Archive for July, 2015

বিরল রেকর্ড মুস্তাফিজের বৃষ্টি কেড়ে নিল বাংলাদেশের স্বপ্ন

চতুর্থ দিনেই তৈরি হয়েছিল চিত্রনাট্য, প্রথম তিন দিন দারুণ কিছুর সম্ভাবনা দেখানো ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৭৮ এবং তৃতীয় দিন শেষে ১৭ রানে বাংলাদেশের লিডের পরও যে বেরসিক বৃষ্টি বাধিয়েছে বাগড়া। এমন সম্ভাবনা দেখানো ম্যাচের  পরিণতি যে ধাবিত হচ্ছে ড্র-এ। চতুর্থ দিনের পুরোটা খেলাহীন কেটে যাওয়ায় সে পূর্বাভাসই দিয়েছিল চট্টগ্রাম টেস্টে। ম্যাচের চতুর্থ দিনে গড়ায়নি একটিও বল, পঞ্চম দিনের কাহিনীও এক। চতুর্থ দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয়েছে ম্যাচ রেফারী ক্রিস ব্রডকে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে, পীচ কাভার খোলা যেখানে সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে দেরি করে লাভ কি? কাঁটায় কাঁটায় দুপুর ১২টায় তাই ৫ম দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় ড্র-এ নিষ্পত্তি হলো চট্টগ্রাম টেস্ট। লাকি ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী  স্টেডিয়ামে টানা ৪টি টেস্টের একটিতেও ব্যর্থ হতে হয়নি। নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকার বিপক্ষে ড্র গর্বের ড্র-এর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়, সর্বশেষ সাফল্যটি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে  ড্র। ৯৩তম টেস্টে ৭ জয়ের পাশে ১৪তম ড্র এটি। বৃষ্টি বিঘিœত টেস্টে ড্র’র এটি ৮ম দৃষ্টান্ত। তবে  এক সময় বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়ে হাসাতো বাংলাদেশকে। এখন কাঁদায় বৃষ্টি। ইতোপূর্বে বৃষ্টি বিঘিœত ৭টি টেস্টের মধ্যে কেবল  ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে কর্তৃত্ব নিয়ে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের লিডে দারুণ কিছুর সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিন খেলাহীন চট্টগ্রাম টেস্টে বৃষ্টি বাধায় অবশিষ্ট তিন দিনের পুরোটা হয়নি খেলা। চতুর্থ ইনিংসে ২২৬’র চ্যালেঞ্জের মাঝপথেই ড্র’র প্রস্তাব দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪ বছর পর সেই জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামেই দারুণ কিছুর সম্ভাবনার অপমৃত্যু ডেকে এনেছে বৃষ্টি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে নিজেদের সর্বোচ্চ ৭৮ রানের লিড,  মুস্তাফিজুর (৪/৩৭), জুবায়েরের (৩/৫৩) বোলিংয়ে প্রথম দিনেই টেস্টের নাম্বার ওয়ানদের অল আউটে বাধ্য করা ম্যাচে যেখানে তৃতীয় দিন শেষে ১৭ রানের লিডে নাটকীয় কিছুর আভাস, উইকেট থেকে স্পিনাররা যেভাবে পেয়েছে তৃতীয় দিন টার্নÑতাতে সাকিব, তাইজুল, জুবায়ের, মাহামুদুল্লা যখন রাঙাচ্ছে চোখ প্রোটিয়াদের, তখন চট্টগ্রাম টেস্টের সব উত্তেজনাই যে কেড়ে নিল বৃষ্টি! প্রথম তিন দিনে ৫২ ওভার ম্যাচহীন থাকার হিসেবটা শেষ ২ দিনে মেলানোর সুযোগটাও যে দিল না বাংলাদেশকে বৃষ্টি। তবে বাংলাদেশের স্বপ্ন বৃষ্টি কেড়ে নিলেও বৃষ্টি বিঘিœত এই ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড কিন্তু দেখেছে বিশ্ব। দুই ভার্সনের ক্রিকেটে অভিষেকে ম্যান অব দ্য ম্যাচের কৃতিত্ব নেই কারো। ওয়ানডে অভিষেকে ভারতের বিপক্ষে ম্যান অব দ্য ম্যাচ মুস্তাফিজুর টেস্ট অভিষেকেও এমন কৃতিত্বে নতুন ইতিহাস করেছেন রচনা। ২ বছর আগে এই ভেন্যু থেকেই সোহাগ গাজীর বিস্ময় অল রাউন্ড দ্যুতিতে দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব বিশ্বরেকর্ড। সেঞ্চুরির পাশে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেটের সেই রেকর্ডে এখনো একা সোহাগ গাজী। মুস্তাফিজুরের রেকর্ডটিও এলো সেই ভেন্যু থেকে। তবে ড্রেসিংরুমের সামনে  পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নেয়ার দৃশ্যটি যে দেখতে পারলো না দর্শক। বাংলাদেশের এই ১৯ বছরের তরুণের কৃতিত্বে […]

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুল ফুটলো জাপানে

পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো ও বড় প্রজাতির ফুল ফুটেছে জাপানের টোকিওর একটি পার্কে। টোকিওর জিন্দাই বোটানিকাল গার্ডেনে প্রস্ফূটিত টাইটান আরুম নামে এই বিশালাকার ফুলটি দেখতে ভিড় জমছে লোকদের। বিবিসি’র খবরে প্রকাশ করা হয়েছে, পাঁচ বছরে প্রথমবারের মতো ফুটেছে এই ফুল। প্রায় দুই মিটার বা সাড়ে ছয় ফুট উচ্চতার এই ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম টাইটান আরুম। কদাচিত এটি ফোটে। ফোটার পর ফুলটি দেখার জন্য আগ্রহী শত শত দর্শনার্থীর কথা ভেবে জিন্দাই বোটানিকাল কর্তৃপক্ষ প্রদর্শনীর সময় বাড়িয়েছে। জাপানের কিয়োডো সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়, এই ফুল প্রস্ফূটিত অবস্থায় এক-দুই দিনের বেশি থাকেনা। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ হল এই ফুলের প্রজাতির আদি নিবাস। সুমাত্রায় সমুদ্রপৃষ্ঠের ৪০০ থেকে ১২০০ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের ধাপে জন্মায় এই ফুলের গাছ। এটি এখন বিলুপ্তির পথে।

অলিম্পিক প্রস্তুতির কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন আবে

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তার মন্ত্রীসভার সদস্যদের প্রতি ২০২০ টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক গেমস’র প্রস্তুতির জন্যে কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স বৈঠকে মিলিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এখন থেকে ঠিক ৫ বছর পর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। আবে আশা প্রকাশ করে বলেন অলিম্পিক গেমটি বিশ্বের সকল মানুষের স্বপ্ন ও প্রত্যাশার ভাগ করে নেয়ার একটি অনুষ্ঠানে পরিণত হবে। তিনি বলেন, জাপান ২০১১র বিপর্যয় যে পুরোপুরি ভাবে কাটিয়ে উঠতে পেরেছে সেটিও বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার সুযোগ এটি। তিনি যথাসময়ে যাতে নতুন জাতীয় স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয় তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রীদেরকে নির্দেশ দেন। টাস্ক ফোর্স সন্ত্রাসী তৎপরতা এবং সাইবার হামলা ঠেকানো সহ সার্বিক একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করবে।

প্রধান দুই দলের চালচিত্র হতাশায় ডুবছে বিএনপি

বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী বলে অভিহিত করেন অনেকে। ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতেও এই এলাকার গুরুত্ব সমানভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির কর্মকা-ের ওপর নির্ভর করে নগরীর সার্বিক পরিস্থিতি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই দুই প্রধান দলের বন্দরনগরীর রাজনীতির হালচাল কেমন এবং অদূর ভবিষ্যতে তা কোন দিকে গড়াতে পারে এ সব বিষয় তুলে ধরেছেন রফিকুল ইসলাম সেলিম। হতাশায় ডুবছে বিএনপিচট্টগ্রাম মহানগরীতে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থাও এখন খুবই নাজুক। বড় নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, বিরোধে কর্মীরাও বিভক্ত। সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে জুলুম-নির্যাতন আর মামলা-হামলার শিকার হয়ে বিপর্যস্ত দলের নেতাকর্মীরা। ৫ জানুয়ারীর একতরফা নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনে চট্টগ্রাম অচল হলেও তার সুফল পায়নি বিএনপি। বরং মামলা, হুলিয়া আর জেল-জুলম জুটেছে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভাগ্যে। গেল ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টানা তিন মাসের আন্দোলনেও এখানকার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জীবনবাজি রেখে মাঠে ছিলেন। ফল হিসাবে মামলা আর হুলিয়ার সংখ্যাই শুধু বেড়েছে। কারাবন্দি হতে হয়েছে শত শত নেতাকর্মীকে। একদিনেই তিনশ’ নেতাকর্মীকে কারাবন্দি করে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে সরকার। মামলা হুলিয়া নিয়ে শত শত নেতাকর্মী কারাগারে কিংবা আদালতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের অভিযোগ দলের নেতাদের কাছ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না তারা। নেতাদের কেউ কেউ এসব মজলুম কর্মীদের সাথে দেখাও করছেন না। সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে এই দলটি। এরপরও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দলের পক্ষে আছেন। তারা কখনো মাঠ ছেড়ে যাননি। এই চরম দুঃসময়েও নেতাদের মধ্যে বিরোধ বিভক্তি প্রকট। আন্দোলনের সময়ে চট্টগ্রামের অনেক বড় বড় নেতাকে রাস্তায় দেখা যায়নি। তাদের কেউ ঢাকায় বসে কীভাবে আন্দোলন ভ-ুল করে দেওয়া যায় সে অপকৌশল গ্রহণ করেন। আন্দোলনে সব নেতা এক কাতারে মাঠে নামতে পারলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো বলেও মনে করেন কর্মীরা। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বড় নেতাদের প্রতি অবিশ্বাস ও অনাস্থাও প্রকট। নগর বিএনপির সাংগঠনিক কাঠোমোও এখন নড়বড়ে। বিগত ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ৫ সদস্যের নগর কমিটি গঠন করে দেওয়া হয় কেন্দ্র থেকে। ওই কমিটির সহ-সভাপতি দস্তগীর চৌধুরী মারা গেছেন। এখন ৪ সদস্যের কমিটি দিয়ে চলছে নগর বিএনপি। বেশ কয়েকবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। কাউন্সিলের মাধ্যমে মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরোধে ওই কাউন্সিল প- হয়। সেই থেকে ওই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ লেগেই আছে। মেয়র নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনজুর আলমের পক্ষে দুই নেতা একসাথে মাঠে নামলেও নির্বাচনের পর ফের তারা দুই মেরুতে। কেন্দ্রীয় নেতা হয়েও আবদুল্লাহ আল নোমান নগরীতে বিএনপির অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। এসব অনুষ্ঠানে নগর বিএনপির কোনো নেতাকে দেখা যায় না। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথেও নগর সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সম্পর্ক শীতল। ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে দুই নেতার অনুসারীদের […]

ফযীলতপূর্ণ দিবস-রজনী : একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা

একটি মসজিদে ‘ইসলামী পবিত্র দিনসমূহ’ শিরোনামে একটি তালিকা নজরে পড়ল। তাতে কিছু আছে ইসলামে স্বীকৃত মহিমান্বিত দিবস-রজনী, আবার কিছু আছে আবিষ্কৃত রসম-রেওয়াজ এবং ইসলামী ইতিহাস বিষয়ে না জানার ভুল। সমাজের বিভিন্ন মহলে এসব দিবস-রজনী বিশেষভাবে পালিত হতেও দেখা যায়। কোনো কোনো দিবস এমন আছে, যেগুলোতে সরকারী ছুটি থাকে অথচ ইসলামে সে সকল দিবস স্বীকৃত নয়। আর এসব দিবস-রজনী বিভিন্ন অনির্ভরযোগ্য পুস্তক-পুস্তিকায়ও দেখা যায়। তাই তালিকাটির উপর একটি পর্যালোচনা সংগত মনে হল। এ পর্যালোচনায় তালিকার ভুলগুলোও যেমন উল্লেখ করা হয়েছে তেমনি ইসলামে স্বীকৃত দিবস-রজনী বিষয়ে প্রয়োজনীয় কিছু কথাও আলোচনা করা হয়েছে। যাতে স্বীকৃত বিষয়েও কেউ ভুলের শিকার না হন। প্রথমে তালিকাটি উল্লেখ করছি। ইসলামী পবিত্র দিনসমূহ (যেমনটা ঐ তালিকায় দেওয়া হয়েছে) ১. ১ লা মুহাররম : হিজরী নববর্ষ ২. ৯ ই মুহাররম : আশুরার রোযা ৩. ১০ ই মুহাররম : আশুরা ৪. সফরের শেষ বুধবার : আখেরী চাহার শোম্বাহ ৫. ১২ই রবিউল আউয়াল : নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্ম ও ওফাত দিবস ৬. রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার  : লায়লাতুর রাগায়েব ৭. ১৫ই রজব : শবে এস্তেফতাহ ৮. ২৭ শে রজব : লাইলাতুল মিরাজ ৯. ১৫ই শাবান : লাইলাতুল বরাত ১০. ২১, ২৩, ২৫,২৭ ও ২৯ শে রমযান : লাইলাতুল কদর ১১. ১লা শাওয়াল : ঈদ-উল-ফিত্র ১২. ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ যিলহজ্ব : আইয়ামে তাশরীক ১৩. ৯ই যিলহজ্ব : ইয়াওমুল আরাফা হজ্ব দিবস ১৪. ১০ই যিলহজ্ব : ঈদ-উল-আযহা ১৫. প্রতি মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখ : আইয়ামে বীজ (রোযা রাখা সুন্নত) এই তালিকার শিরোনাম হওয়া উচিত ছিল, ‘ইসলামী ফযীলতপূর্ণ দিবস-রজনী’। কারণ প্রতিটি দিনই পবিত্র, কোনো দিনই অপবিত্র বা অশুভ নয়। হাঁ, দিনসমূহের মধ্যে ঐ দিনগুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতপূর্ণ, কুরআন হাদীসে যেগুলোর বিশেষ ফযীলত উল্লেখিত হয়েছে। সুতরাং পবিত্র না বলে ফযীলতপূর্ণ বলা উচিত। নিচে এই তালিকার উপর সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা পেশ করা হল । ১. ১ লা মুহাররম : হিজরী নববর্ষ প্রথম কথা হল, ১লা মুহাররম হিজরী বর্ষের প্রথম দিন। কিন্তু এটা ‘ইসলামী পবিত্র দিনসমূহ’ বা ‘ইসলামী ফযীলতপূর্ণ দিবস-রজনী’ শিরোনামে আসবে কিনা সেটা ভাববার বিষয়। ইসলামী ফযীলতপূর্ণ দিবস হতে হলে কুরআন-সুন্নাহয় তার আলাদা ফযীলত উল্লেখ থাকতে হবে।  এছাড়া এখানে হিজরী নববর্ষ শব্দ থেকে কেউ বুঝতে পারে যে, অন্যান্য জাতি যেমন নববর্ষ উদযাপন করে, হিজরী নববর্ষও মুসলমানদের জন্য সে রকম উদযাপনের দিবস। অথচ ইসলামে নববর্ষ, বর্ষপূর্তি কিংবা জন্মবার্ষিকী বা মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার কোনো বিধান নেই।   তবে চান্দ্রমাস ও বছরের সাথে যেহেতু  রোযা, হজ্ব, ঈদুল ফিত্র, ঈদুল আযহা ও যাকাতসহ বহু ইবাদাত ও শরয়ী বিধিবিধান সম্পৃক্ত এ জন্য এর হেফাযত ও চর্চা রাখা ফরযে কেফায়া। এবং এ ব্যাপারে শিথিলতা প্রদর্শন করা জাতীয় […]

