ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বতের চূড়ায় উঠলেন বাংলাদেশি আরোহী কাজী শাহরিয়ার রহমান ওরফে সুজন। রাশিয়ায় অবস্থিত ইউরোপের সর্বোচ্চ ৫৬৪২ মিটার অথবা ১৮৫১০ ফুট পর্বত এলব্রুস আরোহণ করেন তিনি। প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান এবং পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এলব্রুস বিজয় করেন শাহরিয়ার। তিনি ও তার দল অত্যন্ত বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে এই ক্লাইম্ব সম্পন্ন করেন। শাহরিয়ার প্রায় ১০ মিনিট সামিটে অবস্থান করেন এবং বাংলাদেশ ও আমেরিকার পতাকা উড়ান। এই এক্সপেডিশানে সহায়তা করেন রাশিয়ান মাউন্টেরিয়ারিং কোম্পানি সেভেন সাম্মিটস ক্লাব এবং সেভেন সাম্মিটস ক্লাবের অভিজ্ঞ মাউন্টেন গাইড ভ্লাদিমির কোটল্যার। পর্বতারোহণ শাহরিয়ারের নেশা। ইতোপূর্বে তিনি আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো, আমেরিকার রেইনিয়ার, শাস্তা, গ্রেয়স পিক, টরেয়স পিক, বিয়ারসডাত, লংস পীক, হাফ ডোম, হুইটনি এবং মেক্সিকোর লা মালিনছে, পিকো দে ওরিজাবা পর্বতারোহণ করেছেন। পেশাগত জীবনে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার শাহরিয়ার ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালির ক্যাডেন্স ডিজাইন সিস্টেমস-এ কর্মরত। তিনি কানাডা প্রবাসী কবি ইকবাল হাসানের মেয়ের জামাই।
Archive for August 23rd, 2015
তাইফুন গোনি রোববার জাপানে আঘাত হানছে
অত্যন্ত শক্তিশালী মৌসুমের ১৫নং তাইফুন গোনি রোববার ওকিনাওয়া’তে আঘাত হানা শুরু করবে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে শনিবার বিকেলের পর থেকেই এর প্রভাব জাপানের দক্ষিণের প্রিফেকচারের উপর দেখা যায়। সমুদ্র এ সময় উত্তাল ছিলো। এর সাথে যোগ হয়েছে মৌসুমের ১৬ নং তাইফুন আৎসুমি। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে ১৫নং তাইফুনটি ঘন্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিলো। তাইফুন কেন্দ্রে বাতাসের চাপ ৯৪৫ হেক্টোপ্যাসকেল। তাইফুন কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১৬২ কিলোমিটার। কেন্দ্র থেকে ১৩০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বাতাসের গতি ঘন্টায় ২১৬ কিলোমিটার। তাইফুনটি উত্তরমুখী হয়ে অগ্রসর হয়ে রোববার ওকিনাওয়া উপদ্বীপে পৌঁছুবে, এরপর কাগোশিমা প্রিফেকচারের দিকে এগিয়ে যাবে ফলে পথে থাকা কিউশুর উপরও ঝুঁকি রয়েছে। অপর দিকে ১৬নং তাইফুন আৎসুমি শনিবার বিকেল ৩টায় ঘন্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছিলো। এই তাইফুনটিতে বাতাসের চাপ ৯৫০ হেক্টোপ্যাসকেল। তাইফুন কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৪৪ কিলোমিটার। দমকা বাতাসের গতিবেগ ২১৬ কিলোমিটার। তবে ধারণা করা হচ্ছে ১৬নং তাইফুনটি ওগাসাওয়ারা দ্বীপ থেকে ধীরে ধীরে উত্তরে সরে যাবে। রোববার তাইফুনটির প্রভাবে কানতো অঞ্চলে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে।