুরা প্রমুখ এই বই নিয়ে তাদের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেন। জাপানি অতিথিরা চমৎকার বাংলায় তাদের বক্তব্য দিয়ে সবাইকে চমকৃত করেন। প্রবাসীরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন তার সভাপতির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে সকলের অংশগ্রহণের জন্যে কৃতজ্ঞতা জানান। এই শোক দিবসে প্রয়াত মহান নেতার অসমাপ্ত কাজ গুলোর কিছু অংশ যেন প্রবাসীদের দ্বারাও সম্ভব হয় সেই আবেদন জানান।