জাপান বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিল

গত রোববার ১২ জুলাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাপান শাখা আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় টোকিওর আরাকাওয়া কু’র ওগু ফুরিআইকান এ। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী এই মাহফিলে সমবেত হন এবং ইফতারে অংশ নেন। ইফতারির পূর্বে ইসলামি বয়ান, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। ইফতার শেষে তারাবির নামাজের জন্যে কিছুটা তড়িঘড়ি করে সবাইকে রাতের খাবারে আপ্যায়িত করা হয়। আয়োজনক একটি রাজনৈতিক দল হলেও অনুষ্ঠানে দলমত নির্বিশেষে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মিডিয়ার প্রায় সকলকেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। বিষয়টি অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। একজন ভিন্ন দলের প্রবাসী বললেন, “আমরা এখানে সবাই প্রবাসী -সেটাই আমাদের প্রধানতম পরিচয়। রক্তের সাথে সম্পর্কহীন প্রবাসীরা ২০,২৫ এমনকি ৩০ বছর ধরে বসবাস করছে। ধর্ম, রাজনৈতিক বিদ্বেষ ভিন্ন হলেও সম্পর্কটা আত্মিক। ইফতার একটি ধর্মীয় আয়োজন। -এখানে রাজনীতি বিবেচ্য নয়।  ক’দিন আগেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখা আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বিএনপি ঘরনার এক-দু’জনের উপস্থিতি ছিলো। জাপান প্রবাসী হিসেবে এটি একটি ব্যতিক্রম। দলীয় রাজনীতি ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের এই যে উদারতা জাপান প্রবাসীরা তার উজ্জ্ব্ল দৃষ্টান্ত।  একই দিনে চীবা প্রিফেকচারের অনুষ্ঠানের কথা উঠলেই বলা হয় সময় স্বল্পতার জন্যে বোধ হয় এমনটি হয়েছে। তবে দু’একজনের কাছে ভিন্ন মতামত শোনা গেছে। উল্লেখ্য প্রতি শনিবার ও রোববার টোকিও ও তার আশেপাশের প্রতিতটি মসজিদেই ধর্মীয় ঐতিহ্য মতো ইফতার ও তারাবির আয়োজন চলছে। জাপান আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জাপানের আরেকটি অংশের দাবিদারও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলো। বিএনপি জাপান শাখার সদস্য ও কর্মীরা প্রচুর পরিশ্রম করে এই আয়োজনটি করেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা দলমত নির্বিশেষে ইফতারে শরীক হওয়ার জন্যে প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

