Archive for August, 2015

বিশ্বের সার্বিক শ্রেষ্ঠ দেশ কানাডা

বিশ্বের সেরা এবং সব চেয়ে প্রশাংসার দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে কানাডা। আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নরওয়ে। এর পরের স্থান পেয়েছে- সুইজাল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘রেপুটেশন ইনিষ্টিটিউট‘র এই ঘোষণা দেন। এই তালিকায় কানাডা গত বছর দ্বিতীয় স্থানে ছিলো। এবার আবারো পরপর তিন বার ২০১১, ২০১২, ২০১৩ সালে সার্বিক শ্রেষ্ঠ দেশের মর্যাদার তালিকায় স্থান পেয়ে আসছিল।

জ্বালানি তেলের সংকটে দ্বিতীয় লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নাগাসাকিতে ফেলা হলো আণবিক বোমা

আমেরিকার দুই শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল গ্রোভ এবং এডমিরাল পারনেল প্রায় নিশ্চিত হয়েছিলেন যে জাপানের উপর অল্প সময়ের ভেতর দু’টি আণবিক বোমা নিক্ষেপ করলে জাপান সরকারকে আত্মসমার্পণে রাজি করানো যাবে। লস আলামোস এ বিজ্ঞানীরা গবেষণায় বসেছিলেন ঠিক কোন ধরণের বোমাটি নিক্ষেপ করা হবে, ইউরেনিয়াম নাকি প্লুটোনিয়াম ভিত্তিক বোমা। হিরশিমা’তে নিক্ষেপ করা “লিটল বয়” ছিলো ইউরেনিয়াম ভিত্তিক এবং তা কতোটা বিধ্বংসী তা দেখা হয়ে গেছে। এখন প্লুটোনিয়াম ভিত্তিক বোমা কী করতে পারে তা দেখার বাকি। আমেরিকানদের মূল লক্ষ্য ছিলো কোকুরা। প্রাথমিক ভাবে বোমার তিনটি লক্ষ্য স্থান নির্ধারণ করা হয়। কিয়োতো, কোকুরা এবং নিইগাতা। ধর্মীয় সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে কিয়োতো’র বদলে দ্বিতীয় লক্ষ্য হিসেবে নাগাসাকি’কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তৃতীয় লক্ষ ছিলো নিইগাতা -কিন্তু দূরত্বের কারণে সেটিকেও বাদ দেয়া হয়। চুড়ান্ত ভাবে দু’টি লক্ষ্যই থাকলো কোকুরা ও নাগাসাকি। নাগাসাকি একটি বড় জাহাজ নির্মাণ শহর এবং সেখানে বিশাল সামরিক বন্দর ছিলো। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেখানে বিগত ১২ মাসে ৫ দফা বোমা বর্ষণ হয়েছিলো কাজেই সেখানে বোমা নিক্ষেপ করা হলে আণবিক বোমায় কী ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করা কঠিন হবে। যাইহোক, তবে শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া আর ভাগ্যই নাগাসাকি’কে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যায়। “এনোলা গে” হিরোশিমা’তে গিয়ে বৈচিত্রহীন যাত্রা করে বোমা নিক্ষেপ করে ঘাঁটিতে ফিরে আসে। নাগাসাকি’তে বোমা বহনকারী বিমান “বক্সকার” এবং হিরোশিমার বোমা বহনকারী “এনোলা গে” দু’টি বিমানই ছিলো বি২৯ সুপারফোট্রেস বোমারু বিমান। বক্সকার টিনিয়ান দ্বীপ থেকে অগাষ্টের ৯ তারিখ ভোর ৩টা ৪০ মিনিটে আকাশে ওড়ে। উড্ডয়নের পর বিমানের ফ্লাইট কমান্ডার মেজর সুইনি দেখতে পান বিমানটির জ্বালানি পাম্প কোনো কাজ করছে না। ফলে ট্যাঙ্কে যে অতিরিক্ত ৮০০ গ্যালন তেল ছিলো তা রয়ে গেলো অব্যবহৃত এবং অতিরিক্ত তেল বহনের কারণে বিমানটিকে আতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় করতে হচ্ছিলো। হিরোশিমার “লিটল বয়” ছিলো সাধারণ বন্দুক ধরনের বোমা, কিন্তু “ফ্যাট ম্যান” ছিলো “ইমপ্লোশন” ধরনের। অর্থাৎ এটি অন্তর্মুখী বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমাটিকে ঘিরে ৬৪টি বিস্ফোরক লাগানো ছিলো। বোমাটির ওজন ছিলো ১০ হাজার পাউন্ড, দৈর্ঘ্যে ১০ ফিট ৮ ইঞ্চি। এটির ২০ হাজার টন উচ্চ বিস্ফোরক ক্ষমতা ছিলো। বক্সকার যখন তার প্রধান লক্ষ্য কোকুরা’র কাছাকাছি তখনই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় যে আবহাওয়াই শহরটিকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে। শহরটি মেঘাচ্ছন্ন ছিলো। সুইনি শহরের উপর তিনবার চক্কর দিলেন কিন্তু কোথাও কোনো ফাঁকা স্থান খুঁজে পেলেন না। সাথে তেলের চিন্তাও একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। সুইনি সিদ্ধান্ত নিলেন তারা দ্বিতীয় লক্ষ্য নাগাসাকিতেই যাবেন। সুইনি’র যে পরিমাণ তেল অবশিষ্ট ছিলো তা দিয়ে শহরটির উপর দিয়ে মাত্র একবার চক্কর দেয়া সম্ভব হবে এবং তিনি আর টিনিয়ানে ফিরে যেতে পারবেন না। তাকে নামতে হবে ওকিনাওয়া’তে। নাগাসাকি শহরেও হালকা মেঘের আস্তর ছিলো কিন্তু তারা লক্ষ্য নির্ধারণ করার মতো একটি ফাঁকা জায়গা খুঁজে পেলেন। ২৮,৯০০ ফিট […]