ইউ টার্নে সিরিজে ফিরলো বাংলাদেশ

দ.আফ্রিকা ঃ ১৬২/১০ (৪৬.০ ওভারে) বাংলাদেশ ঃ ১৬৭/৩ (২৮.৪ ওভারে) ফল ঃ বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ীশামীম চৌধুরী :  সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ থেমেছে ১৬০-এ, দ্বিতীয় ম্যাচে দ.আফ্রিকাকে থামিয়েছে ১৬২ তে! প্রথম ম্যাচে ৫৩ বল হাতে রেখে সফরকারীদের ৮ উইকেটে জয় দেখেছে বাংলাদেশ দল, দ্বিতীয় ম্যাচে সেই সফরকারীদের বিপক্ষে বদলার ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৭ উইকেটে, ১৩৪ বল হাতে রেখে! সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের জয়ে উইনিং শটটি ছিল রুশোর বাউন্ডারি, রুশোকে জবাব দিতে গতকাল  ইমরান তাহিরকে স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে মেরেছেন সৌম্য ছক্কা! একেই বলে ইউটার্ন! এই একটি ইউটার্নে ২০১৭’র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও যে নিশ্চিত করতে পেরেছে বাংলাদেশ। হোমে টানা ৪র্থ ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আবহও হয়েছে তৈরিÑমঞ্চটা এখন চট্টগ্রামে, চোখ এখন ১৫ জুলাই বাংলাদেশের লাকি ভেন্যুতে। শাসন করা তাকেই মানায়, সোহাগ করে যে, বাংলা এই প্রবচনটি যে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্যÑ বিসিবি বস সেই কাজটিই করেছিলেন গত পরশু। অনুশীলনের চেয়েও শাসনটা তার কাছে ছিল জরুরি, ক্রিকেটারদের ছন্দে ফেরাতে তার সতর্কবার্তা টনিকের মতো করেছে কাজ। দ.আফ্রিকার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের ২ ম্যাচে হেলায় হেলায় হাতছাড়া করেছে ম্যাচ বাংলাদেশ দল, সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ছন্নছাড়া বাংলাদেশ দলকেই দেখেছে দর্শক। সেই ছন্নছাড়া দলকে ছন্দে ফিরিয়ে আনতে টিম ম্যানেজমেন্টের বাইরে পরামর্শকের ভূমিকায় টেকনিক্যাল কমিটিÑ বাংলাদেশের ক্রিকেটে চার মুরব্বী স্থানীয় ক্রিকেট ব্যক্তির পরামর্শে একাদশে পরিবর্তনকে যদি কেউ হস্তক্ষেপ বলে গন্য করে, তাহলে এমন হস্তক্ষেপও দলের জন্য ভাল। বিসিবি সভাপতির সতর্কবার্তায় আড়মোড়া ভেঙে অন্য এক বাংলাদেশকে ঠিকই দেখেছে দর্শক ম্যাচের শুরু থেকে। ফিল্ডিংয়ে ফিরে পেয়েছে সুনাম। নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের উপর হস্তক্ষেপ করে তিন পেস বোলার তত্ত্বে ফিরিয়ে এনে মুস্তাফিজকে দিয়েছে সাহস। ভারতের বিপক্ষে অভিষেক সিরিজে বিশ্বরেকর্ডের (৩ ম্যাচের সিরিজে ১৩ উইকেট)পর দ.আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে উইকেটহীন কাটানোর কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয়নি। বাংলাদেশকে সিরিজে ফেরাতে কাটার মাস্টার ফিরেছেন ছন্দে (৩/৩৮)। তার প্রথম স্পেলে ডি কক ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। বাধ্যতামূলক পাওয়ার প্লেতে রানের লাগাম (৩৮/১) টেনে ধরতে পেরেছে বাংলাদেশ সেখানেই। একাদশে ফেরা রুবেল নিজের দ্বিতীয় ওভারে হাশিম আমলার অফ স্ট্যাম্প শূন্যে পাঁচ চক্করে উড়িয়ে প্রোটিয়াদের মনোবলে দিয়েছেন ধাক্কা। সেই ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি তারা। ইনিংসের মাঝপথে প্রোটিয়াদের স্বল্প স্কোরে বেঁধে ফেলতে নাসির, মাহামুদুল্লাহরা অধিনায়কের নির্দেশনা পালন করেছেন অক্ষরে অক্ষরে। দ্বিতীয় জুটির ২৯ ছাড়া প্রোটিয়াদের উল্লেখ করার মতো পার্টনারশিপ শেষ ২টিতে, ২২ করে।  বোলার নাসিরে রূপান্তর হওয়া ছেলেটি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন গতকাল (৮-০-২৬-৩)। ক্যারিয়ারের প্রথম তিন উইকেটের ইনিংসের তিনটিই ব্রেক থ্রু। ইনিংসে নিজের প্রথম বলেই সফল নাসির। প্রকৃত অর্থে অফ স্পিন যাকে বলে, সেই ডেলিভারি দিয়েই সফল তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের ২টি এবং ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য তিন ইনিংস (৩১, ১৯ ও ৪৫) শেষে রুশো থেমেছেন […]

জাপান জুড়ে অব্যাহত প্রচন্ড গরমঃ সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বানঃ বিভিন্ন স্থানে মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত

জাপানে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো প্রচন্ড গরম অব্যাহত রয়েছে। অনেক স্থানে মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্থানে রোববার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। পশ্চিম হোক্কাইদো থেকে শুরু করে জাপান সাগর পর্যন্ত গরমের দাবদাহ চলছে। জাপানের আবহাওয়া বিভাগ সকলকে হিটস্ট্রোক থেকে সতর্ক থাকার উপদেশ দিয়েছে। তাইফুন ৯ এর প্রভাবে ব্যাপক ভাবে উচ্চচাপের বায়পূর্ণ অঞ্চল হতে ঘূর্ণায়মান বাতাসের প্রবাহ উত্তর এবং পূর্ব জাপানে বিস্তৃত হয়েছে। এর ফলে তোকাচি অঞ্চল এবং পূর্ব হোক্কাইদো ও জাপান সাগর সংলংগ্ন হনশু দ্বীপে তাপমাত্রা ব্যপক বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো হোক্কাইদোর আশোরো এবং ওবিহিরো অঞ্চলে ৩৬.৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। গুনমা প্রিফেকচারের তাতেবাইয়াশি’তে তাপমাত্রা ছিলো ৩৬, ফুকুই শহরে ৩৫.৫, হিয়োগো প্রিফেকচারের তোইয়োওকা’তে ৩৫.১, ফুকুশিমা ৩৪ নাগোয়া শহরে ৩৩ ডিগ্রি ছিলো। রাজধানী টোকিও’র কেন্দ্রস্থলে তাপমাত্রা ছিলো ৩২ ডিগ্রি। জাপানের আবহাওয়া বিভাগ সকলকে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার জন্যে বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দিয়েছে, সব সময় ঠান্ডা স্থানে অবস্থান করা, প্রচুর পানি বা তারল গ্রহণ করে নিজেকে আর্দ্র রাখার উপদেশ দিয়েছে। এদিকে তাইফুন ৯ এর প্রভাবে ওকিনাওয়ার দক্ষিণ থেকে প্রবাহিত আর্দ্র উষ্ণ বাতাস চুগোকু-শিকোকু অঞ্চলে এসে অস্থিতিশীল বায়ুমন্ডলীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ফলে সে সব অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সোমবারও এ সকল স্থানে অনুরূপ অস্থিতিশীল বজায় থাকতে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সকল স্থানে প্রবল বর্ষণ থেকে ভূমিধস, বন্যা ও নদী প্লাবন দেখা দিতে পারে।

বিদায় রমযান, বিদায় ঈদ : কী পেলাম, কী হারালাম

রমযান মাস পুরোটাই কল্যাণ ও বরকতের মাস। এই মাস আমাদের উপর মেঘমালার মতো সুশীতল ছায়া দান করছিল, এ মাসের রোযা তাকওয়ার অনুশীলন দান করছিল। মেহরাবগুলোতে হাফেয সাহেবদের সুমধুর তেলাওয়াতের ধ্বনি, যা মূলত মুমিনদের উদ্দেশ্যে রাহমানুর  রাহীমের আহবান, মস্তিষ্ককে সুশোভিত আর অন্তঃকরণকে আলোকিত করছিল, তেলাওয়াত, তাহাজ্জুদ, যিকির ও দুআ অন্তরকে আল্লাহর নৈকট্যের অনুভূতিতে সিক্ত এবং চোখ থেকে খোদাভীতির অশ্রু ঝরাচ্ছিল। দেখতে দেখতেই এই ধারাবাহিকতার পরিসমাপ্তি ঘটল। যেন ইবাদতের সেই বিশেষ রুখ পরিবর্তিত হল এবং ১ শাওয়ালে রোযা নয়, ইসলামী শিক্ষা মোতাবেক ঈদ উদযাপনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নির্দেশ এল এবং এরই মাধ্যমে বান্দা তার গোলামির পরিচয় তুলে ধরার নির্দেশ পেল। শাওয়ালের ২ তারিখ থেকে এক বছরের জন্য এই দুই নেয়ামত রমযান ও ঈদ আমাদের কাছ থেকে চলে গেল। যদি হায়াত পাই আর আল্লাহ তাআলার তাওফীক হয় তাহলে পুরো এক বছর পর আবার এই দু্ই নেয়ামত আমরা ফিরে পাব। এ পর্যায়ে একজন মুমিনের ভেবে দেখা উচিত যে, রমযান ও ঈদ থেকে সে কী পেল এর কী কী প্রভাব ও ক্রিয়া অন্তর ও মস্তিষ্কে, বোধ ও বিশ্বাসে, কর্ম ও চরিত্রে অবশিষ্ট রইল এবং রমযানের বিদায়ে কী কী খায়ের-বরকত সে হারাল। এটা বাস্তব যে, যে ব্যক্তি রমযানের হক যত বেশি আদায় করেছে, রমযানের আদবসমূহের প্রতি যত বেশি যত্নবান থেকেছে সে তার কর্মজীবনে রমযান ও ঈদের প্রভাব ও ক্রিয়া ততবেশি অনুভব করবে। আর যে ব্যক্তি ত্রুটি করেছে সে তার ত্রুটির মাত্রানুপাতে প্রভাব ও ক্রিয়াতেও ত্রুটি উপলব্ধি করবে। রমযানের সবচেয়ে বড় প্রভাব (যদি রোযা রাখা হয়ে থাকে এবং রোযাকে গুনাহমুক্ত রাখা হয়ে থাকে) তাকওয়া, যা বান্দাকে প্রতিমুহূর্তেই রাহনুমায়ি করে, কল্যাণের দিকে আহবান করে, কল্যাণের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে এবং অকল্যাণের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে। অকল্যাণ থেকে বিরত থাকার তাগিদ সৃষ্টি করে। তাকওয়ায় পরিপূর্ণ অন্তর নসীহত দ্বারা দ্রুত প্রভাবিত হয় এবং সামান্য সতর্ক করার দ্বারা অমঙ্গলের পথ থেকে ফিরে আসে। আমরা যদি রমযান ও রোযার পুরো হক আদায় না করে থাকি তাহলে তাকওয়ার সেই বিশেষ স্তর আমাদের অর্জিত হয়নি। তবুও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। কেননা, প্রতিটি মুমিনের অন্তরে সামান্য পরিমাণে হলেও তাকওয়ার স্ফুলিঙ্গ অবশ্যই থাকে। আর রোযার মাধ্যমে তাতে কিছু না কিছু বৃদ্ধি অবশ্যই ঘটে থাকে। এখন যদি তা সযত্নে লালন করা হয় এবং সে মোতাবেক ধীরে ধীরে আমল করা হয় তাহলে এগুণ দৃঢ়তর এবং উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হতে থাকবে। গুণাবলি ও যোগ্যতাসমূহের এটাই সহজাত নিয়ম এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টিকারী সৎগুণাবলির ব্যাপারে একথা অধিক সত্য এবং অধিক প্রযোজ্য। আল্লাহ তাআলা হাদীসে কুদসীতে নিজেই ইরশাদ করেছেন, আমার বান্দা আমার প্রতি যেরূপ ধারণা রাখে আমি তার সাথে সেরূপ আচরণ করি এবং বান্দা যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তার সঙ্গী হই। […]

ইওয়াতে প্রিফেকচারে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প

শুক্রবার ভোরে ইওয়াতে প্রিফেকচারে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্প থেকে সুনামির কোনো ঝুঁকি নেই বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে। দমকল বাহিনী জানিয়েছে প্রিফেকচারের রাজধানী মোরিওকা’তে ৭০ বছরের এক নারী ভূমিকম্পে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন এবং ৬০ বছরের অপর এক মহিলা কাঁধে আঘাত পেয়েছেন। তাদের কারো আঘাতই তেমন গুরুতর নয়। ভোর ৩টা ৩২ মিনিটে উপকূলের নিকট মাটির ৮৮ কিলোমিটার গভীর থেকে ভূমিকম্প আঘাত হানে। ০ থেকে ৭ মাত্রার জাপানি স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৫ এর কিছু কম।