দক্ষিণ চীন সাগর বিরোধ: টোকিও-ম্যানিলার সমালোচনায় চীন

দক্ষিণ চীন সাগরে ম্যানিলা ও টোকিওর নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ উপস্থিতির কঠোর সমালোচনা করেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে চীনে আক্রমণ করার জন্য যৌথ আঞ্চলিক নিরাপত্তা ফোরাম গঠন করেছে জাপান ও ফিলিপাইন। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি অভিযোগ করেন চীন সাগরে চলাচলে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হবে না এমন প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও চীন নৌযান চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ ও সমুদ্রপথ দখলের চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র চীন সাগরে চীনের কোন বিধিনিষেধ মেনে নেবে না বলেও জানান কেরি। বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে কেরি অভিযোগ করে বলেন, চীনের সামরিক নির্মাণ বিশেষ করে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এবং প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রের সামরিকীকরণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এর আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের নীতি নিয়ে ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আক্রমণাত্মক ভাষায় কথা বলেছেন এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাতে সমর্থন যুগিয়েছেন। ওই অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে ফোরাম গঠনের কথা উল্লেখ করে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বিবৃতিতে বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্থিতিশীল রয়েছে এবং বড় ধরনের সংঘাতের কোন আশংকা নেই। চীন এমন কোন কিছু প্রত্যাশা করে না যাতে বিভক্তি ছড়ায় ও উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।

বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কায় ভারত-নেপাল

ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কায় আছে ভারত ও নেপাল। প্রতিদিন দেশ দুইটিতে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে। শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন তথ্যে দেখা গেছে গত এপ্রিল মাসে নেপালে যে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, সেটির সব চাপ এখনো মুক্ত হয়নি। পশ্চিমাঞ্চলে যেকোনো সময় কম্পনটি জেগে উঠতে পারে। গবেষণাটি  সম্প্রতি ‘ন্যাচার জিওসায়েন্স’ ও ‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলো এখন ব্যাপক নজরদারি করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন লেখক। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেন-ফিলিপ অ্যাভাউক বলেছেন, এই অঞ্চলে নজর রাখা দরকার। যদি আজই ভূমিকম্প হয়, তাহলে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে। জনবসতির ঘনত্বের কারণে এটি শুধু নেপালের পশ্চিমাঞ্চল নয়, ভারতের উত্তরাঞ্চলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। চলতি বছরের এপ্রিলে নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় নয় হাজার মানুষ নিহত ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হন। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন অসংখ্য মানুষ। ভূগর্ভস্থ সংঘর্ষ এলাকায় এই ভূমিকম্পটি হয়। ভারতীয় টেকটোনিক প্লেট ইউরেশিয়া প্লেটে চাপ দিচ্ছে। প্রতি বছর দুই সেন্টিমিটার পরিমাণে সেখানকার অবস্থান পাল্টে যাচ্ছে। কয়েক দশক ধরে এটি চ্যুতি লাইনের চাপের সৃষ্টি করে। এই চ্যুতিটি মেইন হিমালয়ান থ্রাস্ট বলে পরিচিত। এটি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কাছে অবস্থিত।  এই এলাকায় দুই প্লেটের সীমানা সংঘর্ষের কারণে আটকে আছে। আর এটি সেখানে গতিহীন শক্তি উত্পন্ন করছে। ফলে একটি বড় ধরণের ভূমিকম্প হতে পারে। গত ২৫ এপ্রিল নেপালে যে ভূমিকম্প হয়েছে তা এই দমিত চাপের একটি অংশ মুক্ত হওয়ার ফল।

টানা ৫ দিন ধরে জাপানের বিস্তীর্ণ এলাকায় দুর্বিসহ গরম

জাপানের রাজধানী টোকিও সহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে টানা ৫ দিন ধরে অসহনীয় গরমে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। জাপানের উত্তর থেকে পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত গরম ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করেছে। ঊর্ধ্বাকাশে শীতল বায়ুর প্রভাবে বায়ুমন্ডলের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, ফলে কোথাও কোথাও স্থানীয় ভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো গুনমা প্রিফেকচারের তাতেবাইয়াশি’তে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। ইবারাকি প্রিফেকচারের দাতে শহরে তাপমাত্রা ছিলো ৩৮.৩, গিফু প্রিফেকচারের তাজিমি’তে তাপমাত্রা ছিলো ৩৮ ডিগ্রি, কোচি প্রিফেকচারের শিমানতো নিশিতোসা’তে তাপমাত্রা ছিলো ৩৭.৩ ডিগ্রি। দেশ জুড়ে ৯২৮টি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টের ১৭৪টিতে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির বেশি ছিলো। টোকিও শহরে তাপমাত্রা ছিলো ৩৫.১ ডিগ্রি। ১৮৭৫ সালের পর টানা ৫ দিন ধরে এ রকম দুর্বিসহ গরম থাকার ঘটনা এটিই প্রথম। দেশের ৮০ শতাংশের বেশি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির বেশি ছিলো। এমন কি রাতেও ভোর পর্যন্ত প্রচন্ড উত্তাপ বজায় থাকছে। অনেক স্থানে রাতের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির নীচে নামছে না। আবহাওয়া বিভাগ সকলকে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রচুর তরল পান করার উপদেশ দিয়েছে, সাথে হিটস্ট্রোক এড়াতে প্রয়োজন মতো শীততাপ নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাও চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছে। বুধবারও তাপমাত্রার তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না।

অগ্নুৎপাতের আগেভাগেই পূর্বাভাস দেয়ার নতুন সতর্ক ব্যবস্থা চালু করলো জাপান

জাপানের আবহাওয়া বিভাগ মঙ্গলবার থেকে অগ্নুৎপাতের পূর্বাভাস আরো দ্রুততার সাথে দেয়ার নতুন এক পদ্ধতি চালু করেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মধ্য জাপানের আগ্নেয়গিরি মাউন্ট ওনতাকে হতে আকস্মিক এক অগ্নুৎপাতে ৫৮ জন নিহত হন। কর্মকর্তারা বলেছেন নতুন পদ্ধতি পর্বোতারোহী এবং স্থানীয় অধিবাসীদের অবিলম্বে সতর্ক হওয়ার বার্তা বহন করবে। সার্বক্ষণিক নজরে থাকা বর্তমানের ৪৭টি আগ্নেয়গিরির ক্ষেত্রে এই সতর্কতা ব্যবহার করা হবে। আবহাওয়া বিভাগ অগ্নুৎপাতের ৫ মিনিটের মধ্যে সতর্কতা জারি করবে। যখনই একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে অগ্নুৎপাত না ঘটানো আগ্নেয়গিরি অগ্নুৎপাত ঘটাবে – তখনই তার সতর্কতা জারি করা হবে। তা ছ্ড়াও ইতিমধ্যেই অগ্নুৎপাত ঘটনাও কোনো আগ্নেয়গিরি থেকে বড় ধরনের উদ্গীরণের সম্ভাবনার সতর্ক বার্তাও জানানো হবে। সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরার মাধ্যমে অগ্নুৎপাত পর্যবেক্ষণ করা হবে, যখন কোনো ঊর্ধমুখী কম্পন বা উদ্গীরণের পূর্বে আগ্নেয় কম্পন পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে সতর্কবার্তা প্রেরণ করা হবে।

চিনির ক্ষতিকর দিক

যারা মিষ্টিজাতীয় খাবার বিশেষ করে চিনি পছন্দ করেন তারা আজকেই এটিকে না বলুন। কেননা, এখন থেকে সতর্ক না হলে অদূর ভবিষ্যতে নানারকম ক্ষতি হতে পারে আপনার।  চিনি ডায়বেটিক রোগীদের জন্য একেবারে বিষের সমতুল্য। এর পাশাপাশি ক্যান্সার, হূদরোগ ও স্থূলতাকে ত্বরান্বিত করে এই পদার্থ। এবার জেনে নিন চিনি আপনার শরীরে কি ধরণের ক্ষতি করতে পারে। * চিনি বেশি খেলে শরীরে ক্যানসার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আয়ু কমিয়ে আনে এটি। * চিনিতে রয়েছে ফ্রুকটোস, যা বেশি মাত্রায় শরীরে থাকলে মানুষ মোটা হয়ে যায়। * এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, চিনি বেশি খেলে কোকেন, গাজাসহ নানাবিধ নেশার সামগ্রীতে আসক্তি অনেক বেড়ে যায়। * কিছুদিন আগে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বেশিমাত্রায় চিনি খেলে স্মৃতি হ্রাস পায়। একইসঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যও খারাপ হয়। * সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, বেশিমাত্রায় চিনি খেলে রক্তের প্রবাহে পরিবর্তন হয়। ফলে হার্ট ফেল করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। * বেশি চিনি খেলে শিশুদের মস্তিষ্ক ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একইসঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও কমিয়ে দেয় চিনি। * চিনি বা মিষ্টি খাবার বেশি খেলে যেমন শরীরের নানা ক্ষতি হয়, তেমনই এর ফলে আয়ুও কমে যায়।

জাপান সরকারের উপর মার্কিন গোয়ান্দাগিরিঃ কৈফিয়ত চাইলো জাপান

জাপান সরকার এবং জাপানি কোম্পানি গুলোর উপর মার্কিন গোয়েন্দাগিরির জন্যে ওয়াশিংটনের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেছে জাপান। “সত্য ঘটনা উদঘাটন করে দেখতে আমরা মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক জেমস ক্ল্যাপার’র কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছি” জাপানের প্রধান মন্ত্রী পরিষদ সচিব ইয়োশিহিদে সুগা সাংবাদিকদেরকে বলেন। সাংবাদিকরা উইকিলিকস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জাপান সরকারের কর্মকর্তা ও কোম্পানি গুলোর উপর আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা’র গোয়েন্দাদের নজর সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন। “গোয়েন্দা নজররের বিষয়টি যদি সত্যি হয়ে থাকে আমেরিকার মিত্র দেশ হিসেবে আমরা সেটাকে অত্যন্ত দুঃখজনক হিসেবেই বিবেচনা করবো” সুগা বলেন।

লতিফের এমপি পদ বাতিলে ইসিকে আ’লীগের অনুরোধ

আমেরিকার নিউইয়র্কের জ্যাকসনে দেয়া নিজের ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্যকে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দিয়েছেন উল্লেখ করে ওই বক্তব্যের কারণে দল থেকে বহিষ্কারের এখতিয়ার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেই বলে দাবি করেছেন দল সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকী। গতকাল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেয়া এক চিঠির জবাবে তিনি এই দাবি করেন। একই সাথে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত না হওয়ায় সিইসিকে দেয়া স্পিকারের চিঠি আমলে না নিয়ে তা ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ না থাকায় সংসদ সদস্য থাকার অধিকার নেই বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। গতকাল দুপুরে একই চিঠির জবাবে দল হিসাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বহিষ্কার ও বহিষ্কার-পরবর্তী সাংবিধানিক অবস্থান জানানো হয়। এসময় টাঙ্গাইল-৪ আসনকে শূন্য ঘোষণা করতে ইসিকে অনুরোধও জানিয়েছে দলটি। আর ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছিলাম তারা নিজেদের অবস্থান ব্যাখা করেছে। এখন পূর্ব নজির অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের পক্ষে উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস ইসির চিঠির লিখিত জবাব জমা দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ আর গণপ্রতিনিধিত্ব ৭২ এর ১২(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীকে কোনো নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের বা একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়। লতিফ সিদ্দিকী উক্ত ধারা ও অনুচ্ছেদ অনুসারে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। যেহেতু আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ধারা মতে, দলের সকল পদ ও  প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কৃত হয়েছেন এবং তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নন তাই জাতীয় সংসদের পদে থাকার আইনগত অধিকার হারিয়েছেন।তিনি আরো জানান, যেহেতু তিনি (লতিফ সিদ্দিকী) দলের কেউ নন, প্রাথমিক সদস্য পদও নেই এ কারণে ৬৬(৪) ধারা ও জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুসারে লতিফ সিদ্দিকীর টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদ বাতিলে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।গত ১৩ জুলাই দল ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সিইসিকে চিঠি দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর গত ১৬ জুলাই লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও লতিফ সিদ্দিকীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়।এর আগে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ব্যক্তিগত সহকারীর মাধ্যমে চিঠির লিখিত জবাব দেন লতিফ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আমেরিকার নিউইয়র্কে যে বক্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। ইসিতে পাঠানো চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে কূটনৈতিক সফরকালে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বসবাসরত টাঙ্গাইলের অধিবাসীদের সঙ্গে আলাপকালে আমার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার যে কষ্টকল্পিত, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে, তা আলোচনার স্বার্থে যদি ধরে নেওয়া হয় আমি ওই বক্তব্য দিয়েছি, তাহলে আওয়ামী লীগ থেকে সদস্যপদ বাতিল করার এখতিয়ার দলের কেন্দ্রীয় সংসদের নেই। কেননা, আমি বাংলাদেশ সরকারের তথা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে গিয়েছি […]

মধ্য জাপানের তাপমাত্রা ৩৯.৯ ডিগ্রি স্পর্শ করলো

জাপান জুড়ে প্রচন্ড তপ্ত আবহাওয়া অব্যাহত রয়েছে। প্রচন্ড গরম রোববারও অব্যাহত থাকে। শনিবার গিফু প্রিফেকচাররের তাজিমি’র তাপমাত্রা গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়েস। দিনটি ছিলো এ বছর জাপানের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দিন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া গুনমা প্রিফেকচারের তাতেবাইয়াশি’তে তাপমাত্রা ছিলো বিকেল ৪টায় ৩৯.৪ ডিগ্রি, কিয়োতো ৩৮.৫ ডিগ্রি। মধ্য জাপানের নাগোয়া’তে তাপমাত্রা ছিলো ৩৮.৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং টোকিও’র চিওদা ওয়ার্ডের কিতানো মারু পার্কে। রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৯২৮টি পর্যবেক্ষণ কেদ্রের মধ্যে ২১৫টি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির বেশি ছিলো -যা মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ৬৭৩টি স্থানে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেঃ স্পর্শ করে।